লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ দোয়া টি বা ওজিফাটি পড়ার সময় একটি কমন ভুল

 

লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতার ওজিফা পড়ার সময় ভুল



লা হাওলার ওজিফা সকলেই করে কিন্তু এটি পড়ার সময় প্রায় সকলেই ১টি কমন ভুল করে অথচ

আমরা জানি লা হাওলার ওজিফা অনেক ফজিলতের যেমন

বুখারী শরীফের আছে এই ওজিফাটি পড়লে জান্নাতের ধনভান্ডার লাভ হয় তথা জান্নাতের গুপ্তধন বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এই ওজিফাটিতে

তাছাড়া এ ওজিফাটি পাঠ না করে ফেরেশতারা আকাশে গমন করেনা

কেহ ১০০ বার এ ওজিফা পড়লে তাঁর আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়

তাছাড়া মেশকাতের ২৩২০ নং হাদীসে এই ওজিফার মধ্যে ৯৯টি বড় বড় রোগের ঔষধ রয়েছে বলে ঘোষনা আছে আর সবচেয়ে ছোট রোগ হল চিন্তা ও পেরেশানি।

দেখুন েএত বড় বড় ফজিলত ময় ওজিফাটি পড়ার সময় অধিকাংশ লোকই ভুল করে, মনে রাখবেন  চাবির দাঁত যদি সামান্য তারতম্য হয় তালা যেমন খুলে না তেমনি হাদীসে বণিত কোন ওজিফা যেমটি বলা হয়েছে তার চেয়ে বেশী বা কম পড়লেও সে ফজিলত হাসিল হয়না। হাদীস শরীফে আছে

ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ

(লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) এতটুকু পড়তে হবে এখন

অনেক ভাই বোন পড়েন (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম) অতিরিক্ত যে আলিয়্যিল আজিম পড়েন সেটা কিন্তু হাদীসে নাই। তাই যতটুকু আছে ততটুকুই পড়বেন তাহলেই ফজিলত পাবেন।

 

সুরা এয়াসিনের ফজিলত



তফসিরে জাহেদিতে লিখা হয়েছে মালাকুল মওত যখন কারো রুহ কবজ করতে চলে আসে আর সেখানে যদি সুরা এয়াসিন পড়া হয় তখন মালাকুল মওত ফিরে গিযে বারেগাহে এলাহিতে আরজ করে আমি তার রুহ কিভাবে কবজ করব সেখানে সুরা এয়াসিন পড়া হচ্ছে আর এই  সুরা এয়াসিনের এক এক হরফের বদলায় ফেরেশতা গিয়ে সেখানে জমা হয়ে আছে, তখন আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের ফেরেশতা রেজওয়ানকে সেখানে পাঠিয়ে দেন, আর সে সেখানে গিয়ে ঐ লোককে জান্নাতের এক এক নেয়ামত প্রদশন করে আর বলে তোমার জন্য এই খুবসুরত জান্নাত অপেক্ষারত, আর সে এতসব নেয়ামত দেখে তখন তার রুহ খুশি খুশি বেরিয়ে আসে।

 

সুরা এখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস মুখস্থ থাকলে এভাবে তিলাওয়াত করুন



ফরয নামাজের পর সবচেয়ে মর্যাদার ও গুরুত্বপূর্ণ নামাজ হল তাহাজ্জুদ নামাজ। আপনি এশারের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত যদি উঠে ২ রাকাতও পড়ে নেন আবু দাউদ শরীফের সহিহ সনদে বর্ণিত ১৩৯৮ নং হাদীস

" مَنْ قَامَ بِعَشْرِ آيَاتٍ لَمْ يُكْتَبْ مِنَ الْغَافِلِينَ وَمَنْ قَامَ بِمِائَةِ آيَةٍ كُتِبَ مِنَ الْقَانِتِينَ وَمَنْ قَامَ بِأَلْفِ آيَةٍ كُتِبَ مِنَ الْمُقَنْطَرِينَ "

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতের নামাযে দণ্ডায়মান হয়ে দশ আয়াত পরিমাণ পাঠ করবে, সে গাফেলদের বা অমনোযোগিদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। আর যে ব্যক্তি রাতে একশত আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার নাম অনুগত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং যে ব্যক্তি এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে অশেষ ছওয়াব প্রাপ্তদের মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হবে।


১০০ আয়াত পড়তে না পারলেও যাদের কাছে সুরা ফালাক ও সুরা নাস মুখস্থ আছে, এই ২টি সুরা সকলেরই মুখস্থ থাকে যাতে ১১টি আয়াত আছে এখন আপনি যদি এই ২টি সুরা দিয়ে ২ রাকাত রাতে এশারের পর থেকে ফজরের আগ পযন্ত পড়ে নেন তাহলে আপনার নাম গাফেলদের অমনোযোগিদের খাতা থেকে কেটে দেয়া হবে।

আর কেহ যদি ২ রাকাতে ১০০ পড়তে চান তার জন্যও সহজ পথ আছে ধরুন আপনার কাছে কুলহুয়াল্লাহ সুরা ফালাক সুরা নাস মুখস্থ আছে এখন সুরা এখলাস বা কুলহুয়াল্লাতে আয়াত আছে ৪টি আপনি যদি ১ম রাকাতে এই সুরাটি ১০ বার পড়েন এবং সাথে সুরা ফালাক ও সুরা নাস ১ বার করে পড়েন তাহলে আপনার ৫১ আয়াত হয়ে যাবে তারপর ২য় রাকাতেও একই ভাবে সুরা এখলাস ১০ বার সুরা ফালাক ও নাস ১ বার করে পড়বেন তাহলে ১০২ আয়াত হয়ে গেল। ফলে আপনার নাম অনুগত বান্দাদের খাতায় লেখা হবে।

আর ২ রাকাতে ১০০০ আয়াত পড়ার জন্য সহজ পন্থা হল প্রতি রাকাতে ১২৫ বার সুরা এখলাস পড়া। 

 

 

ইমাম গাজ্জালির ওজিফা- উজলত করা যাবেনা



আপনি দোয়া করার সময় সকল আম্বিয়া, সাহাবী, আউলিয়া, শোহাদাগনের রুহে পাকে ছাওয়াব পৌঁছাবেন এর ফলে আপনার দোয়া অবশ্যই কবুল হবে। দোয়াতে সোয়ালিহিন বা নেক লোকদের তাজকেরা দোয়া কুবুলিয়তের কারন।

 

তবে দোয়ার ব্যপারে কখনো উজলত করা যাবেনা - হাদিস শরীফে আছে

قَالَ: «يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ: يَقُوْلُ: قَدْ دَعْوتُ رَبِّي، فَلَمْ يَسْتَجِبْ لِي»

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তির দোআ গৃহীত হয়; যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে; বলে, আমার প্রভুর নিকট দোআ তো করলাম, কিন্তু তিনি আমার দোআ কবূল করলেন না।

প্রশ্ন করা হল (মাল উজলাহ?) উজলাহ কি জিনিষ? হুজুর (দ) জবাব দিলেন

قَالَ: «يَقُوْلُ: قَدْ دَعوْتُ، وَقَدْ دَعَوْتُ، فَلَمْ أرَ يَسْتَجِيبُ لِي، فَيَسْتحْسِرُ عِنْدَ ذَلِكَ وَيَدَعُ الدُّعَاءَ

দোআকারী বলে, দোআ করলাম, আবার দোআ করলাম, অথচ দেখলাম না যে, তিনি আমার দোআ কবূল করছেন। কাজেই সে তখন ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বসে পড়ে ও দোআ করা ত্যাগ করে দেয়।

 

রেফারেন্স: সহীহুল বুখারী ৬৩৪০, মুসলিম ২৭২৯, তিরমিযী ৩৩২৭, আবূ দাউদ ১৪৮৪, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৩, আহমাদ ৮৯০৩, ৯৯২৯, মুওয়াত্তা মালিক ৪৯৫

 

ইমাম গাজ্জালি (রহ) এহিয়ায়ে উলুমুদ দিনে লিখেছেন যে লোক দোয়া থেকে নিরাশ হয়ে দোয়া করা ছেড়ে দেয় সে লোক দুনিয়া থেকে কাফের অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে, শেষ মুহুর্তে ঈমান ধ্বংস হয়ে যায়, সে জন্য দোয়া কবুল না হলেও নিরাশ না হয়ে দোয়া করা ছেড়ে না দিয়ে বারবার দোয়া করে যেতে হবে। দোয়া দ্বারা জিহ্বাকে তরুতাজা রাখতে হবে। কারন হয়ত আপনি যে দোয়া করছেন তা কবুল হচ্ছেনা অথচ আল্লাহ আপনাকে এই দোয়ার বদৌলতে অন্য কোন অজানা বিপদ মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখছেন, তাছাড়া দুনিয়ায় কারো দোয়া যদি কবুল না হয় আল্লাহ তায়ালা সে সব দোয়ার বদলা আখেরাতে দিবেন আর আখেরাতের বদলা সবচেয়ে উত্তম, যা দেখে লোক প্রচন্ড খুশি হয়ে যাবে। আর বলবে দুনিয়ায় যদি আমার ১টি দোয়াও কবুল না হত কতইনা ভালো হত।

 

রিযিক বাড়ানোর উপায় ও সহজ আমল - মাওলানা তারেক জামিল



মাওলানা তারেক জামিল সাহেব রিযিক বৃদ্ধির যে ওজিফা বয়ান করেছেন তা আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব ইনশা আল্লাহ

তিনি বয়ান করেন- এক সাহাবী আসলেন বললেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমার রিযিকের খুব অভাব আমাকে কোন ওজিফা দিন-

লোকজন কত লম্বা লম্বা ওজিফা পড়ে- যাতে ব্যবসায় সফলতা আসে, রুজি রোজগারে রিযিকে বরকত আসে, কিতাবসমুহের মধ্যেও অনেক বড় বড় ওজিফা লিখা আছে, পড়তে পড়তে মানুষ বুড়া হয়ে যায়,

আমি কুরবান যাব রাসুলাল্লাহর (দ) কদমে। তিনি দ্বীনকে আমাদের কাছে কত সহজ ভাবে পেশ করেছেন। হে আমার ভাই বোনেরা শুনুন এই ওজিফা করুন, এটা আমার ওজিফা নয় আমার নবীর ওজিফা।

পরীক্ষামুলক করলে কোন ফায়দা হবেনা, দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে করলে রিজিকের দরজা খুলে যাবে।

সে সাহাবী বলল (এয়া রাসুলাল্লাহ উরিদু আন ইউয়াচ্ছা আলাইয়্যা রিযকি) আমি চাই আমার রিজিকের দরজা খুলে যাক, তখন হুজুর (দ) ফরমালেন (আদিম আলাত তাহারা ইউয়াচ্ছা আলাইকা রিযকুক) তুমি সদা অজু সহকারে থাক তোমার রিযিকের দরজা খুলে যাবে।

যদি আমার কথা হয় দিওয়ালে নিক্ষেপ করুন, বা পরীক্ষা করে দেখুন, কিন্তু নবীর কথাকে পরীক্ষা করতে নাই বরং একিনের সাথে পালন করতে হয়। নবীজি ফরমালেন- (আদিম আলাত তাহারা ইউয়াচ্ছা আলাইকা রিযকুক) তুমি সদা অজু সহকারে থাক তোমার রিযিকের দরজা খুলে যাবে।

একদিন নবী করিম (দ) শয়তানকে প্রশ্ন করেন তোমার বড় দুষমন কে?

শয়তান বলল ১৫ জন লোক আমার বড় দুষমন

নাম্বার ১- আপনি (রাসুলুল্লাহ)

২- ঐ মুসলমান যে সব সময় অজুর সাথে থাকে

তাছাড়া যারা অজু সহকারে থাকে ঘুমানোর সময় অজু করে ঘুমায় তাদের জন্য একজন ফেরেশতা পাহাড়াদার নিযুক্ত করা হয়। তাই আজ থেকে একটি কাজ করবেন যখনই অজু ভেঙ্গে যাবে সাথে সাথে অজু করে নিবেন এর আরো ১টি ফায়দা অজুর সাথে থাকলে নামাজ পড়া সহজ হয়ে যায়।

 

 

 

 

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.