চাকরী ধন দৌলত লাভ, আয় রোজগারে বরকত মনের আশা পুরণের দোয়া ও ওজিফা। মহানবী ...


বিশ্বনবী নাতীদেরকে ওজিফাটি শিখিয়েছেন চাকরী, সম্পদ, টাকা, ঘরে দৌড়ে দৌড়ে আসবে

যখনই কোন বান্দা কোন নেয়ামত অর্জন করে তার উচিত (ফাল এয়াহমাদিল্লাহ) তার উচিত আল্লাহ তায়ালার শোকর আদায় করা। (আলহামদুলিল্লাহ) বলে। সকল প্রসংশা আল্লাহর সকল শোকর আল্লাহর। আর কারো কাছে চাকারী, ব্যবসা, কিংবা অন্য কোন উপায়ে ধন দৌলত টাকা পয়সা কিংবা নিজের রিযিক আসতে দেরী হয়, কিংবা অভাব অনটন দেখা দিয়েছে, তখন তার প্রধান কাজ হল আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) বলা। এই তলকিন দিয়েছেন সরকারে দো আলম (দ)। এই হাদীস খানা হযরত জয়নুল আবেদীন (রা) বিশ্বনবীর নাতী হযরত হুসাইন (রা) থেকে বর্ণনা করেন। আর হযরত হুসাইন (রা) এই হাদীস রাসুলুল্লাহ (দ) থেকে শুনেছেন। ২টি কথা বলেছেন আর ২টি কথাই খুবই গুরুত্বপূণ মাহাত্বপূর্ণ। 

যখনই কোন নেয়ামত মিলে আল্লাহর শোকর আদায় কর। বুযুর্গানে দ্বিন তখন উম্মতকে এই শিক্ষা দিতেন যে মানুষকে শোকরগুজার বানিয়ে দাও তাহলে সে সঠিক রাস্তা পেয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন (লাইন শাকারতুম লাআজিদান্নাকুম) যদি শোকর কর তাহলে আমি নেয়ামত বাড়িয়ে দিব।

দ্বিতীয়ত যখনই রিযিক আসতে দেরী হয়, আল্লাহর কাছে মাগফেরাত তলব কর। রিযিক নির্ধারিত এই নির্ধারিত রিযিক আপনার জন্য মৃত্যুর পূর্বে আসবেই আসবে, এখন এটি যদি আসতে দেরী হয়, ফলে যদি অভাব দেখা দেয় তখন মহানবীর শিক্ষা হল ক্ষমা চাও, গুনাহ মাফ চাও।

যেহেতু অভাব অনটন দুঃখ পেরেশানি এসবই মুসিবত আর এই মুসিবতের ব্যপারে কুরানের আয়াতেও বয়ান করা হয়েছে (মা আসাবাকুম মিম মুসিবাতিন ফাবিমা কাসাবাত আইদিকুম) তোমাদের যে কোন মসিবত দুঃখ পেরেশানি আসুকনা কেন তা মুলত তোমারই হাতের কামাই।

তাই যদি আপনার কোন ইচ্ছাপুরণ হতে দেরী হয়, দোয়া করেই যাচ্ছেন কিন্তু তা পুরণ হচ্ছেনা, চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু চেষ্টায় সফলতা আসছেনা, দিন রাত পরিশ্রম করেও ফল আসছে না তখন কি করবেন এসতেগফার করবেন। 
হাদীসের মধ্যে বেশী বেশী (লা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ) পড়ার নির্দেশনা রয়েছে। 
সুত্র- কাশফুল গুম্মাহ ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ৩৫৮

এশার পর এ কাজ করলে প্রতিদিন শবে ক্বদর
কেহ যদি ৮৩ বছর ৪ মাস রাত জেগে এবাদত করে আর এর পরিবতে যদি কোন উম্মত ১টি রাত এবাদত করে যে রাতটি শবে ক্বদরের রাত তাহলে সে একরাত এবাদত করেই ৮৩ বছর ৪ মাস এবাদতের সাওয়াব পায়,  আর এই ফজিলত শুধুমাত্র লায়লাতুল কদরেরই ফজিলত। 

কিন্তু আল্লাহর প্রিয় হাবিব (দ) আমাদের জন্য আরো একটি সুসংবাদ দিয়ে দিয়েছেন যা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য অনেক বড় সুসংবাদ অনেক বড় নেয়ামত।

আর তা হল হাদীস শরীফে এসেছে যে লোক এশারের পর ৪ রাকাত পড়ে নিল সে ততটুকু সাওয়াব পাবে যতটুকু সাওয়াব সে লায়লাতুল কদরে সে নামাজ পড়লে পেত।

তাবরানি আওসাত ২৭৩৩।হযরত আনাস হতে বর্ণিত-  হুযুর (দ) এরশাদ করেন যে এশারের পর ৪ রাকাত পড়ল মুলত সে শবে কদরের রাতে ৪ রাকাত আদায় করল।

এখন আপনি এশারের পর ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত নফল পড়লেই আপনার সে সাওয়াব অজন হবে ইনশা আল্লাহ।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.