সন্তান লাভের দোয়া। পুত্র সন্তান লাভের দোয়া ও আমল। কুরআনি দোয়া ও আমল

 নিঃসন্তানের ওয়াজিফা, পুত্র সন্তানের ওয়াজিফা



সন্তান দেয়ার মালিক আল্লাহ, সে জন্য আল্লাহর কাছে চাইতে হবে, কি দোয়া করবেন তা আজ বলব তবে প্রথম কাজ হল স্বামী স্ত্রী দুজনই ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকাপ করাবেন, যদি কারো কোন সমস্যা না থাকে তাহলে দোয়া করতে থাকবেন, আর যদি কোন ১ জনের সমস্যা থাকে তার চিকিৎসাও করাবেন সাথে সাথে দোয়াও পড়বেন, আগে আসবাব অবলম্বন করতে হবে ধরুন একজন বিয়েই করেনি এখন সে যদি ওয়াজিফা পড়ে সন্তানের জন্য তাহলে কি তার বাচ্চা হবে? হবেনা, সে জন্য আগে ওয়াজিফা নয় আগে আসবাব এখতেয়ার করবেন, যেমন হযরত ইবরাহিম (আঃ) করেছেন- সারার বাচ্চা হচ্ছিলনা তখন হাজেরার সাথে বিয়ে দিলেন-

তখন হযরত ইবরাহিম (আঃ) হযরত সারা (রা) এর পরামর্শের উপর ভিত্তি করে হযরত হাজেরাকে নিকাহ করেন।

অতঃপর হযরত ইবরাহিম (আঃ) যখন হযরত হাজেরা নিকাহ করলেন তখন আল্লাহ তায়ালা হযরত ইসমাইল (আঃ) কে দান করলেন। হযরত ইবরাহিম (আঃ) বিয়ে করেছেন সাথে সাথে একটি দোয়াও করেছেন (রাব্বি হাবলি মিনাস সোয়ালিহিন)

সুতরাং কারো যদি সন্তান না হয় সে যদি আন্তরিকতার সাথে প্রত্যেক নামাজের পর এই দোয়াটি পড়ে (রাব্বি হাবলি মিনাস সোয়ালিহিন) আল্লাহ তায়ালা তাকে সন্তান দান করবেন এবং যার শুধু কন্যা সন্তান হয় পুত্র হয়না তাকেও আল্লাহ এই দোয়াটি করলে পুত্র সন্তান দান করবেন।

২য় ওয়াজিফা হল (রাব্বি লা তাজারনি ফারদান ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিছিন)
এটি সুরা আম্বিয়ার ৮৯ নং আয়াত যে দোয়াটি হযরত জাকারিয়া (আঃ) করেছিলেন

وَزَكَرِيَّا إِذْ نَادَى رَبَّهُ رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
এবং যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহবান করেছিল; হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস। [ সুরা আম্বিয়া ২১:৮৯ ]

৩য় ওয়াজিফা হল- যাদের সন্তান হয়না কোন শারিরিক সমস্যাও নাই তারা যখনই সুযোগ পাবেন তখনই সুরা ইউসুফ পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.