সহজ নববী ওজিফা পাওয়ারফুল রেজাল্ট, মনের আশা পুরণের দোয়া। ইসমে আজম

 

সহজ নববী ওজিফা পাওয়ারফুল রেজাল্ট।

Most Best Easy Sunnat Wazifa

 


মওলা আলীর বোন উম্ম হানি যে ওজিফা হুজুর (দ) এর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছেন আমার হায়াতে আমি এমন ফজিলতময় ওজিফা দেখিনি। সৈয়্যদা উম্মে হানি (রা) ছিলেন মাওলা আলী  (রা) এর বড় বোন। এবং নবী করিম (দ) এর চাচাতো বোন। উম্মে হানি (রা) একজন বয়স্ক মহিলা ছিলেন।

হাদীসটি সুনানে নাসাই কুবরার মধ্যে সহিহ সনদে আছে, হাদীস নাম্বার ১০৬৮০, তিরমিযিতেও হাদীসখানা রয়েছে,

সৈয়্যদা উম্মে হানি বলেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমি বুড়ি হয়ে গেছি আমার পক্ষে লম্বা লম্বা ওজিফা পড়া সম্ভব নয়। আমাকে এমন একটি ওজিফা বলে দিন যা পড়লে আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।

আপনারা জানেন গোলাম আযাদ করা অনেক বড় একটি কাজ, কেহ যদি ১টি ফরয রোজা ভঙ্গ করে তাহলে ১টি গোলাম আযাদ করা যথেষ্ট। কিন্তু ওজিফাটি পড়লে ১০০টি গোলাম আযাদ করার সাওয়াব হবে। তাহলে ১০০টি রোজার সমান এই ওজিফা।

আর ১টি ঘোড়ার দাম যদি ৩ লাখ টাকা হয়, ১০০টি ঘোড়ার দাম কত হবে? ৩ কোটি টাকা। আর এই ওজিফার দ্বারা ১০০টি ঘোড়া জিহাদে প্রেরণের সাওয়াব হবে।

আর ১টি উটের দাম ৫ লাখ টাকা হয়, ১০০টি ঘোড়ার দাম কত হবে? ৫ কোটিটাকা। আর এই ওজিফাটির দ্বারা ১০০টি উট আল্লাহর রাস্তায় কুরবানি করার সাওয়াব হবে।

আর এই ওজিফার আরো ১টি ফজিলত হল এই ওজিফা পড়লে আসমান ও জমিনের মাঝে যতটুকু খালি জায়গা আছে তা সাওয়াবে ভরিয়ে দিবে।

 

আর এত বড় বড় সাওয়াব লাভের জন্য কি করতে হবে? শুধু ৪টি কলমার ওজিফা পড়তে হবে,

আবার মুসলিম শরিফের হাদীসে আছে এই ৪টিকলমা আমার কাছে ঐ সমস্ত কিছু থেকে বেশী গুরুত্বপূণ ও প্রিয় যার উপর সুর্য উদিত হয়। অর্থ্যাৎ দুনিয়া এবং যা কিছু দুনিয়াতে আছে তার চেয়ে নবী (আ) এর কাছে বেশী প্রিয় এই ৪টি কলমা।

 ১০০ বার সুবহানাল্লাহ যা ১০০টি গোলাম আযাদের সাওয়াব দিবে, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ যা ১০০টি ঘোড়া আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে পাঠানোর বরাবর সাওয়াব দিবে, আর ১০০ বার আল্লাহু আকবার যা ১০০টি উপ আল্লাহর রাস্তায় কুরবানি করার সাওয়াব দিবে আর ১০০ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দ্বারা আসমান ও জমিনের মাঝে খালি জায়গা ভরিযে দিবে।

তাছাড়া সুনানে আবু দাউদে যে সালাতুত তাসবিহ নামাজের কথা আছে সেখানে ৩০০ বার এই তসবিহ গুলিই পড়া হয় (সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর)

সুতরাং আপনি একসাথে ৪টি কলমাকে একত্র করে (সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর) ১০০ বার পড়তে পারেন কিংবা আলাদা আলাদা করেও পড়তে পারেন, সুবহানাল্লা ১০০ বার, আলহামদুলিল্লাহ ১০০ বার, আল্লাহু আকবর ১০০ বার , লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ১০০ বার।

তাছাড়া এই ওজিফাটির প্রথম ৩টি তসবিহ ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর পড়াও সুন্নত দ্বারা প্রমাণিত ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার। যে এই তসবিহ পড়ে তার সমুদ্রের ফেনার বরাবর গুনাহ হলেও আল্লাহ তা মাফ করে দিবেন। আবার মুসলিম শরীফের হাদীসে ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর ১০ বার করে এই ৩টি তসবিহ পড়ার কথা আছে, অতএব ৩৩ বার করে না পারলে অন্তত ১০ বার করে হলেও পড়বেন। তাছাড়া গরীব সাহাবাগন নবীজিকে আরজ করলেন আমরা নামাজ রোজা জিহাদ সব করি কিন্তু সদকা করতে পারিনা তাই আমরা ধনীদের সমান সাওযাব কামাতে পারিনা, তখন হুজুর (দ) গরীব সাহাবীদের বললেন তোমরা যারা সদকা করার সামথ রাখনা তারা ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড় তাহলে তোমরাও ধনী সাহাবী যারা সদকা করে তাদের বরাবর হয়ে যাবে।

আর্জেন্ট দোয়া! স্বাস্থ্য সুরক্ষার দোয়া রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

 

রাতে চোখ খুলে গেলে ৩টি দোয়া জরুরী ভিত্তিতে করবেন



সহিহ বুখারীর এই রেওয়ায়েত আপনারা হয়ত শুনেছেন- যে ব্যক্তির রাতে হঠাৎ চোখ খুলে যায়, তাহলে পড়বেন

لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْـبَرُ ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ رَبِّ اغْفِرْ لِي

লা ইলা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন কাদির, সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম, রাব্বিগফিরলি।

এই কলমা পড়ে যে ব্যক্তি দোয়া করে তার সে দোয়া আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেন না।

তখন জরুরী ভিত্তিতে ৩টি দোয়া করবেন- আল্লাহ রাসুল (দ) যখন দোয়া করতেন তখন প্রথমে নিজের জন্য দোয়া করতেন,

সুতরাং আপনিও প্রথমে নিজের জন্য এই দোয়া করবেন (আল্লাহুম্মাহদিনি )  আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দান করুন।

২য় দোয়া জীবিত মা বাবার জন্য করবেন বলবেন (আল্লাহুম্মা আশফি উম্মি ওয়া আবি, ওয়াহ ফাজহুমা বিল খাইরি ওয়াল আফিয়া) অর্থ্যাৎ হে আল্লাহ আমার পিতা মাতাকে শেফা দান করুন, হে আল্লাহ তাদেরকে হেফাজত করুন কল্যানের সাথে।

আর যদি মা বাবা মৃত্যু বরণকরে দোয়া করবেন (আল্লাহুম্মারহামহুমা  ওয়ারফা দারাজাতাহুমা) আল্লাহ আমার মৃত মা বাবাকে ক্ষমা করুন তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিন।

আর ৩য় দোয়াটি কখনো ছাড়বেননা - (আল্লাহুম্মা  আছলেহ নিয়্যাতি, ওয়া জুররিয়্যাতি) হে আল্লাহ আমার নিয়তকে ঠিক করে দিন আমার সন্তানদেরকেও ঠিক করে দিন।

 

এশার পর এই আমল করলে প্রতি রাত শবে কদরের ছাওয়াব



যদি মানুষ ৮৩ বছর ৪ মাস এবাদত করতে থাকে, কিন্তু তার মোকাবেলা যদি  ১ রাত লায়লাতুল কদর মিলে যায়, তাহলে সে রাত ৮৩ বছর ৪ মাসের এবাদতের চেয়েও বেশী  ছাওয়াব হাছিল হবে। এটা হল লায়লাতুল কদরের মর্যাদা। আর আমরা জানি সব রাত কিন্তু লায়লাতুল কদর হয়না। বছরে শুধু ১টি রাত লায়লাতুল কদর পাওয়া যায়।

কিন্তু আমাদের জন্য একটি সুখবর আছে তা হল আমরা প্রতি রাতেই লায়লাতুল কদরের সমান সাওয়াব হাসিল করতে পারি। হাদিসে পাকে আছে যে লোক এশারের পর একসাথে ৪ রাকাত পড়ে নিল সে ততটুকুই ছাওয়াব পাবে যেমন লায়লাতুল কদরে ৪ রাকাত পড়লে পেত।

আমরা সাধারণত এশারের পর ২ রাকাত সুন্নত পড়ি তারপর ২ রাকাত নফল পড়ি তারপর ৩ রাকাত বিতির পড়ি, কিন্তু লায়লাতুল কদরের ছাওয়াব লাভের জন্য এশারের পর ২ রাকাত সুন্নত ২ রাকাত নফল পড়ার পর ৪ রাকাত এক সাথে পড়তে হবে তাতে মাঝে সালাম ফিরানো যাবেনা। তারপর বিতির পড়বেন। অথবা এই ৪ রাকাত এক সালামে বিতির নামাজের পর পড়বেন। নিয়ত নফল হিসেবে করতে হবে।

 

মেজাজ শান্ত রাখার জন্য সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া 



করতে হবে আর সাথে সাথে যারা আল্লাহর ওয়ালা খোশ মেজাজের লোক তাদের জীবনী পড়তে থাকুন

আর সাথে সাথে তিরমিযি শরীফের ৩৪৮৩ নং হাদীসের এই দোয়াটি নিয়মিত পড়বেন

(اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي)

আল্লাহুম্মা আলহিমনি রুশদি ওয়া আঈজনি মিন শাররি নাফসি

হে আল্লাহ! আমার অন্তরে হেদায়াত ঢেলে দিন আর আমাকে পানাহ দিন আমার নফসের অনিষ্ট থেকে।

আর বেশী বেশী লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহর জিকির করবেন।

 

১ সেকেন্ডে সব দোয়া কবুল হবে। মনের আশা পুরণের দোয়া। ইসমে আজম শিখালেন মক্কী হেজাজি



মক্কা শরীফের একজন আলেম যার নাম মক্কী হেজাজি যিনি মক্কার মসজিদুল হারামে বিগত ৪০ বছর যাবৎ কুরআন হাদিসের দরস দিয়ে আসছেন তিনি বলেন- ইসমে আজম পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল আপনি আল্লাহর অনেক সিফতি নাম পাবেন অনেকে হাজারেরও অধিক অনেকে ৩০০০ সিফতি নাম লিখেছেন তবে  সহিহ হাদীস দ্বারা আল্লাহর যে সব নাম প্রমাণিত আছে সে রকম নাম হল ৯৯টি। আর এই ৯৯টি নামের মধ্যেই ইসমে আজম আছে এখন এর নিয়ম হল পাক পবিত্র হয়ে অজু সহকারে বিলকুল একাকি বসে প্রথমে দরুদ শরীফ পড়বেন, এরপর আল্লাহর ৯৯ নামসমুহ পড়বেন , ৯৯টি নাম পড়া শেষ হলে আবার পড়বেন, শেষ হলে আবার পড়বেন এভাবে ৩ বার পড়বেন, তারপর আমার দরুদ শরীফ পড়ে যে দোয়া করবেন ইনশা আল্লাহ কবুল হবে। কারন এই ৯৯ নামের ভিতর ইসমে আজম আছে তা নিশ্চিত, আর ইসমে আজম দ্বারা যে দোয়া করা হয় তা ১০০% কবুল হয়। তবে শত হল যাই আমল করবেন মন থেকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে করতে হবে। যদি মন আর মুখ এক না হয় তাহলে কোন ফায়দা নাই। মুখে যা পড়বেন যা বলবেন তা মনের ভিতর থেকেই বলতে হবে।  

 

اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ،

আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন।

اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ،

আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সামঈ,

হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন।

اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ،

আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি,

আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন।

لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ،

লা ইলাহা ইল্লা আনত

আপনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই।

 

 All Bangla Youtube Link

https://www.youtube.com/allbangla1

Bangla Dua Blog

https://allbangladua.blogspot.com

Bangla Dua Facebook Link

https://www.facebook.com/AllBanglaDua

 

 

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.