যায়নামাজ থেকে উঠার আগেই ১০০% মণের আশা পুরণ হবে।সালাতুল হাজত। Moner Asha Puroner Amol

 

যায়নামাজ থেকে উঠার আগেই ১০০% মণের আশা পুরণ হবেসালাতুল হাজত Moner Asha Puroner Amol



আজকে যে আমলটির কথা বলব সে আমলটি আম্বিয়াকেরামগনও করতেন, আমাদের প্রিয় নবীজিও এই আমলটি করেছেন বিশেষ করে হযরত ইবরাহিম () এর স্ত্রী বিবি সারাও এই আমলটি করে সাথে সাথে কামিয়াব হয়েছেন, জায়নামাজে থাকতেই রেজাল্ট

হাদীস খানা বুখারীর ২২১৭ নং হাদীসে বিস্তারিত রয়েছে

বিবি সারা জালেমের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভাল করে অজু করে নিলেন তারপর রাকাত নামাজ পড়লেন আর দোয়া করলেন

اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ وَأَحْصَنْتُ فَرْجِي، إِلاَّ عَلَى زَوْجِي فَلاَ تُسَلِّطْ عَلَىَّ الْكَافِرَ‏.‏

(আল্লাহুম্মা ইন কুনতা আমানতু বিহা ওয়াবিরাসুলিকা ওয়া আহছানতু ফারজি, ইল্লা আলা জাওজি ফালা তুছাল্লিত আলাইয়্যাল কাফিরা)

হে আল্লাহ! আমিও তোমার উপর এবং তোমার রাসূলের উপর ঈমান এনেছি এবং আমার স্বামী ছাড়া সকল থেকে আমার লজ্জাস্থানের সংরক্ষন করেছি তুমি এই কাফিরকে আমার উপর ক্ষমতা দিওনা

এই দোয়া করার সাথে সাথেই সে জালেম বাদশা বেহুশ হয়ে মাটিতে পড়ে গেল

সুনানে তিরমিযির ৪৭৯ নং হাদীসে এই আমলটির কথা বিস্তারিত বয়ান আছে

আপনার যে কোন কিছুর প্রয়োজন হবে, যে কোন সমস্যায় পতিত হন না কেন, আপনার যে কোন বিপদ আসুক না কেন, আপনি মাকরুহ ওয়াক্ত ছাড়া ভাল ভাবে অজু করে রাকাত নামাজ আদায় করবেন, স্পেশাল কোন নিয়ম নাই সাধারণ নিয়মে রাকাত নামাজ পড়ে দোয়াটি পড়বেন

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

(উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা ওয়া গারাইমা মাগফিরাতিহা ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিন ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাআ লি জানবান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাহা রেদান ইল্লা কাদাইতাহা এয়া আরহামার রাহিমিন

অর্থ- আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই তিনি অতি সহিষ্ণু দয়ালু, সকল দোষ-ক্রটি থেকে পবিত্র তিনি, মহান আরশের প্রভু সকল প্রশংসা আল্লাহর, তিনি সারা জাহানের রব আপনার কাছেই আমরা প্রার্থনা করি, আপনার রহমত আকর্ষণকারী সকল পুণ্যকর্মের অসীলায়, আপনার ক্ষমা মাগফিরাত আকর্ষণকারী সকল ক্রিয়াকাণ্ডের বরকত, সকল নেক কাজ সাফল্য লাভের এবং সব ধরনের গুনাহ থেকে নিরাপত্তা লাভের আমার কোন গুনাহ যেন মাফ ছাড়া না থাকে কোন সমস্যা যেন সমাধান ছাড়া না যায় আর আমার এমন প্রয়োজন যাতে রয়েছে আপনার সন্তুষ্টি তা যেন অপূরণ না থাকে, হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ৪৭৯]

সুতরাং আপনার যে কোন হাজত পুরণের জন্য অতি উত্তম রুপে অজু করে রাকাত নামাজ পড়বেন তারপর আল্লাহর প্রসংশা এবং বার দরুদ শরীফ পড়ার পর এই দোয়াটি পড়বেন ইনশা আল্লাহ সাথে সাথে আপনি রেজাল্ট দেখতে পাবেন

এক ওজিফা হাজার সমাধান

গোটা মানুষ জাতীর সবচেয়ে বড় আশা আকাংখা হল দুঃখ, কষ্ট, মুসিবত, পেরেশানি, বাঁধা, বিপত্তি যেন না আসে

মানুষের ২য় আশা আকাংখা, যে কোন কাজে হাত দিলে, কদম বাড়ালে, সব কাজ যেন সহজসাধ্য হয়ে যায় কোন কাজই যেন মুশকিল না হয়

মানুষের ৩য় আশা হল, আল্লাহ যেহেতু জিন্দেগী দিয়েছেন হায়াত দিয়েছেন সেহেতু ধন দৌলতও যেন দিয়ে দেন যাতে সব মনের খাহেশ পুরণ করা যায়

আবার খাহেশ পুরণে কেহ হালাল তরিকা অবলম্বন করে আর কেহ হারাম তরিকা অবলম্বন করে

মানুষের ৪থ আশা হল, ইনসান বা মানুষ যা নিসিয়ান শব্দ থেকে উৎপত্তি যার অথ হল ভুলে যাওয়া তাই মানুষ যদি ভুল করে কোন গুনাহ করে ফেলে সে গুনাহ যেন মাফ হয়ে যায়

মানুষের ৫ম আশা হল, গুনাহ হয়ে গেলেও আল্লাহ যেন মাফ করে জান্নাতেই দেন

এই ৫টি খাহেশ ইচ্ছা আকাংখার একটাই ঠিকানা তা হল আল্লাহর রহমত আল্লাহ এই ৫টি খাহেশ কেন  বান্দার এরকম হাজার ইচ্ছা পুরণ করতে পারেন নিমিষেই সে জন্য বান্দাকে আল্লাহর সামনে ঝুকে যেতে হবে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবেনাআল্লাহর উপর পূণ একিন বিশ্বাস হারানো যাবেনা আল্লাহ বলেন (লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ) তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না

মুমিন বান্দা কোন নেয়ামত পেলে তাতে শোকর আদায় করেও নেকী পায়, মুমিন বান্দা কোন দুঃখ মসিবতে গ্রেফতার হলে তাতে ধৈর্য্যধারন করেও নেকি পায় তাই মুমিনের কোন কিছুতেই হারাবার কিছু নাই সবই আল্লাহর রহমত মনে করে সর্বাবস্থায় মুমিনের মুখে এই ওজিফা জারি থাকে আলহামদুলিল্লাহ অর্থ্যাৎ সকল প্রসংশা  আল্লাহর 

সারা জীবন শান্তিতে কাটাতে ওজিফা খুব বেশী বেশী করুন

অনেকে বলে সন্তান হচ্ছেনা, কেহ বলে আমি একদম ফকির হয়ে গেছি, টাকা পয়সার খুব অভাব আল্লাহ তায়ালা এর ছোট একটি ঔষধ বলে দিয়েছেন

আর সে ঔষধ এর ৫টি বড় বড় রেজাল্ট দিবেন

নাম্বার - : গুনাহ মাফ করে দিবেন

নাম্বার-: ধন সম্পদ দান করবেন

নাম্বার -: সন্তান সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন

নাম্বার-: ফল ফসলাদি রিযিক বাড়িয়ে যদেবন

নাম্বার-: পানির সমস্যা থাকলে সমাধান করে দিবেন

আর সে ঔষধটি হল যা সুরা নুহের ১০-১২ নং আয়াতে

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا

অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল [সুরা নূহ - ৭১:১০]

يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا

তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, [সুরা নূহ - ৭১:১১]

وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا

তোমাদের ধন-সম্পদ সন্তান-সন্ত তি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন [সুরা নূহ - ৭১:১২]

সুতরাং আপনার সন্তান সন্ততি, ধন সম্পদ, রিযিক, পানি সহ যে কোন বড় বড় সমস্যায় বেশী বেশী এসতেগফার পড়বেন, নিজের গুনাহের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইবেন

জালালি ওজিফা ঘরে বরকতের আমলমনের আশা পুরণের দোয়া Wazifa for Any Hajat

তেরে হাতমে হু কুরআন আউর তু দুনিয়া মে রেহে পেরেশান?

তেরে হাতমে হু কুরআন আউর তু দুনিয়া মে রেহে না কাম?

তেরে হাতমে হু কুরআন আউর তু দনিয়া মে রেহে গোলাম

গোলামি নফসের হউক, কিংবা শয়তানের হউক কিংবা যে কারো গোলামি হউক, কোন মুসলমানের জন্য তা শোভা পায়না কারন মুসলমানের আছে কুরআন আল্লাহ বলছেন (ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরাম) অর্থ্যাৎ তুমি কুরআন পড় তাহলে তোমার প্রভু তোমাকে সম্মানিত করবে

আমরা যদি আল্লাহর সামনে নিজেদেরকে সোপর্দ করে দিতে পারি, তারপর দেখুন আল্লাহ তায়ালা কিভাবে সাহায্য করেন

সেজন্য কবি বলেছেন

(মুমিনকি সাত গালাবা কা ওয়াদা হে কুরআন মে

তু মুমিন হে আউর গালেব নেহি, তু নকছ হে তেরে ঈমান মে)

আজ আমল আর ঈমানে দুর্বলতার ফলে মুসলমানরা বেইজ্জতির জিন্দেগী অতিবাহিত করছে আজ আল্লাহকে আমরা নারাজ করে বসে আছি, একজন ভিক্ষুক থেকেও আমরা খারাপ অবস্তায় আছি কারন একজন ভিক্ষুক এক দরজায় ভিক্ষা না পেলে অন্য দরজায় চলে যায়, সেখানেও না পেলে আরেক দরজায় চলে যায় কিন্তু সমস্যা হল আমরা যারা ঈমানদার দাবী করি তাদের, কারন আমাদের একটিই দরজা আমাদের ২য় আর কোন দরজা নাই আমরা যেখানেই যাই কিছুই পাবনা যাই পাব শুধু একটি দরজা থেকেই পাব তাই আমাদের একটাই দরজা সে দরজার মালিককে রাজি করতে হবে, যত ভুল যত অপরাধ তওবা করে সে দরজার ভিখারী হিসেবে গ্রহণযোগ্য ভিখারী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে

কুরআন পড়তে হবে, কুরআন বুঝতে হবে, কুরআনের নিয়মে চলতে হবে তাহলেই আল্লাহর ওয়াদা মোতাবেক ঘরে বাহিরে সব জায়গায় সম্মানের পাত্র হওয়া যাবে (ইকরা ওয়ারাব্বুকাল আকরাম) কুরআন পড় তাহলে আপনার রব আপনাকে সম্মানিত করবেন

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.