শক্তিশালী কোরআনী ওজিফা। ২ সেকেন্ডে কাজ করে।

 আমি যখন 7 বছরের ছিলাম এক ফকির এ ওজিফাটি 

আমাকে দিয়েছেন, ২ সেকেন্ডে কাজ করে



আল্লামা মুফতি জারওয়ালী (রহ) নিজের ঘটনা বয়ান করতে গিয়ে বলেন-

আমি যখন ৭/৮ বছরের ছিলাম আমার দাঁতে খুব ব্যথা, ব্যথায় বেহুশ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, আমাদের এলাকায় এক ফকির বুযুগ থাকতেন, আমার মা আমাকে সে বুযুর্গের কাছে নিয়ে গেলেন, আমার স্পষ্ট মনে আছে তাঁর ঘরটি ছিল খুবই জীণশীণ, আমরা যখন গেলাম দেখলাম বুযুগ বসে বসে কুরআন তেলাওয়াত করছেন,

আমার মা পর্দার আড়াল থেকে আমার সমস্যার কথা বুযুগকে শুনালেন বুযুগ শুধু সুরা ফাতেহা পড়ে আমার দিকে ১টা ফুঁক মারলেন, ২ সেকেন্ড এর মধ্যেই আমার ব্যথা দুর হয়ে গেল, আর কখনো আমার দাঁতের ব্যথা উঠেনি।

আমি আজো চিন্তা করে হয়রান হয়ে যায়, সে যুগের বুযুগরা যে সুরা ফাতেহা পড়তেন সে সুরা ফাতেহা আজো আছে কিন্তু আজ সুরা ফাতেহা কেন গোটা কুরআন পড়ে ফুঁক দিলেও কাজ হয়না, কারন এখন সে রকম খাঁটি আল্লাহওয়ালার খুব অভাব,

অথচ সুরা ফাতেহার ১টি নামসূরাহ্তুর রুকিয়্যাহ আবূ সাঈদ (রাঃ) সাপে কাটা রুগীর ওপর ফুঁ দিলে সে ভালো হয়ে যায় অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ ‘এটা যে রুকিয়্যাহ অর্থাৎ পড়ে ফুঁক দেয়ার সূরাহ্ তা তুমি কেমন করে জানলে? (ফাতহুল বারী /৫২৯ সহীহুল বুখারী হাঃ ২২৭৬) তাঁদের খাদ্য হালাল ছিল ঈমান তাজা ছিল, আমল স্বচ্ছ ছিল তাই তাদের ফুঁকে কাজও হত।

 

সকল ওজিফার সরদার- দরুদ শরীফ

সম্মানিত সুধীবৃন্দ আজ এমন একটি ওজিফার কথা বলব যেটি সকল ওজিফার সরদার। গোটা জীবন যদি এই একটি ওজিফাই আপনি পালন করেন আপনার আর কোন ওজিফার দরকার নাই।

এটি নারী পুরুষ শিশু কিশোর সকলেই পালন করতে পারবে।

এই ওজিফাটি করলে আপনার উপর আল্লাহর রহমত নাজিল হবে, ফেরেশতারাও আপনার জন্য দোয়া করবে, গুনাহ মাফ হয়, মান মর্যাদা বৃদ্ধি পায়,

তাছাড়া এটি এমন এক ওজিফা যা আল্লাহর প্রিয় হাবিব (দ) নিজ কানে শুনেন। এমনকি এই ওজিফাটি সংগ্রহ করার জন্য সারা দুনিয়ায় অসংখ্য ফেরেশতাকে আল্লাহ তায়ালা নিযুক্ত করে রেখেছেন। যাদের কাজ হল মানুষ যখন এই ওজিফাটি পড়ে সেটিকে সংরক্ষন করা এবং যে এই ওজিফাটি পড়েছে তার নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা।

যারা নিয়মিত সকাল সন্ধ্যায় এই ওজিফাটি পালন করবেন তাদের জন্য কবরে ও হাশরেও ভয়ের কিছু থাকবেনা।

তাছাড়া নবী করিম (দ) সাহাবীকে বলেন যদি তুমি এই ওজিফাটি বেশী বেশী কর তাহলে তোমার যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে আর তোমার সমস্ত গোনাহ্ মাফ হবে।

এমনকি যদি আপনার কিছু হারিয়ে যায় তাহলে এই ওজিফাটির বরকতে আপনি হারানো বস্তু ফিরে পাবেন।

যারা ছাত্র ছাত্রী আছেন তারা লেখা পড়ার আগে এই ওজিফাটি করলে তাড়াতাড়ি পড়া শিখা হবে, পরীক্ষার আগে করলে পরীক্ষার খাতায় সমাধান করা সহজ হবে।

কেহ অভাবগ্রহস্থ থাকলে এ ওজিফার বরকতে অভাব অনটন দুর হবে।

যারা প্রতিদিন এ ওজিফাটি ১০০০ বার করবে তারা দুনিয়াতে থাকতেই মৃত্যুর আগেই নিজের ঠিকানা জান্নাতে দেখতে পাবে

এতক্ষনে আপনারা বুঝতে পেরেছেন এমন গুরুত্বপূণ ওজিফাটি কি? হ্যাঁ তা হল দরুদ শরীফ।

এখন দরুদ শরীফ কোনটা পড়বেন? যেটি নামাজে পড়েন সেটি যদি পড়েন ভাল, যদি সংক্ষিপ্ত কোন দরুদ পড়তে চান তাও পড়তে পারবেন। আর দিনে কতবার পড়বেন?

তবে দরুদ পাঠের সংখ্যা ততটুকু পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিৎ যতটুকু  পরিমাণ পাঠ করাটা প্রতিদিন খুব সহজে সম্ভব হয় কেহ একদিন হাজার বার দরুদ পাঠ করল পরের দিন ৫শ, তারপর কয়েকদিন একদম ছেড়ে দিল ধরনের অনিয়মিত পাঠ করতে ওলামায়ে কেরাম নিষেধ করেছেন

দরুদ শরীফ অজু সহকারে যদি পাঠ করেন তবে উত্তম, এখন আপনি অজু ছাড়াও হাটতে বসতে চলতে ফিরতে সবসময়ও দরুদ শরীফ পড়তে পারবেন। তবে নাপাক হালতে, নাপাক জায়গায় দরুদ পড়বেন না।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.