সন্তানের প্রতি পিতা মাতার ১৩টি হক। সন্তানের অধিকার
সন্তানের প্রতি পিতা মাতার ১৩টি হক মনে রাখবেন-
যারা বিয়ে করেছেন তাদের চেয়ে যারা বিয়ে করেননি তাদের এই ১৩টি হক বেশী মনে রাখতে হবে।
১) সন্তানের জন্য একজন ভালো দ্বীনদার মা আনতে হবে
বুখারী শরীফের ৫০৯০ নং হাদিসের বণনা
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা হয়ঃ তার
সম্পদ,
তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী।
فَاظْفَرْ
بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ
সুতরাং
তুমি দ্বীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে
মুসলিম শরীফের ৩৫৩৫ নং হাদিস
" الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ
الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ"
দুনিয়া
উপভোগের উপকরণ (ভোগ্যপণ্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ পুণ্যবতী নারী।
** আপনার
নারীকে যদি আপনি নেককার বানিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে আপনি শ্রেষ্ঠ সম্পদ অর্জন করলেন।
২) জন্মের পর সন্তানের প্রথম অধিকার
হল কানে আযান দেয়া
কিন্তু আমরা
ফেসবুকে ছবি আপলোড করি। অথচ আবু দাউদের ৫১০৫ নং হাদিসের বণনা
رَأَيْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَذَّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ
بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصَّلَاةِ
ফাতিমাহ
(রাঃ) যখন আলী (রাঃ)-এর পুত্র হাসান (রাঃ)-কে প্রসব করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কানে
সালাতের আযান ন্যায় আযান দিয়েছিলেন
৩) তাহনিক করা:
তাহনিক অথ
হল তালুতে লাগানো। বাচ্চাকে কোন আলেম বা বুযুর্গ লোকের কাছে নিয়ে যাবেন আর তিনি
একটি খেজুর চিবিয়ে নরম করবেন আর তা থেকে সামান্য অংশ বাচ্চার মুখের তালুর মধ্যে
লাগিয়ে দিবেন। এটাকে তাহনিক বলে
যেমন
বুখারী শরীফের ৩৯০৯ নং হাদিসের বণনা- হিজরতের পর প্রথম সন্তান হয় হযরত আসমা বিনতে
আবু বকর (রা) এর সন্তান হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের তাঁকে নবীজি জন্মের পর তাহনিক
করেন।
৪) নবজাতকের জন্য দোয়া করা
যখন কোন নবজাতক
জন্ম গ্রহণ করে তাকে দেখতে গেলে তার জন্য দোয়া করা এটা সে নবজাতকের হক, মা বাবাও দোয়া করবেন। যেমন আবু দাউদের ৫১০৬
নং হাদিসের বর্ণনা:
كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ
فَيَدْعُو لَهُمْ بِالْبَرَكَةِ
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বাচ্চাদেরকে আনা হলে তিনি তাদের জন্য
বরকতের দু’আ করতেন।
৫) ৭/১৪/২১ তম দিনে আকিকা করা:
ও চুল পরিমাণ রুপা সদকা করা
৭ম দিনে আকিকা করা, যে বারে
জন্ম হয়েছে তার আগের বার হয় ৭ম দিন, যেমন শনিবার জন্ম হলে পরের
শুক্রবার আকিকা করবেন, শুক্রবার জন্ম হলে পরের বৃহস্পতিবার আকিকা
করবেন। যেমন নাসাঈ শরীফের হাদিস ৪২২১ নং হাদিসের বণনা
عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كُلُّ غُلَامٍ رَهِينٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ
يَوْمَ سَابِعِهِ وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ وَيُسَمَّى
রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, প্রত্যেক সন্তান স্বীয় আকীকার সাথে
আবদ্ধ। তার পক্ষ হতে তা তার জন্মের সপ্তম দিনে যবেহ করতে হবে। সেদিন তার মাথা
মুণ্ডন করতে হবে এবং তার নাম রাখতে হবে
*৭ম দিন
মাথা মুন্ডন করে চুলের সমপরিমান ওজনের রুপা বা তার মূল্য সদকা করে দিবেন।
তিরমিজির ১৫১৯ নং হাদিস
আলী ইবনু
আবী তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
একটি বকরী দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
হাসানের আকীকা করেন এবং বলেনঃ
" يَا فَاطِمَةُ احْلِقِي رَأْسَهُ وَتَصَدَّقِي بِزِنَةِ شَعْرِهِ
فِضَّةً হে ফাতিমা! তার মাথা নেড়া করে দাও এবং তার চুলের ওজনের অনুরূপ
রূপা দান কর।
** ছেলের
পক্ষ ২টি, মেয়ের পক্ষ থেকে ১টি, তবে যদি কারো সামথ না থাকে তাহলে
ছেলের পক্ষ থেকে ১টি দিলেও আদায় হবে।
**নবী
করিম (দ) হযরত হাসান (রা) এর আকিকা ১টি পশু দিয়ে করেছিলেন।যেমন তিরমিজির ১৫১৪ নং হাদিস
عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَيْضًا أَنَّهُ عَقَّ عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি একটি বকরী দিয়ে হাসান ইবনু আলীর আকীকা করেছেন।
৬) সন্তানের সুন্দর নাম রাখা
সুন্দর ও অথবোধক
নাম, নবী, সাহাবীগনের নামে
নাম রাখা এটা সন্তানের অধিকার। কারন
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"তোমরা কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নাম এবং তোমাদের পিতার
নামে ডাকা হবে, তাই তোমরা তোমাদের নাম সুন্দর করো।
খারাপ অথবোদক নাম হলে নবীজি চেঞ্জ করে দিতেন যেমন একজনের নাম ছিল (হাজন- কঠিন)
নবী তার নাম দিলেন (সাহল সহজ) (বুখারী ৬১৯০)
৭) নামাজ শিক্ষা দেয়া
রাসুলুল্লাহ (দ) বলেছেন আবু দাউদের ৪৯৫ নং হাদিসের বননা
" مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ
وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ
سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ "
তোমাদের
সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে সালাতের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশ
বছর হয়ে যাবে তখন (সালাত আদায় না করলে) এজন্য তাদেরকে (হালকা) মারবে এবং তাদের
ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে
وَأْمُرْ
أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا
আর তুমি তোমার পরিবারকে সালাতের আদেশ দাও এবং নিজেও এতে দৃঢ় থাকো। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ১৩২)
৮) সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়া
যেমন আমার নবী হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাসকে সুশিক্ষা দিয়েছেন তিরমজির ২৫১৬ নং হাদিস
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে ছিলাম। তিনি বললেনঃ হে তরুণ! আমি তোমাকে
কয়েকটি কথা শিখিয়ে দিচ্ছি-
احْفَظِ
اللَّهَ يَحْفَظْكَ احْفَظِ اللَّهَ
তুমি আল্লাহ্ তা’আলার (বিধি-নিষেধের) রক্ষা করবে,
আল্লাহ তা’আলা তোমাকে রক্ষা করবেন
تَجِدْهُ
تُجَاهَكَ
তুমি
আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য
রাখবে, আল্লাহ্ তা’আলাকে তুমি কাছে
পাবে
إِذَا
سَأَلْتَ فَاسْأَلِ اللَّهَ وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ
তোমার কোন কিছু
চাওয়ার প্রয়োজন হলে আল্লাহ তা’আলার নিকট চাও,
আর সাহায্য প্রার্থনা করতে হলে আল্লাহ্ তা’আলার
নিকটেই কর।
وَاعْلَمْ
أَنَّ الأُمَّةَ لَوِ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ
يَنْفَعُوكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ
আর জেনে
রাখো, যদি সকল উন্মাতও তোমার কোন উপকারের উদ্দেশে
ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ততটুকু উপকারই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ
তা’আলা তোমার জন্যে লিখে রেখেছেন।
لَوِ
اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ
كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ
অপরদিকে
যদি সকল ক্ষতিই করতে সক্ষম হবে, যতটুকু
আল্লাহ্ তা’আলা তোমার তাকদিরে লিখে রেখেছেন।
رُفِعَتِ
الأَقْلاَمُ وَجَفَّتِ الصُّحُفُ
কলম তুলে
নেয়া হয়েছে এবং লিখিত কাগজসমূহও শুকিয়ে গেছে।
*কোরআন শিক্ষা দেয়া:
বুখারীর ৫০২৭
নং হাদিস
خَيْرُكُمْ
مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ.
তোমাদের
মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম যে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিখায়।
৯) সমতা বিধান করা বৈষম্য না করা
সন্তানদের কোন
কিছু দেয়ার ক্ষেত্রে সমতা বিধান করতে হবে। বৈষম্য করা যাবেনা। বিশেষ করে জিবদ্ধশায় সম্পদ বন্টন করলে সমান ভাগে ভাগ করতে হবে
আপনার মৃত্যুর
পর আপনার সম্পদের ওয়ারিশ আপনার সন্তানেরা ছেলেরা যা পাবে মেয়েরা পাবে অর্ধেক। কিন্তু আপনি যদি জীবিত থাকা অবস্থায় তাদেরকে সম্পদ বন্টন করে দিতে চান তাহলে ছেলে
মেয়ে সকলকে সমান ভাগে ভাগ করে দিতে হবে। যেমন মুসলিম এর ১৬২৩ নং হাদিসেরবণনা
নু’মান ইবনু বাশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে নিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
উদ্দেশে রওয়ানা করলেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি
সাক্ষী থাকুন, আমি নুমানকে আমার সম্পদ থেকে অমুক অমুক বস্তু
দান করেছি। তিনি বললেন, তোমার সকল সন্তানদেরও কি তুমি তা দান
করেছ, যেরূপ নু’মানকে দান করেছ?
তিনি বললেন, না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে এর
সাক্ষী রাখো। তারপর বললেন, তুমি কি এটা চাও যে, তারা সবাই তোমার প্রতি সদ্ব্যবহার করুক? তিনি বললেন,
হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে এরূপ করো না।
১০) বিয়ের বয়স হলে বিয়ে দেয়া
সন্তানের বয়স
হলে তাকে বিয়ে করিয়ে দিবেন, মেয়ে হলে উপযুক্ত পাত্র
ুপেলে বিয়ে দিয়ে দিবেন, যদি বয়স হওয়ার পরও বিয়ে
না করান আর তার ?ফলে যদি সন্তান গুনাহ করে মসনদে আহমদের হাদিস
নবীজি বলেন
(ফাইজা বালাগা ফাল ইউজাব্বিজহু) বালেগ
হলে বিয়ে করিয়ে দাও, যদি বালেগ হওয়ার পর কোন বাবা সন্তানকে বিয়ে না করায় আর তাতে যদি সন্তান কোন গুনাহ করে
(ফাইন্নাহা ইছমুহু আলা আবি)
তার গুনাহ তার বাবার উপর বর্তাবে।
যদি বিয়ে করানোর
সামথ না থাকে তাহলে সন্তানকে রোজা রাখতে উৎসাহিত করবেন।
১১) বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রির মতামতকে
গুরুত্ব দেয়া
অনেক সময় মা
বাবা মেয়র বিয়ে ঠিক করে মেয়ের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করেনা, এটা ঠিক না, এ ধরনের একটি ঘটনা নবীজির যুগে
ঘটে যায় যেমন মসনদে আহমদের বণনা
এক মেয়ে আয়শা (রা) এর কাছে এসে বলেন আম্মাজান আমার বাবা
আমার চাচাত ভায়ের সাথে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন, আমি সে বিয়েতে
রাজি ছিলাম না। আয়শা বলেন একটু অপেক্ষা কর আল্লাহর রাসুল আসলে মাসায়ালা
জানতে পারবে। নবীজি আসার পর ঘটনা শুনে মেয়ের বাবাকে ডাকলেন আর
নবীজি মেয়েকে প্রশ্ন কলেন তুমি বল আমি কি তোমার বিয়েটি ভেঙ্গে দিব? তখন মেয়েটি বলল িএয়া রাসুলাল্লাহ আমি আমার বাবার মতামতকে এখন অনুমোদন
দিয়ে দিলাম, তেব এই মাসায়ালাটা আমি কিয়ামত পযন্ত নারীদের জন্য
আপনার কাছ থেকে জেনে নিলাম যাতে নারীরা জানতে পারে যে বিয়ের ব্যপারে তাদের মতামত দেয়ার
অধিকার আছে।
১২) সন্তানের ভরন পোষনের দায়িত্ব আপনার
আবু দাউদের
১৬৯২ নং হাদিসের বণনা
আবদুল্লাহ
ইবনু ’আমর রাযিয়াল্লাহু ’আনহু
সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
كَفَى
بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُضَيِّعَ مَنْ يَقُوتُ " .
কেউ পাপী
হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার উপর
নির্ভরশীলদের রিযিক্ব নষ্ট করে
১৩) সন্তানের জন্য বদদোয়া না করে দোয়া করা
আবু দাউদের
১৫৩২ নং হাদিসের বণনা
" لَا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلَا
تَدْعُوا عَلَى أَوْلَادِكُمْ وَلَا تَدْعُوا عَلَى خَدَمِكُمْ وَلَا تَدْعُوا
عَلَى أَمْوَالِكُمْ، لَا تُوَافِقُوا مِنَ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى سَاعَةَ
نَيْلٍ فِيهَا عَطَاءٌ فَيَسْتَجِيبَ لَكُمْ "
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা নিজেদেরকে বদ্দু’আ করো না, তোমাদের সন্তানদের বদ্দু’আ করো না, তোমাদের খাদিমদের বদ্দু’আ করো না এবং তোমাদের ধন-সম্পদের উপরও বদ্দু’আ করো
না। কেননা ঐ সময়টি আল্লাহর পক্ষ হতে কবুলের মুহূর্তও হতে পারে, ফলে তা কবুল হয়ে যাবে
সন্তানের প্রতি ১৩টি দায়িত্ব ও কতব্য
১) নেককার
নারীকে বিয়ে করা বা বিয়ে করে নারীকে নেককার হিসেবে তৈরী করা
২) কানে
আযান দেয়া
৩) তাহনিক
করা খেজুর চিবিয়ে মুখে উপরের তালুতে সামান্য লাগিয়ে দেয়া
৪) বরকতের
দোয়া করা
৫) আকিকা
করা
৬) সুন্দর
একটি নাম রাখা
৭) নামাজ
শিক্ষা দেয়া/ কোরআন শিক্ষা দেয়া
৮)
সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা
৯)
জিবদ্ধশায় সমান ভাবে সম্পদ বন্ট করা
১০) সামথ থাকলে
ও বিয়ের বয়স হলে বিয়ে করিয়ে দেয়া
১১) বিয়ের
ক্সেত্রে সন্তানের মতামত নেয়া
১২) অন্তত
বালেগ হওয়া পযন্ত ভরন পোষন করা
১৩) বদদোয়া
না করা
কোন মন্তব্য নেই