জুমার দিন আসরের পর ৭০ বার। আয়াতুল কুরসির আমল। মনের আশা পূরণের, Ayatul Kursi বিপদ মুক্তির দোয়া
যাদের দোয়া কবুল হচ্ছেনা, যারা বিপদে আছেন, যারা
হতাশায় ভুগছেন, যাদের মনের আশা পুরণ হচ্ছেনা, যাদের মনে শান্তি নাই, যাদের ঘরে অশান্তি
যারা অভাবে আছেন, যারা নানা ধরনের পেরেশানিতে আছেন, জিনের সমস্যায়
আছেন তাদের জন্য আয়াতুল কুরসির আমলটি খুবই কাযকর ও পরিক্ষিত
বুলেট মিস হবে কিন্তু এই আমলটি করলে আপনার মনের আশা পুরন
মিস হবেনা, আপনার
অভাব দুর হবে, আপনার সমস্যা সমাধান হবে ইনশা আল্লাহ
মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই হাতে হাতে রেজাল্ট পাবেন ইনশা আল্লাহ।
তবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ এর পাবন্দী করতে হবে, হারাম খাদ্য ও হারাম কাজ থেকে বাঁচতে হবে
যদি কেহ ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর এই আয়াতুল কুরসি পাঠ করে তাহলে
জান্নাতে যেতে মৃত্যু ছাড়া তার জন্য আর কোন বাঁধা নাই।
সে জন্য যারা আউলিয়া কেরামগনের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু স্তরের
শুধু তারাই এই আমলটির উপর স্থায়ী থাকতে পারে, বাকীরা স্থায়ী থাকতে পারেনা
যারা জ্বীনের কারনে পেরেশান তাদের জন্যও আয়াতুল কুরসির আমল
খুবই উপকারী,
পবিত্র কোরআনের যতগুলি আয়াত আছে সবগুলি আয়াতের সরদার হল আয়াতুল
কুরসি।
আজকে আয়াতুল কুরসির যে ওজিফাটি বলব সেটি ইন্ডিয়ার একজন
বুযুগ আলেম বয়ান করেছেন, তিনি
বলেন আমার উস্তাদ আমাকে আয়াতুল কুরসির
ওজিফাটি দিয়েছেন, আমি যে মসিবতে ওজিফাটি করেছি আল্লাহর ফযলে মাত্র ৭ দিনের মধ্যে রেজাল্ট
পেয়েছি
জুমার দিন আসরের পর ১১ বার দরুদ শরীফ পড়বেন – আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলি সৈয়্যদিনা মুহাম্মদ ওয়াবারিক
ওয়াসাল্লিম
তারপর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম সহ ৭০ বার আয়াতুল কুরসি
পড়তে হবে, প্রতিবার
আউজুবিল্লার সাথে পড়তে হবে, এবং শেষে আবার ১১ বার উক্ত দরুদ
শরীফ পড়তে হবে।
তারপর মাসনুন দোয়া সমুহ পড়ার পর আপনার , নিজের ভাষায় যত সমস্যা আছে সেগুলি করবেন,
ইনশা আল্লাহ পরের জুমার আগে আগে ফল পাবেন
কয়েকটি মাসনুন দোয়া যেমন –
আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া
আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَقَهْرِ الرِّجَالِ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়া ওয়া রিজকান
তাইয়িবাহ ওয়া আমালান মুতাকাব্বালা।
আয়াতুল কুরসি পড়ার নিয়মটি হল আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ،
مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
আল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম, লা তা’খুযুহু
সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহু মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্ব। মান জাল্লাজি
ইয়াশফা’উ ইনদাহু ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা
বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম।
ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহি ইল্লা বিমা- শাআ।
ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহু
হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যূল আজিম।
আয়াতুল কুরসির অর্থ :
আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের
ধারক। তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না।
আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর
হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তাঁকে সুপারিশ করতে পারে? তাদের
সম্মুখে ও পেছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন।
তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল
যতটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত।
তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর
সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান।
কোন মন্তব্য নেই