শুধু একবার দোয়া টি পড়ুন সবকিছু পাবেন। মনের সব আশা পুরণের আমল। All bangla...

প্রতিরাতে ফেরেশতা এ দোয়া করে আপনিও এ দোয়া ১ বার করুন সবকিছু পাবেন যা চিন্তাও করেননি


আজ আমরা আল্লাহর কাছে যতটুকু চাওয়ার ততটুকু চাইনা, যেমন দেখুন নামাজের পর ১৫ সেকেন্ডের দোয়া, ৩০ সেকেন্ডের দোয়া করেই উঠে যায়। আর এই আধা মিনিটের দোয়াতে আপনি আল্লাহর কাছে কি চাইলেন? অথচ আমাদের আকাবেরগন দীঘ দোয়া করাকে এবাদত মনে করতেন। নবী (আ) ফরমায়েছেন (আদ্দোয়াউ মুখখুল এবাদাহ) দোয়া এবাদতের মগজ। রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে দীঘ সময় ধরে কেঁদে কেঁদে দোয়া করতেন। এবং তারা জানতেন এবং মানতেন রাতে আল্লাহর তরফ থেকে এক খুসুসি রহমত নাজিলের দরজা খুলে দেয়া হয।

যেমন হাদীসে পাকে আসছে- এক ফেরেশতা তাহাজ্জুদের সময় আসে এবং এলান করে (হাল মিন সাঈলিন ফা উতিয়া লাহ) আছ কি কেহ চাওয়ার যাকে দান করা হবে? মুলত আল্লাহ তায়ালা দিতে চান তাইতো ফেরেশতার দ্বারা ঘোষনা করাচ্ছেন কিন্তু গ্রহিতা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।

আর যখন লেইট করে ঘুম থেকে উঠে আর অভিযোগ করে এ পেরেশানি খতম হয়না, এই সমস্যা দুর হয়, অভাব দুর হয়না,

আপনি সে সময় কোথায় ছিলেন যখন সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক দেয়া হচ্ছিল?

তাই হে অভাবগ্রস্তরা, সমস্যায় জর্জরিতরা যখন নেয়ার সময় তখন একটু কষ্ট করে উঠুন আর সব সমস্যার কথা ২ রাকাত নামাজ পড়ে তাকে জানান অভাববের কথা তাকে জানান তিনি আপনাকে এত এত দিবেন আপনি ধারনাও করতে পারবেন না। আশা নিয়ে বার বার চাইতে থাকুন দোয়া করতে থাকুন তারপর দেখুন আল্লাহ তায়ালা কিভাবে রহমতের দরজা খুলে দেন। তার রহমতের এক নজরই আমাদের সারা জীবনের সব দুঃখ পেরেশানি মুশকিল অভাব দুর করার জন্য যথেষ্ট।

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হয়ে দিনে রাতে যখনই সুযোগ হয় চাইতে থাকুন, আল্লাহর শান এমন নয়যে তিনি বার বার চাইলে মানুষের মত বিরক্ত হবেন, বরং আল্লাহর শান হল তার কাছে বান্দা বারবার চাইলে তিনি খুশি হন। (লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ) আল্লাহ বলেন তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ হইও না। যখনই দোয়া করবেন মনযোগের সাথে আগে কয়েকবার দরুদ পাঠ করবেন তারপর আল্লহর প্রসংশা করবেন তারপর অন্তরের গভীরে জমে থাকা সবকিছু আল্লাকে খুলে বলবেন বারবার বলতে থাকবেন প্রয়োজনে আপনার এক একটি প্রয়োজন ৩ বার করে বলবেন তারপর পুনরায় দরুদ শরীফ পাঠ করে দোয়া শেষ করবেন। এমন দোয়া করবেন না যা আপনি বুঝতে পারেন না, তাই সাধারণ মানুষ যে দোয়া করেন তার অথ জেনে নিবেন নতুবা নিজ ভাষায় দোয়া করবেন।

এ আমল ছাড়া ঘরে ঢুকবেনা

ঘরে থেকে বেরও হবেনা



এমনিভাবে ঘরে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ পড়ে প্রবেশ করুন, হযরত জাবের (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসুলুল্লাহ (দ) কে ফরমাতে শুনেছি, যখন মানুষ ঘরে প্রবেশ করে এবং খাবার গ্রহণের সময় আল্লাহর নাম নেয় তখন শয়তান বলে আজ তোমার জন্য এই ঘরে রাতে থাকার জায়গাও নাই এবং রাতের খানাও নাই। আর যদি কেহ ঘরে প্রবেশের সময় আল্লাহর নাম না নেয়, তখন বলে তুমি রাতে থাকার জায়গা পেয়ে গেলে, আর রাতে খাবারের সময়ও যদি আল্লাহর নাম না নেয় তখন শয়তান বলে তুমি রাতের খাবারও পেয়ে গেলে।

অর্থ্যাৎ আমাদের জিনিষে শয়তানের অংশ গ্রহণ সহজ হয়ে যায়। দেখুন আজকাল অনেক ধরনের সমস্যা অনেক ধরনের রোগ দেখা যায়, অনেক সময় মানুষ বুঝতেও পারেনা কি সমস্যা কি রোগ? অনেক সময় আমরা মনে করি হয়ত কেহ যাদু করেছে, কেহ বান মেরেছে, অথচ আমরা ঘরে প্রবেশের আদাব, খানা খাওয়ার আদাবের প্রতি খেয়াল রাখিনা ফলে নানা ধরনের শারিরিক সমস্যা দেখা দেয়, ঘরের লোকেরা রাতে ভয় পায়, কারন আমরা ঘরে প্রবেশের সময় খাবারের সময় আল্লাহর নাম না নিয়ে শয়তানকে মুলত দাওয়াত দিয়ে রেখেছি।

যদি ছোট আমলটি করি তাতেই আমরা সব ধরনের শয়তানের ক্ষতি থেকে মাহফুজ থাকতে পারি। এ আমল শুধু নিজের জন্য নয় বরং নিজের ঘরের স্ত্রী পুত্র কন্যা সকলের প্রটেকশনের জন্যও খুব জরুরী। তাই তাদেরও বিসমিল্লাহর আমলটি শিখিয়ে দিন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.