যে রোগের কোন চিকিৎসা নাই। বড় বড় রোগের কুরআনি রোগ মুক্তির দোয়া।
আবদুল ‘আযীয (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও সাবিত একবার আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। সাবিত বললেন, হে আবূ হামযা! আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তখন আনাস (রাঃ) বললেনঃ আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন তা দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করে দেব? তিনি বললেনঃ হাঁ। তখন আনাস (রাঃ) পড়লেন-
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا.
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বা’সি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফায়ান লা য়ুগাদিরু সুকমা।
হে আল্লাহ! তুমি মানুষের রব, রোগ নিরাময়কারী, আরোগ্য দান কর, তুমি আরোগ্য দানকারী। তুমি ব্যতীত আর কেউ আরোগ্য দানকারী নেই। এমন আরোগ্য দাও, যা কোন রোগ অবশিষ্ট রাখে না।
পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত আছে যা প্রতিদিন ফজর নামাজের পর শুধু একবার পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে সে পানি রোগীকে পান করাতে হবে, যে কোন দুরারোগ্য ব্যধী হউক, যে রোগের কোন চিকিৎসা নাই এমন রোগীর জন্য কুরআনের এই ওয়াজিফাটি পালন করতে পারেন। আর যিনি রোগী তিনি প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের পর এই কুরআনের আয়াতটি ১ বার পাঠ করবেন।
এটি অত্যন্ত পরীক্ষিত একটি ওয়াজিফা, মক্কা শরীফের একজন বড় আলেম যিনি মক্কার হারাম শরীফে ৪০ বছর যাবৎ কুরআন হাদীসের দরস দিয়ে আসছেন, তিনি বলেন আমি আমার বেশ কিছু বন্ধুকে এই ওয়াজিফাটি দিয়েছি যারা ক্যান্সার রোগী, তারা সকলেই আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে গেছেন।
لَيْسَ لَهَا مِن دُونِ اللَّهِ كَاشِفَةٌ
(লাইছা লাহা মিন দুনিল্লাহি কাশেফাহ)
আল্লাহ ব্যতীত কেউ একে (সময়মত) প্রকাশ (দুর) করতে সক্ষম নয়। sura nazam 58
কোন মন্তব্য নেই