চুল লম্বা করার ওজিফা। চুল ঘন কালো শক্ত মজবুত রাখার নিয়ম

 চুল লম্বা করার ওজিফা। চুল ঘন কালো শক্ত মজবুত রাখার নিয়ম

Wazifa for Long Hair - Hair Loss Ka Wazifa





বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম; আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

আপনারা সকলে জানেন এই চ্যানেলে আমরা রুহানি ও জিসমানি দোয়া আমল ওজিফার সিলসিলা শুরু করেছি আর এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমি মা বোন ও মেয়েদের জন্য এক চমৎকার গিফট পেশ করতে যাচ্ছি

আপনারা আরো জানেন লম্বা ঘন চুল পছন্দ নয় এমন নারী খুবই কম পাওয়া যায়। নারীদের ব্যপারে সবসময় তাদের চুলের আলোচনা জরুরী মনে করা হয়।কেননা ঘন লম্বা ও সুন্দর চুল একজন নারীর জন্য সদা তার সৌন্দর্য্যের প্রতিক হয়ে থাকে।  চুল লম্বা হউক কিংবা ছোট কিন্তু তা তখনই সুন্দর লাগে যখন সে চুলের যত্ন নেয়া হয়।

এখন ছেলে হউক কিংবা মেয়ে সকলেই তাদের চুলকে সুন্দর রাখার চেষ্টায় লেগে থাকতে দেখা যায়। বেশী বেশী সেম্পু ব্যবহার দ্বারা আজকাল মানুষ চুলের যন্তের পরিবর্তে চুলের সৌন্দর্য্য বেশী নষ্ট করে ফেলে। অল্প বয়সেই চুল সাদা হয়ে যায়। চুল পড়া আরম্ভ হয় এবং দ্রুত মাথা টাকলা হয়ে যায়।

অনেক সময় এটাও দেখা যায় চুল কম হওয়ার কারনে বিয়ে শাদিতে সমস্যা হয়ে যায়।

আজ সকল ভাই ও বোনদের জন্য চুল ঘন করা চুল পড়া বিশেষ করে যারা টাকলা হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য ২টি এমন ওজিফা বননা করতে যাচ্ছি।

আর তার এত ভালো লেজাল্ট - যার জন্য আমি চিন্তা করলাম আজ সকল ভাই ও বোনদের যারা বাংলাদেশ সৌদিআরব ইন্ডিয়া কানাডা সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের ভিডিও দেখেন ও শুনেন এবং খুবই জজবার সাথে মহব্বত ভরা সালাম ও কমেন্ট করে থাকেন লাইক করে থাকেন তাদেরকে এই ওজিফা তুহফা হিসেবে বলতে যাচ্ছি।

শুধু ২টি ওজিফা বলব যার পর ইনশা আল্লাহ আপনার চুল লম্বা ঘন ও চমকদার হবে। বরং যাদের চুল বেশী বেশী ঝরতে থাকে আর সে কারনে নারী পুরুষ টাকলা হয়ে যাচ্ছে, তাদের কখনো চুল আর পরবেনা বরং চুল নতুন করে গজাতে শুরু করবে।

আর হেয়ার প্লান্ট কারী যারা তারাও খাস করে দেখতে থাকুন ইনশা আল্লাহ ফলাফল দেখে খোদ হয়রান হয়ে যাবেন।

প্রিয় দশক সবচেয়ে প্রথম আমল - যা চুলের গ্রোথের ব্যপারে আমি আপনাদের বননা করতে যাচ্ছি- তা এমন একটি আয়াতে মুবারাকা যে আয়াতটি আপনি শুধু ১২১ বার পড়তে হবে, আর আপনার ঘরে থাকা যে কোন হেয়ার ওয়েল নিবেন। যে হেয়াল ওয়েল আপনার স্ক্রীনকে স্যুট করে এমন একটি তেলের বোতল নিন, যা আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন এমন তেল হলেও হবে।

তেলের বোতলের ঢাকনা খুলে ফেলবেন আর সে বোতল আপনার সামনে রাখবেন, আর আপনি পাক পবিত্র অবস্থায় এই আমল করবেন। এবার আপনি ১২১ বার এই আয়াত পড়বেন - আর ১২১ বার আয়াত পড়ার আগে ও পরে ৩/৩ বার দরুদে পাক পড়তে হবে। আর দরুদে পাক যা আপনি নামাজে পড়েন সে দরুদটি পড়লে তা বেষ্ট হবে।

আর আয়াতটি ১২১ বার পড়ে আপনার সামনে থাকা তেলে দম করবেন। আর আমার ভাই বোন নারী পুরুষ নিয়মিত এই তেল ২১ দিন পযন্ত চুলে লাগাবেন। তবে এখানে একটি কথা মনে রাখবেন, আপনার দম করা তেল যদি ২১ দিনের আগেই শেষ হয়ে যায় তখন আপনি আবার তেল নিয়ে এসে তাতে আয়াতটি ১২১ বার পড়ে দম করে সেটা লাগাবেন।

আর আপনি যদি ২১ দিনেরও বেশী এই আমল করতে চান তাও করতে পারবেন। তবে ২১ দিনের যে কোস আমি বলেছি তা অবশ্যই করতে হবে।

এবার আসুন আয়াতটি কি তা জেনে নিই-

কুরআনের ১টি সুরা সুরায়ে হামিম সিজদা- এই সুরার আয়াত নাম্বার ৪৪ এটি আপনার সামনে দেখা যাচ্ছে, যা থেকে শুধু এতটুকু অংশ আপনাকে পড়তে হবে, (কুল হুয়া লিল্লাজিনা আমানু হুদাও ওয়াশিফা) এই আয়াতের অংশ আপনাকে পড়তে হবে। ১২১ বার।

যেদিন থেকে আপনি আপনার চুলে এই তেল লাগানো শুরু করবেন প্রথম দিন আপনি আপনার চুলের মেজারমেন্ট করে নেন, ২১ দিন লাগানোর পর আবার মেজারমেন্ট করে দেখবেন ইনশাআল্লাহ তখন দেখবেন আপনার চুলের গ্রোথ হয়ে গেছে। আর চুল চমকদার ঘন এবং সুন্দর দেখা যাবে ইনশা আল্লাহ।

এবার ২য় আমল বলব- যাদের চুল ঝরতে থাকে চুল পরা বন্ধ হয়না, ইনশা আল্লাহ তাদের চুল পরা সবসময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। বিশেষ করে যারা টাকলা হয়ে গেছেন ইনশা আল্লাহ তাদের মাথায় পুনরায় নতুন চুল গজাতে শুরু হবে।

আপনি মেহেন্দী ১ পোয়ার মত নিবেন, ১ মুষ্ঠি কালোজিরা নিবেন এই ২টি আইটেম গ্র্যান্ড করে মিক্স করে নিবেন যাতে ২টি একেবারে পেষ্ট হয়ে যায়, এবার এই আইটেমগুলি সামনে রেখে সুরা আর রাহমানের আয়াত নাম্বার ৩৭ যা আপনার স্ত্রীনে দেখা যাচ্ছে, (ওয়া আয়াতুল ল্লাইলু নাসলাখু মিনহুন্নাহারা ফাইজা হুম মুজলিমুন) এই আয়াত আপনি ৭১ বার পড়ে সে পেষ্টে দম করবেন। আর এই পেষ্ট আপনি প্রতিদিন আপনার চুলে লাগাবেন, আর এই আমল আপনাকে ৪১দিন নিয়মিত করতে হবে। ৪১দিন যদি আপনি এই আমল করতে পারেন ইনশা আল্লাহ আপনার চুল যে ঝরে সে ঝরা বন্ধ হয়ে যাবে। ৪১ দিনের মধ্যে ১ দিনও গ্যাপ দিবেন না। ৭দিনের পেষ্ট বানিয়ে রাখবেন তা ব্যবহার করবেন আবার ৭দিন পর নতুন পেষ্টবানিয়ে নিবেন এভাবে ৪১ দিন নিয়মিত লাগবেন।

ইনশআল্লাহ যারই এই নুসখা মিলবে তা পালন করলে আল্লাহ হকুমে নতিজা দেখে আপনি খোদ হয়রান হয়ে যাবেন।

আশা করি আপনি এই ২টি ওজায়েফ থেকে ভরপুর ফায়দা উঠাবেন। এই ওজায়েফ থেকে ফায়দা হলে অন্তর থেকে দোয়া করবেন। এবং আপনার আপনজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং কমেন্টে আপনার দোয়া রায় অবশ্যই প্রকাশ করবেন। ফলে আমরা উৎসাহিত হব এবং এভাবে নতুন নতুন ভালো ভালো বিষয় বস্তু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব,

এবার আমাকে অনুমতি দিন ততক্ষন পযন্ত আপনার এবং আপনার আপনজনদের প্রতি খেয়ালা রাখবেন প্রতিবেশীর হকসমুহের খাস খেয়াল রাখবেন, আর আমাকে আপনার খাস দোয়াতে অবশ্যই শামিল রাখবেন - আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ  

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.