৯দিনে সব আশা পুরণের দোয়া। Sura Yasin | ৭ মুবিনের dua ওজিফা।

১টি কাগজে ছোট বড় সব সমস্যা লিখে নিন।৯দিনে সব আশা পুরণের দোয়া। Sura Yasin | ৭ মুবিনের dua ওজিফা।


আজকে কুরআনের যে ওজিফাটি বলব এটি ইবনে কাসির (রহ) ইমাম আহমদ থেকে নকল করেছেন- এই শক্তিশালী পরীক্ষিত ওজিফাটি করলে িইনশা আল্লাহ মাত্র ৯ দিনের মধ্যে আপনার বড় থেকে বড় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল ফরমায়েছেন- প্রথমে আপনার সকল হাজত আপনার সকল সমস্যা যত বড় যত ছোট সমস্য আছে ১টি কাগজে লিখে নিন আর প্রথমে ১ বার দরুদ শরীফ পাঠ করেন নিন

আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মদ কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ, আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মদ কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ

এরপর আপনার সকল হাজত ও সমস্যাগুলি দোয়ার মত করে নিজের ভাষায় করুন, তারপর সুরা এয়াসিন পড়তে থাকুন, যখন সুরা এয়াসিনের ১ম মুবিনে পৌঁছবেন সেখানে আপনার সে হাজতের কথা সমস্যা কথাগুলি আবার দোয়া আকারে করুন, এভাবে সম্পূণ সুরা এয়াসিন পড়তে হবে আর প্রত্যেক মুবিনের থেমে আপনার মনের কথা আপনার ইচ্ছের কথা আপনার সমস্যার কথা আপনার হাজতের কথা দোয়া আকারে ফরিয়াদ আকারে পেশ করুন এবং সুরা এয়াসিনে মোট ৭ মুবিন আছে প্রত্যেক মুবিনেই এই কাজ করবেন এবং শেষেও একবার দোয়া করবেন, তাহলে সুরা এয়াসিনের শুরুতে ১বার হল ৭ মুবিনে একবার এবং শেষ একবার মোট ৯ বার আপনার দোয়া ও প্রয়োজনের কথা আপনি মহান রবের কাছে পেশ করবেন।

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ ফরমান এটা পরীক্ষীত যে ৯ দিনের মধ্যেই আপনার সকল প্রয়োজন ইনশা আল্লাহ পুরণ হবে অনেক বড় সমস্যা যদি থাকে তা সমাধান হয়ে যাবে।

সব কাজ সব দোয়া সব ইচ্ছা পুরণের আমল।



(ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে- কোনো অসুস্থ ব্যক্তির কাছে গেলে তার কাছে নিজের জন্য দোয়া চাওয়া। কেননা অসুস্থ ব্যক্তির দোয়া বা মিনতি ফেরেশতাদের দোয়া মিনতি করার মতা।'
(তিরমিজির হাদীস হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর তারা হলেন- - নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া, - মুসাফিরের দোয়া আর - সন্তানের প্রতি বাবার বদ-দোয়া।
মুসলিমের হাদীস- কোনা ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোয়া করেন, তবে আল্লাহ তাআলা সে দোয়া কখনও ফেরত দেন না।

রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন- ৪টি কথা খুব মনযোগ দিয়ে শুনুন।
(إِنَّ رَبَّكُمْ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحِي مِنْ عَبْدِهِ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا).
বান্দা যখন গুনাহ করে হাত তুলে আল্লাহর নবী ফরমান গুনাহ করেছে বান্দা আর লজ্জা করেন আল্লাহ, আল্লাহ এইজন্য লজ্জা করেন যে আমার গুনাহগার বান্দা হাত তুলেছেন আমি তা কিভাবে খালি ফেরত দিব?
আল্লাহ বান্দার হাত খালি ফিরাতে পারেন না।

(দাওয়াতুল মুসাফিরি লা তুরাদ)
মুসাফিরের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।

সহিহ মুসলিমের হাদীস ৬৪৪৩

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ رُبَّ أَشْعَثَ مَدْفُوعٍ بِالأَبْوَابِ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لأَبَرَّهُ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন অনেক আলুথালু কেশধারী মলিন চেহারা বিশিষ্ট দরজা থেকে বিতাড়িত (নিগৃহীত অধঃপতিত) হয়েছে এমন লোক আছে, যারা আল্লাহর নামে কসম করলে আল্লাহ তা সত্যে পরিণত করে দেন।
এ ব্যপারে প্রসিদ্ধ ঘটনা- মদীনার লোকেরা বৃষ্টি কামনা করছিল কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছিলনা, তখন এমন নিগৃহীত মলিন চেহেরার এলোমেলো চুল ওয়ালা মুসাফির লোকটি উঠে ভালো করে ওজু করেন ২ রাকাত নামাজ পড়েন আর সে যখন হাত উঠায় আর বলে হে আমার রব হে আমার রব আমি কসম করে বলছি মুসলমাদের জন্য বৃষ্টির খুব প্রয়োজন, আপনি দয়া করে বৃষ্টি দিয়ে দিন।

হযরত মুহাম্মদ বিন মুনকাদের (রহ) ফরমান তার হাত যে উঠিয়েছে তা নিচে আসার আগে আগেই মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হয়ে গেল।

হাদীসের বাণী যে বান্দা খুব ভালো ভাবে অজু করে ২ রাকাত নামাজ পড়বে এরপর হাত তুলে বলে দিবে, (রাব্বিগফিরলি) হে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দাও। তখন আল্লাহ তায়ালা জবাব দেন (আলিমা আবদি) আজ আমার বান্দা বুঝতে পেরেছে যে তার কোন একজন প্রভুতো আছে, যিনি মাফ করতে পারেন। এবং আযাবও দিতে পারেন। তখন আল্লাহ সে বান্দা যতই গুনাহ করেন সব গুনাহ মাফ করে দেন।

কিন্তু সহিহ মুসলিমের হাদীসে ভিন্ন কথা আছে-
‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ ‏"‏ ‏.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে, দীর্ঘ সফর করে, যার এলোমেলো চুল ধুলায় ধুসরিত সে আকাশের দিকে দু'হাত তুলে বলে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোষাক-পরিচ্ছদ হারাম এবং তাঁর শরীর গঠিত হয়েছে হারামে। অতএব, তাঁর দু’আ কিভাবে কবুল করা হবে?
অথচ সে মুসাফিরও, সে এয়া এয়া রব বলে দোয়াও করছিল। তার চুল গুলিও সফরের কারনে এলোমেলো অবস্থায়, এবং যাচ্ছেও হজ্ব করার জন্য। তবুও তার দোয়া আল্লাহ কবুল করেনা কারন তার খাদ্য পানি পোষাক সবই হারাম।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.