দরুদে নারিয়া, কোরআনের ৩১টি সুরার ফজিলত। ৪ নিয়তে ২ রাকাত নামাজ
শুধু ৪ রাকাত নামাজ বেশী নেয়ামত বেশী পুরস্কার লাভের নামাজ
আজ
৪ রাকাত নামাজের কথা বলব যে নামাজে সবচেয়ে বেশী বরকত
তিরমিযি
শরীফের ২১৮৪ নং হাদীস- নবী (আ) বলেন- যে ব্যক্তি এ নামাজ পড়ে সে সারাদিন আল্লাহর
জিম্মায় চলে যায়
আবু
দাউদ শরীফের ৪৯৪ নং হাদীস- নবী (আ) এরশাদ করেন- এ নামাজ কেয়ামতের দিন নুর হিসেবে
দেখা দিবে
মুসলিম
শরীফের ৬৩৪ নং হাদীস- নবী (আ) বলেন- এ নামাজে আছে জাহান্নাম থেকে মুক্তির
গ্যারান্টি
বুখারী
শরীফের ৬৫৭ নং হাদীস- হুজুর (দ) বলেন- এ নামাজ দ্বারা মুনাফিকি থেকে মুক্তি পাবে
বুখারীর
৫৪০ নং হাদীস- এ নামাজ আদায়কারী আলোচনা মনাহ রবের দরবারে আলোচিত হয়
মুসিলম
শরীফের ১২৪০ নং হাদীস- নবী করিম (দ) এই নামাজ দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে সবকিছুর
চেয়ে শ্রেষ্ঠ
উমর
ইবনুল খাত্তাব রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ নাজদের দিকে এক অভিযানে একটি সেনাদল পাঠান। তারা প্রচুর গণিমতের
সম্পদ অর্জন করে এবং তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। তাদের সাথে যায় নি এমন এক লোক বলল,
অল্প সময়ের মধ্যে এত পরিমাণে উত্তম গণিমত নিয়ে এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি আর কোন
সেনাদলকে আমরা ফিরে আসতে দেখি নি। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
আমি
কি তোমাদেরকে এমন এক দলের কথা বলব না যারা এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি উত্তম গণিমত
নিয়ে ফিরে আসে? যারা ফজরের নামাজের জামা’আতে হাযির হয়, (নামাজ শেষে) সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহ্ তা’আলার যিকির করতে থাকে, তারাই অল্প সময়ের মধ্যে উত্তম গণিমতসহ
প্রত্যাবর্তনকারী। (তিরমিযি ৩৬৪১)
এই
সব ফজিলত হল ফজরের ৪ রাকাত নামাজের ফজিলত
আল্লাহ
তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা নিয়মে জামাআতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করার তাওফিক দান
করুন। হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত, মর্যাদা ও উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
দরুদে নারিয়ার ফজিলত ও পড়ার নিয়ম
সম্মানিত
সুধীবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম! আপনারা কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আজকে আমি এমন
একটি দরুদ শরীফের কথা বলব যে দরুদ শরীফটির আমল পরীক্ষিত, বুযুর্গানে দ্বীন যখনই এই
দরুদ শরীফের আমল করে দোয়া করেছেন কবুল হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন।
সে
জন্য যারা দুরারোগ্য ব্যাধীর সমস্যা, চাকরীর সমস্যা, ব্যবসার সমস্যা, বিবাহের
সমস্যা, দুষমনের সমস্যা, চুরি ডাকাতির সমস্যা সহ যে কোন সমস্যা ও বিপদ আপদে এই
দরুদ শরীফ এর মাধ্যমে দোয়া করেন তারাই এর রেজাল্ট হাতে হাতে পান।
এই
দরুদ শরীফ পড়ার নিয়ম হল ৪৪৪৪ পড়তে হবে, আপনি নিজেও পড়তে পারেন কিংবা ১১ জন আলেমকে
দিয়ে পড়াতে পারেন। ১১ জনে পড়লে প্রতিজনে ৪০৪ বার পড়তে হবে।
তিরমিজি
শরীফের হাদীস যাতে হযরত উবাই বিন কাব (রা) এর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে যে ঘটনায় দেখা যায়
উবাই বিন কাম নিজের আমলের ৪ ভাগের ১ ভাগ দরুদ পাঠের আগ্রহ প্রকাশ করলেন তখন নবীজি
তাকে আরো বেশী দরুদ পড়লে ভালো হবে বলে উৎসাহিত করলেন, শেষ পযন্ত উবাই বিন কাব (রা)
নিজের আমল ও ওজিফার সম্পূণ সময় জুড়ে হুজুরের উপর দরুদ পাঠ করার আগ্রহ প্রকাশ করলে
হুজুর (দ) ফরমালেন যদি তুমি তা কর তাহলে তোমার সকল পেরেশানি দুর হবে।
সুতরাং
কেহ কোন বিপদে পড়লে যে চাইলে নিজেও বেশী বেশী দরুদের আমল করতে পারে অথবা
বুযুর্গানে দ্বিনের এই তরতীবে দরুদে নারিয়ার আমলটি করতে পারেন। যা পরীক্ষিত
আসুন
দরুদে নারিয়াটি দেখে নিই
দরুদে
নারিয়া
اَللّٰهُمَّ صَلِّ صَلٰوةً
كَامِلَةً وَسَلِّمْ سَلَامًا
تَامًّا عَليٰ سَيِّدِنَا
مُحَمَّدِنِ الَّذِيْ تَنْحَلُّ
بِهِ الْعُقَدُ وَتَنْفَرِجُ بِهِ
الْكُرَبُ وَتُقْضىٰ بِهِ
الْحَوَائِجُ وَتُنَالُ بِهِ
الرَّغَائِبُ وَحُسْنُ الْخَوَاتِمِ وَيُسْتَسْقَي الْغَمَامُ
بِوَجْهِهٖ الْكَرِيْمِ وَعَليٰ
اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ فِي
كُلِّ لَمْحَةٍ وَّنَفَسٍ
بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ
لَكَ
আল্লাহুম্মা
ছাল্লি ছালাতান কামিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিল্লাযী তানহাল্লু বিহীল উক্বাদু ওয়া
তানফারিজু বিহীল কুরাবু ওয়া তুক্বদ-বিহীল হাওয়ায়িজু ওয়া তুনালু বিহীর রাগাইবু ওয়া
হুসনুল খওয়াতিমু ওয়া ইউস্ তাস্কাল গামামু বিওয়াজ হিহিল কারীম। ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া ছাহবিহী ফী কুল্লি লামহাতিন ওয়া নাফাসিম বিআদাদি
কুল্লি মা’লুমল্লাক্।
অথ- হে আল্লাহ আমাদের সরদার হযরত মুহাম্মদ (দ)
এর উপর পরিপূর্ণ দরুদ ও সালাম প্রেরণ করুন, যার কারনে কঠিন বিপদ আপদ হতে উদ্ধার
পাওয়া যায়, এবং সব ধরনের বালা মসিবত দুর হয়, যার কারনে সব ধরনের হাজত পুরণ হয়,
তারঁ করনেই সমস্ত আশা আকাংখা বাস্তবায়িত হয়, এবং তাঁর কারনেই ঈমান অবস্থায় মানুষের
মৃত্যু হয়। তাঁর সম্মানিত জাতের উসিলায় বৃষ্টিপাত হয়, এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও
সাহাবীদের উপর প্রতি মুহুর্তে এই পরিমাণ দরুদ ও সালাম পাঠান যে পরিমাণ আপনার
জ্ঞানে আছে।
কুরআনের কোন সুরার কি ফজিলত
একটি
খুব চমৎকার কিতাব জান্নাতি হার এ কিতাবে কুরআনের সুরা সমুহের অসাধারণ কিছু ফজিলত ও
ওজিফার কথা তুলে ধরা হয়েছে খুব মন দিয়ে শুনুন যদি পারেন লিখে রাখুন খুব ফায়দা হবে
1.
সুরা ফাতেহা ১০০ বার পড়ে যে দোয়া করা হয় কবুল হয়ে যায়
2.
সুরা বাকারার তেলাওয়াত করলে শয়তান ঘর থেকে পালিয়ে যায়
3.
আয়াতুল কুরসি পড়ার দ্বারা অভাব দুর হয়
4.
সব সময় সুরা কাহাফ পাঠ করলে দাজ্জালের ফিতনা থেকে হেফাজতে থাকবে
5.
মা বাবার কবরে প্রতি শুক্রবার সুরা এয়াসিন পাঠ করলে মৃত মা বাবার হরফের সমপরিমাণ
গুনাহ মাফ হয়
6.
সুরা আদ দোখান পড়লে বিপদ দুর হয়
7.
মুমুষ রোগীর পাশে বসে সুরা আল জাসিয়া পড়ে ফুঁক দিলে তার খাতেমা বিল খাইর হয়
8.
সুরা হুজরাত পড়া এবং ফুক দিয়ে তা পান করা ঘরের বরকতের জন্য উপকারী
9.
সুরা ক্বাফ পড়ার দ্বারা বাগানে ফসলের আধিক্য হয়
10.
সুরা রাহমান ১১ বার পড়ার দ্বারা সকল মকসদ পুরা হয়
11.
সুরা ওয়াকিয়া যে নিয়মিত পড়ে সে কখনো অভাবগ্রস্থ হবেনা
12.
সুরা মুলক প্রতি রাতে পাঠকারী কবরের আযাব থেকে হেফাজতে থাকবে
13.
সুরা মুজাম্মিল ১১ বার পড়ার দ্বারা সকল মুশকিল আসান হয়
14.
সুরা মুদ্দাচ্ছির পড়ে কুরআন হেফজ হওয়ার জন্য দোয়া করলে হেফজ করা সহজ হয়
15.
সুরা আদদ্দোহা পড়ার ফলে পলাতক লোক ফিরে আসবে
16.
সুরা আলাম নাশরাহ যে মালের উপর পড়া হবে তাতে খুব বরকত হবে
17.
সুরা তিন ৩ বার পড়ার দ্বারা চরিত্র উত্তম হয়
18.
সুরা আলাকের মধ্যে জোড়ার ব্যথার চিকিৎসা আছে
19.
সুরা কদর যে সকাল সন্ধ্যা পাঠ করবে আল্লাহ তার ইজ্জত বাড়িয়ে দিবেন
20.
সুরা আল বায়্যিনাহ কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা
21.
সুরা যিলযাল কুরআনের ৪ ভাগের ১ ভাগের সমান
22.
যে প্রাণীর উপর বদ নযর লেগেছে তাকে সুরা আদিয়াত পড়ে ফুক দিলে উপকার হবে
23.
সুরা কারিয়া পড়ার দ্বারা বলা মসিবত থেকে মাহফুজ থাকবে
24.
সুরা তাকাসুর ৩০০ বার পড়ার দ্বারা খুব দ্রুত কজ পরিশোধ হয়
25.
সুরা কুরাইশ নিজের প্রাণের হেফাজতের জন্য পরীক্ষিত যেখানে গেলে আপনার উপর প্রাণ
নাশের হামলা হতে পারে সেখানে যাওয়ার আগে সুরা কুরাইশ পড়লে হামলা হবেনা
26.
সুরা মাউন বড় বড় মসিবতের সময় পড়া খুবই উপকারী
27.
সুরা কাউসারের তেলাওয়াতের দ্বারা নিঃসন্তানের সন্তান হয়
28.
সুরা কাফেরুন কুরআনের ৪ ভাগের ১ ভাগের সমান
29.
সুরা এখলাস কুরআনের ৩ ভাগের ১ ভাগের সমান
30.
সুরা ফালাক ও সুরা নাস দ্বারা জিন শয়তান ও হিংসুকের অনিষ্ট থেকে বাঁচা যায়
31.
কুরআনের মধ্যে ১৪টি সিজদার আয়াত আছে এই আয়াতে সিজদা ১৪টি যদি এক বসায় কেহ পড়ে এবং
১৪টি সিজদা করে আর যে দোয়া করবে, যে বিপদে আছে আল্লাহর দয়ায় সে দোয়া কবুল হয় সে
বিপদ দুর হয়ে যায় সে সমস্যা সমাধান হয়ে যায়
কোন মন্তব্য নেই