খবরদার! রবিউল আউয়াল মাসের আমল, গায়েবী সাহায্য আসবে; যখন যা চাইবেন তাই পাবেন, উভয় জাহানে সফলতা আসবে
খবরদার! রবিউল আউয়াল মাসের আমল, গায়েবী সাহায্য আসবে; যখন যা চাইবেন তাই পাবেন, উভয় জাহানে সফলতা আসবে
রবিউল আউয়াল মাস আমাদের দয়াল নবীর শুভাগমনের মাস, এই মাসে এমন একটি আমল শিখাবো যে আমলটি করলে আপনার ৯০ বছরের গুনাহ মাফ হবে, সব দোয়া কবুল হবে, আল্লাহ ও রসুলের প্রিয়ভাজন হবেন, দুনিয়া আখেরাতে ভরপুর কল্যাণ হবে, বিপদে আল্লাহর গায়েবী সাহায্য নেমে আসবে, ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে। প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য আমলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কয়েকটি মজার ঘটনার মাধ্যমে আমলটি আলোচনা করব, তার আগে অনুরোধ থাকবে কমেন্টে প্রিয় নবীকে ভালোবাসলে ১ বার দরুদ শরীফ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখে দিন তাহলে ১০টি গুনাহ মাফ হবে, ১০টি নেকি হবে, ১০টি সন্মান বৃদ্ধি পাবে- এবার আসুন গল্পের মাধ্যমে আজকে অনেক মূল্যবান আমলটি শিখে রাখি।এক লোক
বাজারে গিয়ে দেখে এক পাগল টাইপের বুযুগ বসে বসে কাঁদছে, লোকটি ঐ বুযুগকে প্রশ্ন
করল চাচা আপনি কাঁদছেন কেন? সে বলল আমি দেখছি এই বাজারের সকল দোকানদার এতই ব্যস্ত
আল্লাহকে ভুলে আছে, তাই তাঁদের কাছে গিয়ে আমি অনুরোধ করলাম যেন সময় থাকতে আল্লাহর
সাথে সন্ধি করে নেয়, আল্লাহ এখন তাঁদের সাথে সন্ধি করতে রাজি আছে কিন্তু কোন
দোকানদার রাজি হচ্ছে না, কয়েকদিন পর সে লোকটি দেখলে সে বুযুর্গ লোকটি এক কবরস্থানে
বসে বসে কাঁদছে, তখন লোকটি সে বুযুর্গকে প্রশ্ন করলেন চাচা আপনি আজ কবরস্থানে বসে
বসে কেন কাঁদছেন? তখন বুযুর্গ জবাব দিল সেদিন বাজারের লোকদের সাথে আল্লাহর সন্ধি
করাতে চেয়েছি সেদিন আল্লাহ সন্ধি করতে রাজি ছিল দুনিয়াদার দোকানদার রাজি ছিল না,
আজ এখানে এক দোকানদারকে কবর দেয়া হয়েছে আজ আমি চাচিছ কবরের দোকানদারের সাথে
আল্লাহর সন্ধি করাতে কিন্তু আজ দোকানদার
সন্ধি করতে রাজি হয়েছে কিন্তু আজ আল্লাহ রাজি হচ্ছে না। সুতরাং জিন্দেগী থাকতে
থাকতে আল্লাহকে রাজি করে নিতে হবে। নাহয় যখন কবরে যাবেন তখন সে সুযোগ আর বাকী
থাকবে না। সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহকে রাজি করেছেন তাঁদের জন্য আল্লাহকে রাজি করার
সময়চেয়ে বড় মাধ্যম ছিল হুযুরকে রাজি করা হুযুর রাজিতো আল্লাহ রাজি। আর হুজুরকে
রাজি করার জন্য আমাদের হুজুর (দ) এর সুন্নত নবীজির তরিকাকে আপন করে নিতে হবে।
ইমামে জালালুদ্দীন সুয়ুতি (রহঃ) তাঁর লিখিত কিতাব বুশরাল কাতিব
বিলিকায়েল হাবিব এ একটি চমৎকার ঘটনা নকল করেন- এক লোককে কবরে
রাখা হলে তার কবরে মুনকার নকীর ফেরেশতা আগমন করল, তারা প্রশ্ন শুরু করল, সে লোকের
কয়েকটি দাঁড়ি সাদা ছিল তাতে মেহেদীর রং ছিল তখন এক ফেরেশতা বলতে লাগল কার কাছে
প্রশ্ন করছ তাঁর আকৃতিতে মুহাম্মদে আরবীর গোলামীর চিহ্ন দেখতে পাচ্ছনা? সুতরাং
আমাদেরকে আমাদের হুলিয়া এমন করে তৈরী করতে হবে যেন মানুষ দুর থেকে দেখেই চিনতে
পারেন যে ঐযে আসছে মুহাম্মদের গোলাম। ঐ যে আসছে মুসলমান। যার হাত ও জবান থেকে অপর
মুসলমান নিরাপদ। আমাদেরকে জীবনটকে নবীর সুন্নত মত সাজাতে হবে নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে দুর থেকেও যদি কেহ দেখে যাতে বলে দিতে পারে ঐ দেখ মুহাম্মদে আরবীর গোলাম আসছে। মহান আল্লাহ বলেন, وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ‘রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং
যা হ’তে তোমাদের নিষেধ করেন তা হ’তে বিরত থাকো’ (হাশর ৭)।
এক আলেম
বলেন আমি ইন্নাল ইনসানা লাফি খুছরিন এর সঠিক অর্থ এক বরফ বিক্রেতার কাছে বুঝতে
পেরেছি, আল্লাহ তায়ালা সুরা আছরে বলে (ওয়াল আসরে শপথ যুগের, ইন্নাল ইনসানা লাফি
খুছরিন নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্থতায় নিপতিত। ) আলেম বলেন আমি একদিন বাজারে
যাচ্ছিলাম তখন এক বরফ বিক্রেতা ডাক দিল ও ভায়েরা (ইরহামু
ইরহামু আলা মা এয়াজুকু রাছু মালি) আমার উপর দয়া কর আমার বরফ কিনে নিয়ে
যাও, আমি এমন ব্যবসায়ী যার মুলধন গলে গলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কেননা বরফ এমন এক বস্তু
যা গ্রাহকের জন্য অপেক্ষা করে না গলতেই থাকে, আপনি কাপড় বিক্রী করলে আজকে কাস্টমার
না হলে আগামীকাল আসবে কিন্তু বরফ এমন নয়।
যখন এই বরফ বিক্রেতা এই কথা বলল আমার মুলধন গলে গলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন
আমি সেখানে থেমে গেলাম, এবং সে বরফ বিক্রেতাকে বললাম ভাই আমি ইন্নাল ইনসানা লাফি
খুছরিন এর তরজুমা আজ বুঝে ফেলেছি। যেভাবে তোমার বরফ গলে গলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে,
ঠিক তেমনিভাবে আমার জীবনের হায়াতও নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। তোমার বরফ ফোটা ফোটা নিঃশেষ
হচ্ছে আর আমার জিন্দেগী প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাসে নিঃশেষ হচ্ছে। তুমি যদি বরফ গলার
আগে কারো কাছে টাকা পয়সা, কিংবা কোন মুল্যবান জিনিষের বিনিময়ে বিক্রী করতে পার তা তোমার
কাজে আসবে। তেমনি মানুষ যদি তাঁদের এই শ্বাস যতক্ষন চালু আছে ততক্ষন রুকু করে,
সিজদা করে, নবীর সুন্নতের উপর আমল করে, নেক আমল করে তাহলে সেটাই মানুষের কাজে
আসবে। হযরত আলী (রাঃ) বলেন বান্দার এক একটি শ্বাস হল মৃত্যুর দিকে এক একটি কদম
অগ্রসর হওয়া। তাঁই মৃত্যুর দোড় গোড়ায় পৌঁছার আগেই আমাদেরকে এই জীন্দেগীকে এই
শ্বাসকে কাজে লাগাতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই