ঘরে বরকত হওয়ার খাবার। যে খাদ্য থাকলে ঘরে বরকত হয়।

ঘরে বরকত হওয়ার খাবার। যে খাদ্য থাকলে ঘরে বরকত হয়।



আসসালামু আলাইকুম, অল বাংলা চ্যানেলের প্রিয় বন্ধুরা আমি আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমার দোয়া আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থ ও সবল রাখুক।

প্রিয় বন্ধু দারিদ্রতা এবং অভাবমুক্ত জীবন দুটিই আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়, কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত প্রতিটি অবস্থায় কুরআন ও প্রিয় নবী (দ) এর হাদিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।

কেননা সকল মুসলমানের জন্য হুজুর (দ) এর পবিত্র জিন্দেগী ও সুন্নত হল সকল সমস্যার সমাধান।

হুজুর পাক (দ) এর জিন্দেগীথেকে আমরা এমন কতগুলি রেওয়ায়েত পাই, যাতে বিভিন্ন কিছুর উপকারিতা বয়ান হয়েছে।

বন্ধুরা আজকের এই ভিডিওতে আমি আপনাকে এমন একটি খাদ্যের ব্যপারে বলতে যাচ্ছি যে জিনিষের ব্যপারে পেয়ারে নবী (দ) এটা ফরমায়েছেন সে জিনিষ যে ঘরে থাকবে সে ঘরে অভাব আছে বলা যাবেনা। সে জন্য প্রত্যেক মুসলমানের দরকার সে জিনিষটি ঘরে রাখা। আর এটি যেন ঘর থেকে শেষ না হয়।

বন্ধুরা সে খাস জিনিষটি কি? এবং সে ব্যপারে নবী করিম (দ) এর কি কি ফরমানে আলিশান আছে সে ব্যপারে পুরাপুরি জানার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখবেন।

যদি মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় মাল ও দৌলত মওজুদ থাকে তবে তার জিন্দেগি সুন্দর ভাবে কেটে যায় - পক্ষান্তরে যদি কোন মানুষ মাল দৌলতের অভাবে লিপ্ত হয় তখন সে তার সকল প্রয়োজন পুরণে পরের মুখাপেক্ষি হয়ে যায়। এবং সে তখন খুবই পেরেশানিতে মুবতালা থাকে।

যে সব লোক অভাবের মধ্যে আছেন তারাই আরেকজন অভাবীর দুঃখ বুঝতে সক্ষম হবে। টাকা পয়সার অভাব যে কত বড় পেরেশানি তা একমাত্র অভাবী ব্যক্তিই বলতে পারে।

মনে রাখবেন মানুষের মধ্যে অনেকের এমন অবস্থাও আসে যে তার কাছে খাবারেরও কিছু থাকেনা। অনেকে দেখা যায় অভাবের তাড়নায় নিজের সন্তানকে বিক্রী করে দেয়, কিডনি বিক্রী করে দেয়, রক্ত বিক্রি করে, ছিনতাই করে, চুরি ডাকাতি করে, প্রতারনা করে এমনকি অনেকে অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যাও করে বসে।

বন্ধুরা এসব অবস্থায় প্রত্যেক মানুষের উচিত আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। এবং প্রিয় আকা (দ) এর শিক্ষা থেকে নিজের সমস্যার সমাধান তালাশ করা।

বন্ধুরা আমরা যদি হুজুর পাক (দ) এর জীবনী পড়ি তাহলে তাতে দেখা যায় আকা (দ) এর জিন্দেগী দারিদ্রতা অভাবের মাঝে অতিবাহিত হয়েছে, হুজুর (দ) কখনো দুনিয়াকে পছন্দ করেননি। হুজুর যদি চাইতেন তাহলে পাহাড়কে স্বর্ণ বানিয়ে দেয়া হত। কিন্তু নবী (দ) তা পছন্দ করেননি।

সে জন্য দারিদ্রতা ও অভাবের হালতে পেরেশান না হয়ে আমাদের উচিত আমাদের দয়াল নবীর জিন্দেগি থেকে শিক্ষা নেয়া। এবং সবর ও শুকরা দরকার। দারিদ্রতা দুর করার জন্য নবী (আ) এর জিন্দেগি থেকে ছবক হাছিল করা দরকার।

আসুন এবার জেনে নিই হুজুর আকদস (দ) কোন তরকারিকে সবচেয়ে উত্তম তরকারী বলে ঘোষনা দিয়েছেন। এবং কোন খাদ্যের ব্যপারে বলেছেন যে ঘরে এই খাদ্য হবে সে ঘর অভাবী নয়।

এই ব্যপারে তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৮৪১

উম্মে হানী বিনত আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমার কাছে এলেন এবং বললেন, তোমাদের কাছে কিছু আছে কি? আমি বললাম, শুকনো রুটির কয়েকটি টুকরা ও সিরকা ছাড়া আর কিছুই নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা-ই নিয়ে আস, যে বাড়িতে সিরকা আছে যে বাড়িতে সালনের কোন অভাব আছে বলে বলা যায় না। ,

মুসলিম শরীফের ৫১৮২ নং হাদিস

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একটি বাড়িতে উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে ইশারা করলে আমি তাঁর কাছে উঠে গেলাম। তিনি আমার হাত ধরলেন। এরপর আমরা চললাম। অবশেষে তিনি তাঁর কোন এক স্ত্রীর গৃহে প্রবেশ করলেন। এরপর তিনি আমাকে অনুমতি দিলে আমি পর্দার ভিতরে প্রবেশ করলাম। তিনি বললেনঃ খাবার কিছু আছে কি? তারা বললেন, হ্যাঁ। পরে তিনটি রুটি আনা হলো এবং তা দন্তরখানে রাখা হলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি রুটি নিয়ে তাঁর সামনে রাখলেন। অন্য একটি নিয়ে আমার সামনে রাখলেন। এরপর তৃতীয়টি নিয়ে দু'ভাগ করলেন এবং এর অর্ধেক তাঁর সামনে ও বাকি অর্ধেক আমার সামনে রাখলেন। এরপর বললেনঃ কোন তরকারি কি আছে? তাঁরা বললেনঃ সামান্য সিরকা আছে। তিনি বললেন, তাই নিয়ে আস। সেটা তো কতই উত্তম তরকারি। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ কথা শুনার পর আমি সিরকা পছন্দ করতে থাকি।

তালহাহ্ (রহঃ) বলেন, আমিও জাবির (রাযিঃ) এর কাছে এ কথা শুনার পর হতে সিরকা পছন্দ করতে লাগলাম।

যেহেতু হুজুর (দ) এর প্রতিটি বাণী স্বর্ণের চেয়ে দামী সেহেতু নবী (দ) এর অন্যান্য বাণী নিয়ে যেমন গবেষনা হয়েছে এই সিরকা নিয়েও অনেক গবেষনা হয়েছে এবং গবেষনায় দেখা গেছে

সিরকা ওজন কমাতে সহায়ক, ক্লান্তি দুর করতে সহায়ক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, হজমে সহায়তা করে, অনিদ্রা দুর করে, হার্টের ব্লক খোলার ক্ষেত্রে সিরকা খুবই উপকারী, ক্যান্সর টিউমার প্রতিরোদে এই সিরকা দারুন কাজ করে,

প্রিয় আকা যে খাদ্যকে চমৎকার বলে সাটিফিকেট দিয়েছেন, আধুনিক গবেষকরা যাকে এত উপকারী বলে ঘোষনা দিয়েছেন সে খাদ্যকে আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা খুবই জরুরী, বাজারের সিরকার উপর নয় বরং পাকৃতিক পদ্ধতিতে সিরকা তৈরী করে নিয়মিত ব্যবহার করলে শারিরিক উপকারও হবে সাথে সাথে এই খাদ্যটি ঘরে থাকলে ঘরে বরকতও হবে।

সিরকা আপেল দিয়ে যেটা বানানো হয় সেটাই খুব উপকারী।

আশা করি আজকের আলোচনাটি আপনাদের উপকারে আসবে, যদি উপকার হয় অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেননা।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.