যে কোন শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার কুরানি ওয়াজিফা।
ইভটিজিং, শাশুড়বাড়ীর অত্যাচার, এয়ারপোর্টের হয়রানি, যে কোন শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার কুরানি ওয়াজিফা।
যেখানে আপনার কোন বিপদের আশংকা হয়, যেখান থেকে আপনার ক্ষতির আশংকা হয়, কোন শত্রুর আক্রমনের ভয় হয়, কোন অত্যাচারীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে হলে, যে কারো ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে, তখন এই আয়াতটি পড়ে নিলে আল্লাহর রহমতে আপনি সব ধরনের ক্ষতি থেকে বেঁচে যেতে পারবেন।
এই কুরানি ওয়াজিফাটি একজন নকশবন্দী বুযুর্গ আলেম যে যে বিপদগ্রস্থকে এই ওয়অজিফা দিয়েছেন তিনি বলেন প্রত্যেকেই এর সুফল পেয়েছেন যেমন তিনি বলেন-
একজন নারীর বিয়ের পর তাঁর শ্বাশুড় বাড়ীর লোকজন খুবই অত্যাচার করত শ্বাশুড়ি ননদ সকলে মিলে জুলুম করত তখন সে আমার কাছে এই অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য কুরআনি ওয়াজিফা চাইল আমি তাকে বললাম তুমি ফজরের নামাজ পড়ে এই আয়াতটি পড়ে তাদের দিকে ফুঁক দিবে দেখবে তাঁরা তোমার প্রতি আর অত্যাচার করবে না। সে মেয়ে কিছুদিন পর নিজেই জানাল - সে এখন শান্তিতে আছে।
এর আরো ১টি কার্যকরী কাজ আছে যেমন অনেক মেয়েরা স্কুল কলেজ মাদরাসায় যাওয়ার সময় এলাকার বখাটে ছেলেরা নানা ভাবে উক্তত্য করে এমন অত্যাচার ইভটিজিং এর কারনে আমাদের দেশে অনেক মেয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে বসে, এই ধরনের ইভটিজিং থেকে বাঁচার জন্য আপনি যদি এই আয়াতটি পাঠ করে সে সব ইভটিজারদের দিকে ফিরে ফুঁক দেন তাহলে ইনশাআল্লাহ কাজ হবে। ফুঁক দুর থেকে দিলেও হবে।
এ ভাবে আপনি যখনই কারো পক্ষ থেকে কোন জুলুম অত্যাচারের আশংকা করবেন হয়রানের আশংকা করবেন তখনই আপনি এই আয়াত এর আমলটি করতে পারেন।
মাওলানা নকশবন্দী সাহেব তাঁর নিজেই এই আমলটি করার উপকারিতার কথা উল্লেখ করে বলেন- আমি দাওয়াতি কাজে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সফর করি, একদিন দুবাই এয়ারপোর্টে আমার ব্যাগ খোলা হল সেখানে আমার কিছু কিতাব ও বয়ানের কিছু নোট ছিল তখন আমার এসব কিতাব ও নোটগুলি তারা সব চেক করল আর আমাকে বলল এসব কিতাব নোট নিয়ে এয়ারপোর্ট অতিক্রম করা নিষিদ্ধ, তারা আমাকে সতর্ক করল এ ধরনের বই পুস্তক নিয়ে যেন আর না আসি, সেদিন থেকে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম েএবং সিদ্ধান্ত নিলাম এয়ারপোর্টের এমনতর পেরেশানি থেকে হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য কুরানের আয়াতের এই ওয়াজিফাটি করব, আজ ৮/১০ বছর যাবৎ আমি সে আয়াতটি পড়তে থাকি ফলে আল্লাহর রহমতে আমার কোন সমস্যা আর হয়নি। সে আয়াতটি হল সুরা এয়াসিনের ৯ নং আয়াত
وَجَعَلْنَا مِن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لاَ يُبْصِرُونَ
আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৯ ]
কোন মন্তব্য নেই