৮০০ কোটির ওজিফা। সকল দোয়া ও ওজিফা প্রাণ। আল্লাহ ও রসুলের প্রিয় আমল


সকল দোয়া ওজিফার প্রাণ, শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং বতমান বিশ্বের ৮০০কোটি মানুষের জন্য মুক্তির হাতিয়ার, যে দোয়াটি আল্লাহর খুবই পছন্দনীয় এবং সকল আম্বিয়াকেরামেরও পছন্দনীয় আমল প্রত্যেক মুমিনের জন্য এটা অনেক বড় ফজিলতময় হাতিয়ার যার সাহায্যে মানুষ নফস শয়তানের ক্ষতি হামলা থেকে নিজেকে মাহফুজ রাখতে পারে

আমাদের দয়ালনবীজিও একই বসাতে অত্যন্ত ফজিলতময় এই দোয়াটি ১০০বার পযন্ত পড়তেন।

 

বনী ইসরাইলের এক যুবক প্রচন্ড বদমাশ শরাবি জুয়াড়ি ছিল। শহরের লোকেরা তার ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে তাকে শহর থেকে বের করে দেয়। সে লোক জঙ্গলে থাকতে থাকতে ঠিকমত খাবার দাবার না পেয়ে একসময় মৃত্যুমুখে পতিত হতে লাগল, হে আল্লাহ আমি যদি জানতাম আমাকে আযাব দেয়ার কারনে তোমার রাজত্ব বৃদ্ধি পাবে, আর আমাকে ক্ষমা করলে তোমার রাজত্বি কমে যাবে তাহলে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইতাম না, যদি আমাকে আযাব দেয়ার কারনে তোমার রাজত্বি বৃদ্ধি না পায় তাহলে আমাকে আযাব না দিয়ে ক্ষমা করে দাও।

হে আল্লাহ সকলেই আমাকে ত্যাগ করেছে, আমি মৃত্যুর মুখে বড়ই একাকি, এখন তুমি ছাড়া আমার আর কেহ নাই, তুমিই আমার একমাত্র ভরসা তাই তোমার কাছে তাওবা করছি, গোনাহ করতে করতে গোটা জীবনই কেটে গেছে। হে আল্লাহ সকলেই আমাকে পরিত্যাগ করেছে, একমাত্র তুমিই আমাকে পরিত্যাগ করনি। একথা বলেই সে মৃত্যুমুখে পতিত হল।

আল্লাহ হযরত মুসা (আ) কে বললেন অমুক জঙ্গলে আমার এক বন্ধু মৃত্যু বরণ করেছে তুমি তাকে গোসল দাও, কাফন দাও জানাযা পড়াও। আর ঘোষনা করে দাও যারা মাগফিরাত কামনা করে তারা যেন এই ব্যক্তির জানাযায় অংশ গ্রহণ করে। ঘোষনা শুনে সকলেই জানাযায় আসল, সেখানে গিয়ে সকলেই হতবাক, কারন লোকটি ছিল বদমাশ। তারা মুসা (আ) কে প্রশ্ন করলে মুসা (আ) বললেন আল্লাহ তায়ালা একে বন্ধু বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

লোকেরা প্রশ্ন করল সেতো বদমাশ আল্লাহর শত্রু সে কিভাবে আল্লাহর বন্ধু হয়ে গেল? তখন হযরত মুসা (আ) বললেন সে যখন একাকি ছিল সকলে তাকে ছেড়ে দিয়েছে তখন সে মৃত্যু শয্যায় আল্লাহকে ডাক দিয়েছে, নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়েছে, তখন আল্লাহ তার এই অনুতপ্তসহকারে তওবার কারনে তার জীবনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন, এমনকি সে যদি তখন সমগ্র দুনিয়ার জন্য ক্ষমার আবেদন করত তাহলে আল্লাহ সকলকে ক্ষমা করে দিতেন।

তাই আমাদের গুনাহগারদের জন্য তওবাই সবচেয়ে বড় ওজিফা, সারা বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষ যদি বিগত জীবনের সকল অপরাধের কারনে তওবা করে তাহলে আল্লাহ সে যতবড় গুনাহগার অপরাধিই হউক ক্ষমা করে দিবেন,

আমাদের নবীর (দ) কোন গুনাহ ছিলনা কিন্তু হাদীস শরীফের আছে

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كُنَّا نَعُدُّ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي المَجْلِسِ الوَاحِدِ مِئَةَ مَرَّةٍ : «رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ»

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একই মজলিসে বসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর [এই ইস্তিগফারটি] পাঠ করা অবস্থায় একশো বার পর্যন্ত গুনতাম,

রাব্বিগফির লী অতুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আন্তাত তাউওয়াবুর রাহীম।

অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আমার তওবা কবুল কর, নিশ্চয় তুমি অতিশয় তওবাহ কবূলকারী দয়াবান। আবূ দাউদ ১৫১৬, তিরমিযী ৩৪৩৪, ইবনু মাজাহ ৩৮১৪

আল্লাহ তায়ালা আমাদের গুনাহ থাক না থাক সদা সর্বদা রাব্বিগফির লী অতুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আন্তাত তাউওয়াবুর রাহীম।

তৌফিক দান করুন, দিনে কমপক্ষে ১০০ বার এই ওজিফা পাঠ করার তৌফিক দান করুন। আমিন। 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.