মসজিদের ফজিলত
দুর থেকে মসজিদে
যাওয়ার ফজিলত
মুসলিম শরীফের হাদীস ৬৬৫। হযরত জাবের (রা) হতে বর্ণিত তিনিবলেন মসজিদে নববীর পাশে কিছু খালি জায়গা ছিল তখন বনু সালমার লোকেরা মসজিদে নববীর পাশে সে খালি জায়গায় বাড়ী ঘর স্থানান্তরের নিয়ত করল, যখন এ কথা হুযুর (দ) জানতে পারলেন তিনি বনু সালমার লোকদের ফরমালেন “আমি খবর পেয়েছি তোমরা মসজিদের কাছে চলে আসতে চাচ্ছ? তারা বলল জি হ্যাঁ এয়া রাসুলাল্লাহ, তখন নবী (দ) ২ বার বললেন “ নিজ ঘরে থাক কেননা তোমাদের প্রতি কদমে ছাওয়াব লেখা হয়” বনু সালমা বলেন আমরা এই ফরমান শুন এত খুশি হয়েছি যদি আমরা ঘর স্থানান্তর করতাম এত খুশি হতাম না।
#মাজমাউয যাওয়ায়েদ হাদীস নাম্বার ২০৯২।
মাঝারী কদমে মসজিদে যাওয়া
হযরত জায়েদ বিন সাবেত বলেন আমরা হুযুর (দ) এর সাথে নামাজে যেতাম, একদিন হুযুর ফরমালেন তোমরা কি জান আমি ছোট ছোট ও মাঝারি ধরনের কদম দিয়ে কেন নামাজে যাই? তখন আমরা বললাম আল্লাহ ও রাসুল ভালো জানেন, তখন হুযুর (দ) বললেন এই জন্য মাঝারি কদম দিই যাতে বেশী বেশী কদম ফেলে নামাজে যেতে পারি।
#সাহাবীকে মসজিদে আসতে গাধা নিতে বলা
মুসলিম শরীফের ৬৬৩ নং হাদিস। হযরত উবাই বিন কাব (রা) বলেন এক আনসারি সাহাবী অনেক দুর থেকে মসজিদে আসত, কোনদিন তার নামাজ ছুটতনা, যখন তাকে বলা হল একটি গাধা নিতে সে জবাব দিল আমি মসজিদের কাছে থাকতে পছন্দ করিনা কারন আমি চাই আমার মসজিদে আসা ও যাওয়ার কদমগুলি লেখা হউক। তার এ কথা যখন নবী (দ) জানতে পারলেন তখন বললেন আল্লাহ তোমার আশা পুরণ করে দিবেন।
#তাবরানি কবির হাদীস নাম্বার ৭৭৩৯। হযরত আবু উমাম (রা) বর্ণনা করেন- খাতামুল মুরসালিন রাহমাতুলিল আলামিন জনাবে সাদেকুল আমিন (দ) এরশাদ করেন মসজিদে আশা যাওয়া আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের মত।
#মুসলিম শরীফের ৬৬৯ নং হাদীস। হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বণিত রাসুলে বেমেছাল (দ) এরশাদ করেন মসজিদে যাওয়া আসা করে আল্লাহ তায়ালা তার প্রত্যেক যাওয়া আসার বদলায় জান্নাতে এক একটি মেহমানখানা বানাবেন।
#মুসনদে আবি এয়ালা হাদিস নম্বর ৪৭৪। হযরত আলী (রা) বর্ণনা করেন- মাহবুবে রাব্বুল ইজ্জত (দ) এরশাদ করেন- পরিপূর্ণ অজু করে, মসজিদে যাওয়া এক নামাজের পর অপর নামাজের অপেক্ষা করা গুনাহকে পরিস্কারভাবে ধুয়ে ফেলে।
সহিহ ইবনে হিব্বান হাদিস নাম্বার ৪৯৯।
আল্লাহ গ্যারেন্টার জামিনদার
হযরত আবু উমাম (রা) হতে বর্ণিত নবিয়ে মুকাররাম (দ) এরশাদ করেন- ৩ প্রকার লোক এমন যাদের জামিনদার (গ্যারান্টার) স্বয়ং আল্লাহ যদি সে ৩ প্রকার লোক জীবিত থাকে তাহলে তাদের রিযিক দিবেন, আর মৃত্যু বরণ করলে আল্লাহ তাদের জান্নাত দান করবেন। (১) যে নিজের ঘরে প্রবেশ করে সালাম দেয় (২) যে ব্যক্তি মসজিদে দিকে যায় (মসজিদের দিকে যায় মানে বেশী বেশী মসজিদে যায় ৫ ওয়াক্তে ৫ বার মসজিদে যায়, যে কোন পরিস্থিতিতে মসজিদে গিয়ে বা জামাত নামাজ আদায় করে) (৩) যে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়। (অর্থ্যাৎ সে হয়ত জিহাদ ফি সবিলিল্লায় বের হয়, অথবা দ্বীন ইসলাম প্রচারে বের হয়, কিংবা দ্বীনি জ্ঞান অজনে বের হয় অথবা হালাল রুজি হাসিল করার জন্য বের হয়) এই ৩ প্রকারের লোকের জন্য আল্লাহ তায়ালাই গ্যারান্টার বা জামিনদার।
অন্ধকার রাতে মসজিদে যাওয়ার ছাওয়াব
#সহিহ ইবনে হিব্বানের ২০৪৪ নং হাদীস- শাহেনশাহে মদিনা (দ) বলেন যে রাতের আধারে মসজিদে যায় কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে নিজের নুরের জেয়ারত করাবেন।
#তাবরানিয়ে কবির ৭৬৩৩। মাহবুবে খোদা (দ) এরশাদ করেন- রাতের অন্ধকারে মসজিদের দিকে আসা যাওয়াকারীর জন্য (হাশরের মাঠে) নুরের মিম্বরের সুসংবাদ। যখন লোকেরা ভীত সন্ত্রস্থ হবে সে সকল ভয় ভীতি থেকে মুক্ত থাকবে।
ইমাম নখঈ বলেন- সাহাবায়ে কেরাম অন্ধকার রাতে মসজিদে যাওয়াটা জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার আমল মনে করতেন।
মসজিদ আবাদ করার ছাওয়াব
সুরা তওবায় ১৮ নং আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেন (ইন্নামা এয়ামুরু মাসাজিদাল্লাহি মান আমানা বিল্লাহি ওয়াল এয়াউমিল আখির) অর্থ্যাৎ যারা আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে তারাই মসজিদকে আবাদ করে।
#মাযমাউয যাওয়ায়েদ হাদিস নাম্বার ২০২৬। হযরত আবুদ দারদা (রা) বর্ণনা করেন- জনাবে সাদেকুল আমিন (দ) এরশাদ করতে শুনেছি- মসজিদ হল পরহেজগারদের ঘর, আর যার ঘর মসজিদ হয় তাকে আল্লাহ নিজ রহমত ও সন্তুস্টির সাথে পুলসিরাত পার করাবেন এবং জান্নাতের জামানত দিচ্ছেন।
#মাজমাউয যাওয়ায়েদ হাদিস নাম্বার ২০৩১। হযরত আবু সাঈদ (রা) বয়ান করেন- হাবিবে পারওয়ারদিগার (দ) এরশাদ করেন “যে মসজিদের সাথে মহব্বত করে আল্লাহ তাকে নিজের মাহবুব বানিয়ে নেন”
#ইবনে মাজা হাদিস নাম্বার ৮০০। হযরত আবু হুরায়ারা (রা) হতে বর্ণিত নবীদের সরদার (দ) এরশাদ করেন- যখন কোন বান্দা জিকির ও নামাজের জন্য মসজীদকে নিজের ঠিকানা বানিয়ে নেন তখন আল্লাহ এমন খুশি হন যেমন লোক তার হারিয়ে যাওয়া বস্তু ফিরে পেলে খুশি হয়।
All Bangla Youtube Link
কোন মন্তব্য নেই