100% গ্যারান্টিসহ বরকতের খাজানা লাভের উপায়। All bangla dua amol wazifa


বরকতের খাজানা পাওয়ার উপায়



আজ সাধারন মানুষের জীবন থেকে বরকত দুর হয়েগেছে, ঘরের যত লোক আছে সকলেই কামাই করে তবুও ঘরের অভাব দুর হয়না, কোমর বেঁধে ময়দানে নেয়ে যায় পেরেশানি দুর করার জন্য কিন্তু পেরেশানি দুর হয়না।

আজ আমি মুসলমানদের বরকতের খাজানা সম্পর্কে শতভাগ খাটি একটি উপায় বলব- প্রথমে একটি বাস্তব ঘটনা শুনাই

এক নওজোয়ান ইঞ্জিনিয়ারি পাশ করে ইউরোপের এক দেশে চলে গেল, সেখানে যখন চাকরীর জন্য এপ্লাই করল তখন সে একটি ভালো চাকরি পেয়ে গেল। যেখানে তার চাকরী হল সে কোম্পানিতে এক খ্রিষ্টান মেয়েও চাকরী করত, মেয়েটি হুর পরির মত সুন্দরী ছিল। কাজের সুবাধে সে মেয়েটির সাথে তার প্রায় সময় কথাবার্তা হত, ফলে ছেলেটি সে মেয়েটির প্রতি আসক্ত হয়ে গেল, সে মেয়েকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেল, সে যখন মেয়েটির বাবা মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেল, তারা সে প্রস্তাব নাকচ করে দিল, কিন্তু সে মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য যে কোন শর্তে রাজি হওয়ার ঘোষনা দিল।

তখন মেয়ের বাবা মামা বলল আমাদের মেয়েকে বিয়ে করতে হলে তোমাকে খ্রিষ্টান হতে হবে, মুসলিম বন্ধুদের ছাড়তে হবে, এদেশে সব সময় থাকতে হবে, দেশের সাথে কোন যোগাযোগ রাখা যাবেনা, প্রতি সপ্তাহে আমার মেয়ের সাথে চার্চে যেতে হবে। সে ছেলেটি মেয়েটিকে পাওয়ার জন্য এমন অন্ধ হয়ে গেল যে সে সব শর্তে রাজি হয়ে তাকে বিয়ে করল। সে এখন আর মুসলমান নাই সব কিছু ছেড়ে দিয়েছে, তবে তার কাছে তার বইসমুহের মধ্যে পবিত্র কুরআন ছিল যা সে প্রতিদিন পড়ত। নামাজ পড়তনা, আর কোন নেক কাজও করত না, কিন্তু সে যেহেতু নিয়মিত কুরআন পড়ত অথ ও তফসিরসহ, সে অভ্যাসমত সে কুরআন পড়তে থাকে, আর কুরআনের সাথে তার একটা মহব্বতও ছিল।

বিয়ের কয়েকমাস পর সে মেয়েটি বুঝতে পারল সে কুরআন পড়ে তখন সে মেয়েটি ছেলেটির অনুপস্থিতিতে কুরআনের কপিগুলি নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে আসল, ছেলেটি ঘরে এসে যখন তার প্রাণের চেয়ে প্রিয় আল্লাহর কালামকে তার খ্রিষ্টান স্ত্রী ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে দেখেছে সে আর সহ্য করতে পারেনি, সে স্ত্রীকে ডিভোস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল এবং নিজে তওবা করে পুনরায় মুসলমান হয়ে গেল। ছেলেটি যদিও কিছু সময়ের জন্য শয়তানের ধোকায় পড়ে পথহারা হয়ে গিয়েছিল কিন্তু কুরআনের প্রতি ভালবাসার কারনে আল্লাহ তাকে পুনরায় হেদায়েতের রাস্তা দেখিয়েছেন।

আজকাল আমাদের রিজিকে বরকত নাই, ওয়াক্তে বরকত নাই, স্মরণশক্তিতে বরকত নাই, ইজ্জত সম্মানে বরকত নাই, এই বে-বরকতির আসল কারন হল কুরআন মজিদ অনুযায়ী জীবন যাপন না করার কারনে। আজকাল যে সব ঘরে নিয়মিত খবরের কাগজ পড়া হয় সে সব মুসলমান ঘরে নিয়মিত কুরান পাঠকারী কেহ নাই।

এটা কতই আযব কথা যে বরকতের খাজানা আমাদের কাছেই আছে, কিন্তু আমরা তাবিজের জন্য আমেলদের পিছে পিছে দৌঁড়াই। এটা চিন্তার বিষয়। কুরআনে মজিদ আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেনই এই জন্য যে আমরা যাতে এর দ্বারা আমাদের জিন্দেগীকে বরকতময় বানাতে পারি।

কুরআনে মজিদের প্রতি মহব্বতের সবচেয়ে ছোট ফজিলত হল এর দ্বারা মানুষের ঈমান হেফাজতে থাকে। কুরআনের মজিদের প্রতি মহব্বতের কারনে আল্লাহ ইঞ্জিনিয়ার ছেলেটির ঈমানকে হেফাজত করে দিয়েছেন। এই কুরআন দুনিয়াতেই এসেছেই এ জন্য যে তা মানুষকে ঈমানের নুর বিতরন করবে। মানুষের জীবনকে সুন্দর করবে। বরকতময় করবে।

তাই প্রত্যেক মুসলমান মাত্রেরই উচিত এই কুরআনের সাথে সম্পর্ক জুড়ে রাখা, নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করা, কুরআন শিক্ষা করা সন্তানদেরও কুরআনের শিক্সায় শিক্ষিত করা। তাহলে জীবনে মরনে হাশরে কোন কিছুই বরকতশুণ্য হবেনা।


কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.