একলা বসে এ জিকির একবার কর, আল্লাহ তোমার দুঃখকে খুশীতে বদলে দিবে, সব গুনাহ নেকি বানিয়ে দিবে

 একলা বসে এ জিকির একবার কর, আল্লাহ তোমার দুঃখকে খুশীতে বদলে দিবে, সব গুনাহ নেকি বানিয়ে দিবে



আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মদ কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ, আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মদ কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ

রাসুলে আকরাম (দ) এর ফরমানে আলীশান হল- এই কথা একদম নির্ধারিত যে কেয়ামতের দিন কোন জান্নাতি জান্নাতে যাবেনা যতক্ষন আল্লাহর রাসুলের সুপারিশ হবেনা,

আর হাদীস বলে সহিহুল জামের রেওয়ায়েত- 6233, যে দশ বার সকালে দরুদ পড়ে নেয় ১০ বার সন্ধ্যায় পড়ে নেয়, খুশী হয়ে যাও ‍মুহাম্মদ (দ) তার জন্য সুপারিশ করবে।

১০টা নেকিও পাবেন, ১০টি গুনাহও মাফ হবে, ১০টি দারাজাতও বুলন্দ হবে। তবে কামালিয়ত হল এটা যে কিয়ামতের দিন সুপারিশও মিলবে মুহাম্মদ (দ) এর।

মুসলিম শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি ওযু করে আদবের সাথে বসে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করলে, আল্লাহ্তায়ালা তাহার ওপর দশবার দরুদ  প্রেরণ করেন। যদি আমার ওপর কেউ দশবার দরুদ পাঠ করেন তবে আল্লাহ্তায়ালা তার ওপর একশতবার দরুদ প্রেরণ করেন। কেউ একশত বার আমার ওপর দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ্পাক তার উপর একহাজার বার দরুদ শরীফ প্রেরণ করেন এবং তার জন্য বেহেশত হালাল ও দোযখ হারাম করে দেন।

শুধু তাই নয়- হাদীসে এসেছে (ইজান তুকফা হাম্মাক ওয়া ইউগফারু লাকা জাম্বুক) সাহাবীকে হুজুর সুসংবাদ দিয়ে বলেন যদি বেশী বেশী দরুদ পড় তাহলে জিন্দেগীর সকল গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন আর সকল দুঃখকে খুশীতে পরিবর্তন করে দিবেন।

মুয়াত্তা শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''কোনো ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়া মাত্র একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! অমুকের সন্তান অমুক আপনার উপর এত মোর্তবা দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন। অমনি আমি ও তার ওপর ঠিক তত মোর্তবা দরুদ পাঠ করি। অতঃপর সেই ফেরেশতা আল্লাহর দরবারে আরজি পেশ করে- হে মাবুদ! অমুকের সন্তান অমুক আপনার হাবীবের ওপর এত মর্তবা দরুদ পাঠ করেছেন। তৎক্ষণাৎ আল্লাহ্ পাক তাকে জানিয়ে দেন, ''উত্তম কিরামান ও কাতেবীনকে বলে দাও, তার প্রত্যেক মোর্তবা দরুদ পাঠের পরিবর্তে যেন তার আমলনামা থেকে দশটি করে গোনাহ্ কেটে দেয় এবং আমার তরফ থেকে প্রত্যেক কাটা স্থানে দশটি করে নেকী লিখে রাখে।

আজ থেকে পড়ুন- আমি বিশ্বাস করি আপনার এই আমলের দ্বারা আল্লাহ আপনার মনকে সজিব করে দিবে। একাকি পড়ে দেখুন কত মজা লাগে, অন্তরে কত প্রশান্তি লাগে। মনের সকল অশান্তি সকল দুঃখ কালিমা দুর হয়ে যাবে।

নিয়ম করে পড়ুন, প্রতিদিন একটি নিদৃষ্ট সময়ে নিদৃষ্ট সংখ্যা পড়ুন, প্রথমে ১০ বার দিয়ে শুরু করুন, আস্তে আস্তে পরিমাণ বাড়ান। একদিনও যাতে বাদ না পড়ে।


এ ওজিফাটি মুফতি জারওয়ালি (রহ) বয়ান করেছেন, অন্য কোন আলেম এই মূল্যবান ওজিফাটি বয়ান করতে আমি শুনিনি।



মুফতি সাহেব বয়ান করেন- আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা (আ) কে আসা দিয়েছেন, আসা মানে হল লাঠি। যে আছা সাপ হয়ে যেত। আর তার হাত বগলের নিচে রাখলে আলোকিত হয়ে বের হত। যাকে এয়াদে বায়দা বলা হয়।

ফখরুদ্দীন রাজি (রহ) তার তফসির গ্রন্থে লিখেন-  হযরত মুসা (আ্র) এর এই ২টি মুযেজার এই প্রভাব ছিল যে, ফেরাউনের বাহাদুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ফেরাউনের যে প্রভাব মানুষের উপর ছিল তা বাকী থাকলনা।

এখন প্রায় লোক বলে জ্বিনের আসর, অমুকের আছর তমুকের আছর, ফেরাউনের কাছে বেলকিবাজি করার অনেক গোপন জ্ঞান ছিল।কিন্তু মুসার (আ) মুযেজার সামনে সবকিছু তছনছ হয়ে গেল।

মনজিল কি জুছত জুমে কিও খু-ইয়া হুয়াহে?

এতনা আজিম বনজা মনজিল তুজে পুকারে

কোন কোন বুযুর্গানে দ্বীন এমন ওজিফা দিতেন- তা পড়ার পর যে ব্যক্তি আপনার উপর যাদু করবে, আপনার উপর কু নজর দিবে, যাদু টোনা করবে, বান মারবে, হিংসা করবে, সবকিছু তার দিকে ফিরে যাবে।



(আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, ওয়া আরাদু বিহি কাউদান ফাজায়ালনাহুমুল আখছারিন)

(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু দারাত ফাছতাদারাত,  লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু নারাত ফাছতানারাত, হাউলাল আরশে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াচাল্লাম, আনতা শাফি আনতা কাফি ফি মুহিম্মাতিল উমুর,  আনতা হাসবি আনতা রাব্বি আনতা লি নেমাল ওয়াকিল।

ফজরের নামাজের পর ১০ বার মাগরিবের নামাজের পর ১০ বার পড়ুন 


কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.