কোন আমলের কি ছাওয়াব। কোন আমলের কি ফজিলত

 আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।



 আজ ইনশা আল্লাহ কোন আমল করলে কি নেকি পাওয়া যাবে আল্লাহ তায়ালা কোন ধরনের প্রতিদান দিবেন এ ব্যপারে আজ কুরআন ও হাদীস শরীফের আলোকে আলোচনা করব।

  পবিত্রতার ফজিলত-

পবিত্রতা অর্জনকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন

সুরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেন (ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুত তাওয়্যাবিনা ওয়া ইউহিব্বুল মুতাতাহহিরিন) ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীগণকে ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদিগকেও ভালোবাসেন।’

 

পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ

 

হাদিস শরিফে রয়েছে, আবু মালিক আশআরী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আত তহুরু শাতরুল ইমানঅর্থাৎ, পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘আত তহুরু নিসফুল ইমানঅর্থাৎ, পবিত্রতা ইমানের অর্ধেক (মুসলিম শরিফ, মিশকাত শরিফ,)

 

মিসওয়াক করে নামাজির মুখে ফেরেশতা মুখ রাখে

 

হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত মসনদে বাজ্জারের ২০৩ নং হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যার মফহুম হল যখন কেহ মেসওয়াক করে নামাজে দাঁড়ায় এবং কেরাত পাঠ করে তখন তার মুখে ফেরেশতা মুখ লাগিয়ে দেয় এবং সে কেরাতের সবগুলি আয়াত ফেরেশতার মুখে চলে যায়।

 

মৃত্যুর সময় আজরাইল শয়তানকে ভাগিয়ে দেন কলমা মনে করিয়ে দেন

# কলমা নসিবঃ হাদীসে পাকে আছে যে লোক অতি যন্তসহকারে মিসওয়াক করেতার শেষ সময় মালাকুল মওত আসে এবং ২টি কাজ করেন যেমন শয়তানকে ভাগিয়ে দেন এবং মৃত্যুপথযাত্রীকে কলমা মনে করিয়ে দেন। চিন্তা করুন এটা কতবড় নেয়ামত যে মালাকুল মওতই স্মরণ করিয়ে দিবে যে তোমার যাওয়ার সময় হয়েছে এবার কলমা পাঠ করে নাও।

 #মিসওয়াকের সাথে ২ রাকাত মিসওয়াক ছাড়া ৭০ রাকাতের সমান (তারগিব তারহিব হাদীস নং ১৮)

 অজুর ফজিলত

পরিপূর্ণ অজু করলে ইমামের কেরাতে নামাজে ভুল হয়না

মুছনাদে ইমাম আহ্মাদ গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে যে,

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَقَرَأَ بِهِمُ الرُّومَ فَأَوْهَمَ ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: إِنَّهُ يَلْبَسُ عَلَيْنَا الْقُرْآنُ ، إِنْ أَقْوَامًا مِنْكُمْ يُصَلُّونَ مَعَنَا لَا يُحْسِنُونَ الْوُضُوءَ ، فَمَنْ شَهِدَ الصَّلَاةَ مَعَنَا فَلْيُحْسِنِ الْوُضُوءَ.

অর্থ- একদা রাছূলুল্লাহ 1 তাদের (সাহাবায়ে কিরাম কে) নিয়ে ফাজ্রের সালাত আদায় করেন। তিনি তাতে ছূরা আর্রূম তিলাওয়াত করেন। তবে তাতে (তিলাওয়াতে) তাঁর বিভ্রম বা বিভ্রাট ঘটে। নামায শেষে মুখফিরিয়ে তিনি বললেন- নিশ্চয় ক্বোরআন তিলাওয়াত করতে যেয়ে আমাকে জট লাগিয়ে দেয় (বিভ্রাট বা বিভ্রম ঘটায়) নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আমাদের সাথে সালাত আদায় করে; যারা উত্তম রূপে অযূ করে না (আর একারণেই আমার এমনটি হয়ে থাকে) অতএব যারা আমাদের সাথে সালাত আদায় করতে আসবে, তারা যেন সঠিক-সুন্দর ভাবে অযূ সম্পন্ন করে

 

অজুকারীর অঙ্গ দেখে নবী হাশরের মাঠে উম্মতকে চিনতে পারবেন

অজুর ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য হাদিস থেকে একটি তুলে ধরা হলো-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ : " تَرِدُ عَلَي أُمَّتِي الْحَوْضُ وَأَنَا أَذُودُ عَنْهُ كَمَا يَذُودُ الرَّجُلُ إِبِلَ الرَّجُلِ عَنْ إِبِلِهِ . قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ تَعْرِفُنَا ؟ قَالَ : نَعَمْ ، لَكُمْ سِيمَا لَيْسَ لأَحَدٍ غَيْرِكُمْ ، تَرِدُونَ عَلَيَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ ، وَلَيَصُدَّنَّ طَائِفَةٌ مِنْكُمْ فلَا يَصِلُونَ فَأَقُولُ : يَا رَبِّ هَؤُلاءِ مِنْ أَصْحَابِي ، فَيَجِيءُ مَلَكٌ فَيَقُولُ : هَلْ تَدْرِي مَا أحْدثُوا بَعْدَكَ "

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মাত (কিয়ামাতের দিন) আমার নিকট উপস্থিত হবে আর আমি লোকদেরকে তা থেকে (হাউজ) এমনভাবে বিতাড়িত করবো, যেভাবে কোনো ব্যক্তি তার উটের পাল থেকে অন্যের উটকে বিতাড়িত করে লোকেরা বলল হে আল্লাহ রাসুল! আপনি কি আমাদেরকে চিনতে পারবেন? জবাবে তিনি বললেন হ্যাঁ তোমাদের এক নিদর্শন হবে যা অন্য কারো হবে না অজুর প্রভাবে তোমাদের মুখমণ্ডল হাত-পায়ের উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে পড়বে উজ্জ্বল জ্যোতি বিচ্ছুরিত হওয়া অবস্থায় তোমরা আমার নিকট উপস্থিত হবে আর তোমাদের একদল লোককে জড়ো করে আমার থেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে ফলে তারা আমার কাছে পৌঁছতে পারবে না তখন আমি বলব, হে আমার রব! এরা তো আমার লোক ফিরিশতারা আমাকে বলবে, আপনি জানেন না আপনার অবর্তমানে তারা কি কি নতুন কাজ (বিদাআত) করেছে বুখারি মুসলিম)

 

সব সময় অজুর সাথে থাকার ফজিলত

 

হযরত বেলাল (রা) নবীর (দ) আগে জান্নাতে

মসনদে আহমদের ২৩০৫৭ নম্বর হাদিস- হযরত বুরায়দা (রাঃ) বণনা করেন একদিন সকালে হুযুর (দঃ) হযরত বেলালকে ডাকলেন আর ফরমালেন কোন জিনিষ তোমাকে আমার আগে জান্নাতে নিয়ে গেল? আজ আমি জান্নাতে আমার আগে আগে তোমার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলাম, হযরত বেলাল (রাঃ) জবাব দিল এয়া রাসুলাল্লাহ অজু করার পর সদা আযানের আগে ২ রাকাত নামাজ পড়ি এবং যখনই অজু ভঙ্গ হয় পুনরায় নতুন অজু করে নিই। তখন নবী করিম (দঃ) বললেন আচ্ছা তাহলে এটাই কারন।

 

আযান দেয়ার ফজিলত

হযরত আবদুর রহমান বিন আবি ছাছাআ(রা)

কে আবু সাঈদ খুদুরী বললেন তুমি জঙ্গলে আজান দাও

 

সহিহ বুখারীর ৬০৯ নং হাদিস- হযরত আবদুর রহমান বিন আবি ছাছাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমাকে হযরত আবু সাঈদ খুদুরি (রাঃ) বললেন আমি জানি তুমি জঙ্গলে থাকতে পছন্দ কর সুতরাং তুমি যখন নামাজের ওয়াক্ত হবে তখন উচুঁ আওয়াজে আযান দিবে, কেননা মুয়াজ্জিনের আওয়াজ যে কোন জিন মানুষ ও যে কোন কিছু শুনবে কেয়ামতের দিন তারা সে মুয়াজ্জিনের জন্য স্বাক্ষি দিবে। হযরত আবু সাঈদ বলেন আমি এ কথা নবী (দ) থেকে শুনেছি।

 

আযানের জবাব দেয়ার ফজিলত

আযানের প্রতি হরফে নারীদের ১০ লাখ নেকি পুরুষদের ২০ লাখ

 

#মুসলিম হাদীস নাম্বার ৩৮৫। নবী (দ) ফরমান- আযানের জবাব দাতা জান্নাতে প্রবেশ করবে

 

#তবরানি কবির হাদীস নম্বর ২৮। উম্মুল মুমিনিন মাইমুনা (রা) বলেন নবী (দ) নারীদের লক্ষ্য করে বলেন হে নারী যখন তোমরা এই হাবশি (হযরত বেলালের) আযান একামত শুন তখন তার মত তোমরাও বল যদি তা কর তা হলে প্রতি হরফের বদলায় ১০ লাখ নেকি, তখন হযরত ওমর (রাঃ) বললেন এয়া রাসুলুল্লাহ এ নেকিতো নারীদের জন্য আমাদের জন্য কি? তখন নবীজি ফরমালেন হে ওমর পুরুষদের জন্য তার দ্বিগুণ ছাওয়াব।

আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর এখানে ১৬টি হরফ ১৬ * ১০০০০০০= ১ কোটি ৬০ লাখ নেকি নারীদের আর পুরুষদের ৩ কোটি ২০ লাখ। সম্পূর্ণ আযানের জবাবে ৩৭কোটি ২০ লক্ষ নেকি পুরুষদের আর নারীদের ১৮কোটি ৬০ লাখ।

 

আযানের পর দোয়ার ফজিলত

কেয়ামতের দিন নবীর শাফায়াত নসিব হবে

সহিহ বুখারী ৬১৪ নং হাদিস- হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা) বলেন নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যে আযানের পর এই দোয়া পড়বে তার জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশ করা আমার জন্য হালাল হয়ে যাবে। (আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ ওয়াসালাতিল কায়িমাহ আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলা ওয়াল ফাদিলা ওয়াবায়াসহু মাকামাম মাহমুদা নিল্লাজি ওয়াত্তাহ)

 

আযানের পর দোয়া কবুল হয়- আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়

মসনদের আহমদ এর ১৪৬৯৫ নম্বর হাদিস। হযরত জাবের (রা) বলেন সরকারে মদিনা (দ) এরশাদ করেন যখন আযান দেয়া হয় তখন আসমানের দরজা খুলে দেয়া দেয়া হয় এবং দোয়া করলে তা কবুল করা হয়।

 

সিজদার ফজিলত- নবীর সাথে জান্নাতে থাকার উপায়

হযরত রবিয়া বিন কাব (রাঃ) বলেন আমি নবী করিম (দ) এর খেদমত করতাম, একদিন দয়াল নবী বললেন রবিয়া তুমি যা চাওয়ার চাও, রবিয়া বলল এয়া রাসুলাল্লাহ আমি জান্নাতে আপনার সঙ্গ চাই, নবী বলেন আর কিছু কি চাও? সে বলল না এটাই আমার জন্য যথেষ্ট তখন প্রিয় নবী (দ) ফরমালেন বেশী বেশী সিজদা করে এ ব্যপারে তুমি আমাকে সাহায্য কর।

অর্থ্যাৎ তুমি যদি বেশী বেশী সিজদা কর তাহলে তোমাকে আমার সাথে জান্নাতে নিতে আমার জন্য সহজ হবে।

*** সুতরাং আমাদের উচিত শুধু ফরয নয় বরং বেশী বেশী নফল নামাজ সুন্নত নামাজ তাহাজ্জুদ, এশরাক, আওয়াবিন নামাজের মাধ্যমে সিজদার পরিমান বৃদ্ধি করা, এবং তারাবী নামাজের সংখ্যা কম না করে বেশী করার চিন্তা করা।

 

সিজদার প্রসংসায় সুরা ফাতাহর ২৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন

مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاء عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاء بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ

মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন  

 

দিনে লম্বা সিজদা ও রাতে লম্বা কিয়াম

আমাদের প্রিয় নবীর কিছু হাদীসে দেখা যায় লম্বা লম্বা সেজদা ওয়ালা নামাজকে উত্তম বলেছেন আবার কিছু হাদিসে লম্বা কিয়াম ওয়ালা নামাজকে উত্তম বলেছেন, এই দুই ধরনের হাদীসের মধ্যে সামাঞ্জস্য বিধানে মুহাদ্দিসিন একরাম বলেন দিনে লম্বা সিজদা করা আফযল আর রাতে লম্বা কিয়াম করা আফযল।

 

রুকু থেকে উঠার সময় দোয়ার ছাওয়াব

রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসিরান তাইয়িবান মুবারাকান ফিহ

আবূদুল্লাহ্ ইবনু মাসলামা (রহঃ) রিফা ইবনু রিফিযুরাকী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত (নামাজ) আদায় করলামতিনি যখন রুকূথেকে মাথা উঠিয়েসামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাবললেন, তখন পিছন থেকে এক সাহাবীরাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসিরান তাইয়িবান মুবারাকান ফিহবললেন সালাত (নামাজ) শেষ করে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কে এরূপ বলেছিল

সে সাহাবী বললেন, আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি দেখলাম ত্রিশ জনের বেশী ফিরিশতা এর সাওয়াব কে আগে লিখবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন। (সহিহ বুখারি:৭৯৯)

জামাতে নামাজ পড়ার অসংখ্য ফজিলত

#বুখারী হাদীস নাম্বার ৬৪৫- জামাতে নামাজ একাকি নামাজ থেকে ২৭ গুণ বেশী ছাওয়াব।

#বুখারী হাদীস নাম্বার ৬৪৭- ঘরে অজু করে মসজিদে জামাতের দিকে গেলে

(১) প্রতি কদমে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে

(২) প্রতি কদমে ১টি গুনাহ মাফ হবে

(৩) যতক্ষন জামাতের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষন নামাজের ছাওয়াব পায়

(৪)নামাজের পর যতক্ষন বসা থাকে ততক্ষন ফেরেশতা মাগফেরাতের জন্য দোয়া করতে থাকে।

#মসনদে আহমদ হাদীস নাম্বার ৫১১২- আল্লাহ জামাতে নামাজ আদায়কারীর উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান।

#তিরমিযি ২৪১- যে তকবীরে উলার সাথে ৪০ দিন নামাজ পড়বে তার জন্য ২টি মুক্তি (১) জাহান্নাম থেকে মুক্তি (২) মুনাফিকি থেকে মুক্তি

 

প্রথম কাতারের ফজিলত

মসনদে আহমদের ২১৩২৩ নং হাদীস- হুযুর (দ) ফরমান প্রথম কাতার হল ফেরেশতাদের কাতারের সমমর্যাদার কাতার, যদি তোমরা প্রথম কাতারে নামাজের ফজিলত জানতে তাহলে তাহলে প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিযোগিতা করতে।

#অপর হাদীসে আছে নবী করিম (দ) এরশাদ করেন নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা প্রথম কাতারে রহমত প্রেরণ করেন।

#বুখারীর ৬১৫ নং হাদীস - মহানবী এরশাদ করেন যদি আযান দেয়া ও প্রথম কাতারো কি ফজিলত তোমরা জানতে তাহলে তার জন্য তোমরা লটারি করতে।

 

মসজিদে ডান পাশে দাঁড়ানোর ফজিলত

সুনানে আবু দাউদের ৬৭৬ নম্বর হাদিস- হযরত আয়শা (রা) হতে বর্ণিত নবী করিম (দ) এরশাদ করেন- কাতারের ডান দিকে আল্লাহ তায়ালা ও ফেরেশতারা রহমত প্রেরণ করেন।

 

মসজিদ বানানোর ফজিলত

#বুখারী-৪৫০। নবী করিম (দ) এর ফরমান যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ বানাবে তার জন্য আল্লাহ জান্নাতে ঘর বানাবেন।

# তাবরানি ৫০৫৯। যে হালাল টাকা দিয়ে মসজিদ বানাবে আল্লাহ জান্নাতে তার জন্য এয়াকুত ও মুতি দ্বারা ঘর বানাবেন

# ইবনে মাজাহ ২৪২। মৃত্যুর পরও ছাওয়াব জারি রাখার সহজ উপায় হল মসজিদ বানানো।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.