১৮টি ইসমে আজম দ্রুত সব সমস্যা সমাধানের দোয়া ২৪ ঘন্টায় মনের আশা পুরণ দোয়া কবুল হওয়ার আমল

 ১৮টি ইসমে আজম। শক্তিশালী ওজিফা । 

২৪ ঘন্টায় মনের আশা পুরণ দোয়া কবুল হওয়ার আমল।

জিলহজ্বের ১০ দিনের খাস তসবীহ সকাল সন্ধ্যার জিকির।

মোরগ ও কুকুর ডাকলে ২টি দোয়া করতে হবে

দ্রুত সব সমস্যা সমাধানের দোয়া।

কুরআনের ২টি ছোট সুরার ওজিফা

 




আজ এমন এক কুরআনি ওজিফার কথা বলব যাতে ১৮ জায়গায় হাকিকাতান ও ইশারাতন আল্লাহর নাম আছে। আর কুরআনের আর কোথাও একসাথে আল্লাহর ১৮টি নাম নাই।

ওজিফাটি প্রত্যেক নামাজের পর ১ বার আর সকালে ও সন্ধ্যায় ১০ বার করে পড়া জরুরী।

যদি আপনার প্রয়োজন বেশী হয়, সমস্যা বেশী হয়, কষ্ট বেশী হয় তাহলে সকাল ও সন্ধ্যায় ২৫ বার পড়বেন।

যদি আপনি চান দুনিয়ার কোন লোক আপনার কোন ক্ষতি না করুক, আর যে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে সে যেন নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে প্রতিদিন ১০১ বার ওজিফাটি পড়ুন,

যে আপনার ক্ষতি করছে তার ব্যপারে যদি আপনি ১০০% নিশ্চিত হয়ে থাকেন যে সে আপনার ক্ষতি করছে তাহলে এই আমলে কাজ হবে, আর যদি সন্দেহ থাকে কাজ হবেনা।

ওজিফাটি হল আয়াতুল কুরসি।

যদি পাক্কা একিন হয় সে আপনার ক্ষতি করছে তাহলে ১০১ বার প্রতিদিন আয়াতুল কুরসি পড়বেন আর সাথে ১২০০ বার এসতেগফার পড়বেন। আর যদি চান ২৪ ঘন্টায় দোয়া কবুল হয়ে যাক তাহলে ১২ হাজার বার এসতেগফার পড়ুন। আসতাগফিরুল্লাহ বলাই যথেষ্ট।

 

কুরআনের ২টি ছোট সুরার ওজিফা



এ ২ সুরা জীবনের অংশ বানিয়ে নিন, দিনে মাত্র 3 মিনিট লাগবে, ফায়দা আপনার ধারনার চেয়েও বেশী, মুফসসিরিনরা এর উপর এজমা

কুরআন শরীফের কোন কোন সুরা এমন আছে যার সাথে মুমিন মুসলমানের সম্পক যেমন শরীরের সাথে রুহের সম্পক।

রুহ সবকিছুতেই জরুরী, আঙ্গুলেও জুরুরী, হাতে, পায়ে, মাথায়, চোখে, জিহ্বাতে, যদি শরীরের কোন ১টি জায়গায় রুহ না থাকে তাহলে সে অংগটি অকেজু মনে হয়।

আর তার মধ্যে সবচেয়ে প্রধান হল সুরা ফাতেহা। মুফাসসিরিন বলেন (ফাতেহাতু কুল্লি খাইরিন ওয়া সাআদাহ) সকল কল্যান ও সফলতা/সম্মানের কুঞ্জি হল সুরা ফাতেহা।

আর ২য় সুরা হল সুরা এখলাস যা কুরআনের ১ তৃতীয়াংশ ৩ বার পড়ার ফলে কুরআন শরীফ খতম করার সাওয়াব অজন হয়। মুফাসসিরিনের সকলের এই ব্যপারে এজমা হয়েছে।

 

দ্রুত সব সমস্যা সমাধানের দোয়া।

Dua To Solve All Problems Quickly

 

يَا لَطِيْفًا لَمْ يَزَلْ أُلْطُفْ بِنَا فِيْمَا نَزَلَ ..

এয়া লাতিফান লাম এয়াজাল,

উলতুফ বিনা ফিমা নাজাল,

إِنّك لَطِيْفٌّ لَمْ تَزَلْ ..

ইন্নাকা লাতিফুন লাম তাজাল,

أُلْطُفْ بِنَا وَ المُسْلِمِيْن

উলতুফ বিনা ওয়াল মুসলিমিন

 

হে লতিফ, ওহে চিরস্থায়ী আমাদের প্রতি স্থায়ী দয়া ও নম্রতাসুলভ আচরন করুন, আপনি সদা নম্র, আপনি আমাদের ও মুসলমানদের সাথে দয়া করুন।

 

সদা সর্বদা আল্লাহর কাছে এই দোয়া করতে থাকুন। বিনা হিসাবে জান্নাত লাভের দোয়া।

আল্লাহর প্রিয় হাবিব (দ) এরশাদ করেন বান্দা আল্লাহর ব্যপারে যেমন ধারনা করে আল্লাহ তায়ালা বান্দার ধারনা মোতাবেক তাকে দান করেন। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে আপনি নামাজ পড়লেন না, হারাম কাজে ডুবে থাকেবন, মিথ্যা গিবত করবেন, সুদ ঘুষ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, নাচ গান সহ সব ধরনের নাফরমানিতে মশগুল থাকবেন আর বলবেন আমার আশা আমার সুধারনা আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করে বিনা হিসাবে জান্নাতে দিয়ে দিবেন। এই হাদীসের মর্মাথ এটা নয়, বরং আপনি নামাজ পড়বেন, ফরয ওয়াজিব ঠিক রাখবেন, হালাল হারাম বাছ বিচার করবেন, আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ থেকে বেঁচে থাকবেন, তারপর সু ধারনা পোষন করবেন যে আল্লাহ আমাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে দিবেন। এটাই হল প্রকৃত সু ধারনা যা নবীদের সাহাবীদের এবং আউলিয়া কেরামের তরিকা ছিল।

আখেরাতে যদি হিসাব দিতে হয় তাহলে প্রতিটি মুহুর্তের হিসাব দিতে হবে, প্রতিটি দৃষ্টিপাতের হিসাব দিতে হবে, তাই আখেরাতে যদি আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিসাব গ্রহণ করেন তা দেয়া সম্ভব নয়।

সে জন্য সদা সবদা এই দোয়া করবেন হে আল্লাহ আমি আপনার নগন্য বান্দা আপনার ফরমাবরদারি যেভাবে করা উচিত সেভাবে করতে পারিনি, আমাকে আপনার হাবিবের সদকায় বিনা হিসাবে জান্নাত দান করুন।

অনেকে বলে তোমার সাথে আখেরাতে আমার হিসাব হবে এমন বলা খুবই বোকামি, ভুলেও এমনতর কথা বলবেন না, কারন আখেরাতে হিসাব দিয়ে কেহ পার পেতে পারবে না, তাই প্রত্যেক বান্দার উচিত দুনিয়ায় আল্লাহর নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকে এবং এই দোয়া করা হে আল্লাহ আমাকে আখেরাতে বিনা হিসাবে জান্নাত দান করুন।

(আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকাল জান্নাতা ওয়া আউজুবিকা মিনান নার)

বুখারী ও মুসলিম শরীফের বিনা হিসাবে জান্নাত লাভের ৩টি উপায় বর্ণিত আছে

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত প্রিয় নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সত্তর হাজার লোক হিসাব-নিকাশ ব্যতিরেকেই বেহেশতে প্রবেশ করবে। তারা হলো, মন্ত্রতন্ত্র দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করায় না, অশুভ লক্ষণাদিতে বিশ্বাস করে না এবং তারা শুধু তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে। (বোখারি ও মুসলিম)

 

মোরগ ও কুকুর ডাকলে ২টি দোয়া করতে হবে

বুখারী শরীফের ৩৩০৩ নং হাদীস নবী করিম (দ) এরশাদ করেন তোমরা রাতে যখন মোরগের ডাক শুনবে তখন আল্লাহর রহমত বা অনুগ্রহের দোয়া করবে।

আর অনুগ্রহ বা রহমত লাভের জন্য সর্বোত্তম দোয়া হল সুরা কাহাফ এর ১০ নং আয়াতের দোয়াটি তা হল

رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
উচ্চারণ : রাব্বানা আতিনা মিল্লাদুংকা রাহমাতাও ওয়া হাইয়্যি
লানা মিন আমরিনা রাশাদা। (সুরা কাহফ : আয়াত ১০)

অর্থ : হে আমাদের রব! আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড সঠিক করে দিন।

তাহলে আল্লাহর রহমত লাভের সময়টি আমরা মোরগের ডাকের দ্বারা বুঝতে পারি সে হিসেবে মোরগের ডাক আমাদের জন্য খুবই উপকারী।

আর আবু দাউদ শরীফের ৫১০৫ নং হাদীস রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন যখন তোমরা রাত্রিবেলা কুকুরের ডাক শুনবে ও গাধার শুনবে তখন তোমরা সেগুলো থেকে অপর হাদীসে শয়তান থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় এর দোয়া কর।কারন শয়তানকে কুকুর ও গাধা দেখতে পায়।সুতরাং রাতে কুকুরের ডাক শুনলে আমরা শয়তান থেকে সতর্ক হওয়ার নিদৃষ্ট সময়টি জানতে পারি।

আর শয়তান থেকে আশ্রয়ের জন্য (আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম) শুধু এটি পড়তে পারেন তাছাড়া মসনদে আহমদের ১৫৪৬১ নং হাদীসে আরেকটি অতীব চমৎকার দোয়া রয়েছে সেটি হল

 

জিলহজ্বের ১০ দিনের খাস তসবীহ সকাল সন্ধ্যার জিকির।

(ইজা দাখালাল আশার ইজতাহাদা ইজতিহাদান হাত্তা মা এয়াকাদু এয়াকদিরু আলাই) জিলহজ্বের ১০ দিন যখন শুরু হয়ে যেত তখন হযরত সাঈদ বিন জুবাইর (রা) এত বেশী ব্যস্ত হয়ে যেতেন মনে হত তিনি কিছু একটাকে কাবু করতে চাচ্ছেন কিন্তু কাবু করতে পারছেন না। সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর জিকিরে লেগে থাকতেন। কোন জিকির? একটি ছোট বাক্য। সুবহানাল্লাহ! হাদীস বলছে কোন লোক যদি সকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহর জিকির করে তাহলে ১০০টি গোলাম আযাদের সাওয়াব আল্লাহ তার আমলনামায় দিয়ে দিবেন।

যদি আজ আপনাকে কেহ বলে ১০০টি ঘোড়া দান করুন, ১টি ঘোড়ার দাম ১লক্ষ টাকা হলে ১০০টি ঘোড়ার দাম হবে ১ কোটি টাকা, এখন চিন্তা করুন এমন কেহ কি আছেন যে ১০০টি ঘোড়া দান করতে পারবেন? খুবই কষ্টসাধ্য এই দান। এখন হাদীস বলছে ১০০ বার যদি আপনি আলহামদুলিল্লাহ পড়েন এর বিনিময়ে আল্লাহ সাওয়াব কতটুকু দিবেন? যতটুকু সাওয়াব আপনি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য ১০০টি ঘোড়া দান করলে পেতেন।

যারা কুরবানী করবেন ১টি পশু কুরবানী করাই কঠিন হয়ে যায়, কিন্তু কেহ যদি ১০০ বার আল্লাহু আকবার বলে হাদীস বলছে ধন সম্পদে বোঝাই করা ১০০টি উট আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার সমপরিমান সাওয়াব আল্লাহ তাকে দান করবেন।

আর যে ১০০ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়বে আসমান ও জমিনের মাঝকানের খালি অংশ আল্লাহ তার জন্য নেকিতে ভরিয়ে দিবেন।

তাই এই ১০ দিনে বেশী বেশী জিকির করুন সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহুআকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

দেখুন আমরা যে তকবীর পড়ি সেখানেও এই শব্দগুলিই বিদ্যমান (আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার  লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ) তাই বেশী বেশী এই জিকির সমুহ করুন।

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.