আল্লাহ জামানত লাভের আমল। কঠিন রোগ থেকে মু্ক্তির দোয়া। গায়েবি রিজিকের আমল

আল্লাহর জামানত পাওয়ার ৭টি আমল



সহিহ আত তারগিব এর রেওয়ায়েত (ছালাছাতু কুল্লুহুম দামিনুন আলাল্লাহ) ৩ প্রকার লোক আল্লাহর জামানতে থাকে, যদি সে জিন্দ থাকে তাকে রিযিক দেয়া হবে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যান, আর যদি সে মৃত্যু বরণ করে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন

সে ৩ প্রকার লোক হল

(১) যে নিরেজ ঘরে প্রবেশের সময় ঘরওয়ালাকে সালাম দেয়

(২) যে ব্যক্তি মসজিদের দিকে নামাজ পড়ার জন্য বের হয়

(৩) যে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়

এই ৩ জনের ব্যপারে আল্লাহর রাসুল দ) ৩ বার ফরমায়েছেন (ফাহুয়া দামিনুন আলাল্লাহ)(ফাহুয়া দামিনুন আলাল্লাহ) (ফাহুয়া দামিনুন আলাল্লাহ)

সুতরাং যারা সালাম দেয়, মসজিদে নামাজের জন্য যায় এবং আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে যতদিন তারা জীবিত থাকবে ততদিন রিজিক থেকে মাহরুম হবেনা, আর মৃত্যুর পর আল্লাহর তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

সহিহ ইবনে হিব্বানের ১টি রেওয়ায়েত হাদীস নং ৩৭২ রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন

(৪) (মান জাহাদা ফি সাবিলিল্লাহ ) যে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করে (কানা দামিনান আলাল্লাহ) আল্লাহ তায়ালা তার জামানতদার হয়ে যান

(৫) আর যে লোক কোন রোগীর সেবা শশ্রুসা করে আল্লাহ তার জামানতদার হয়ে যান

(৬) যে (নেক, আল্লাহওয়ালা) প্রশাসককে সাহস দেয়ার জন্য তার কাছে যায় আল্লাহ তার জামানতদার হয়ে যান

(৭) যে ব্যক্তি ঘরে থাকে কোথাও যায়না আর গিবত করেনা আল্লাহ তাকেও জামানত দান করেন।

 

জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তির কোরআনি ঝাড়ফুঁক দোয়া ও আমল



আজ এমন একটি কুরআনি ঝারফুকের কথা বলব যে ঝারফুকটি ৩ দিন করে জটিল কঠিন অবস্থা থেকে সুস্থ হওয়ার প্রমান আছে বুখারী শরীফের হাদিসে,  এটি সকলেই করতে পারবেন অত্যন্ত সহজ এবং এটিই কুরআনের সবশ্রেষ্ঠ ঝাড়ফুক

সে আমলটি বলার আগে ঝারফুক করার ব্যপারে আমাদের প্রিয় নবীর আমল কি ছিল তা জানার জন্য প্রথমে ১টি হাদিস শুনাতে চাই।

বুখারী শরীফের ৫৭৫১ নং হাদীস আয়শা (রা) বলেন রাসুলুল্লাহ (দ) এর যে রোগের কারনে ইন্তেকাল হয়েছে সে রোগের জন্য হুজুর (দ) কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউজু বিরাব্বিন নাস পড়ে দম করতেন। ফুক দিতেন। আর যখন হুজুর (দ) বেশী অসুস্থ হয়ে গেলেন তখন আমি এই ২টি সুরা পড়ে হুজুরের হাতে ফুক দিতাম আর হুজুর তখন সে হাত শরীরে মাসেহ করতেন।

দেখুন হুজুর (দ) এর প্রতিদিনের অভ্যাস ছিল এই আমল কিন্তু আজ আমরা এসব আমলকে হাসি ঠাট্টা করে উড়িয়ে দিই, আর ডাক্তারের চেম্বারে লাইন ধরে ঔষধ নিই সুস্ত হওয়ার নাম গন্ধ নাই শুধু দিন দিন ঔষধের পরিমাণ বাড়তে থাকে। আমরা এসব দামী আমল ও ওজিফাগুলিকে পাত্তা দিইনা,

অথচ সুরা বনি ইসরাইলের ৮২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন

وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا

আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৮২]

মুমিনগন শুধু ডাক্তার আর ঔষধের উপর নির্ভর করেনা তারা প্রধানত কুরআনী দোয়া আমল ঝাড়ফুককে অগ্রাধিকার দিবে ২য় স্তরে যাবে ডাক্তারের কাছে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা সহজেই সুস্থতা দান করবেন। এবং সুস্বস্থ্যের মধ্যে বরকত হবে।

 

আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একটি স্থানে নামলাম।  (সে কবিলার লোকদের কাছে কিছু খাবার ও পানিয় চাইলে তারা দিলনা) কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমাদের নিকট (সে কবিলার) একটি মহিলা এসে বলল, এলাকার সর্দারকে সাপে কেটেছে, তোমাদের মাঝে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? সে সময় আমাদের এক লোক উঠে বলল হ্যাঁ আছে তবে আমরা ঝাড়ফুক করবনা কারন তোমরা আমাদেরকে সম্মান করনি, এখন যদি আমরা ঝাড়ফুক করি তবে এর বিনিময়ে আমাদেরকে ছাগল দিতে হবে, এ থেকে বুঝা যায় ঝাড়ফুক সম্মানের সাথে গ্রহণ করলে ফল হয়, অবহেলা বেয়াদবীর সাথে গ্রহণ করলে কাজ হয়না। তখন সে কবিলার লোকেরা ছাগলের একটি পাল দিতে রাজি হল, তখন এক সাহাবী সে সাপে কাটা রোগির কাছে গেলেন এবং তিনি ৩ দিন পযন্ত সকাল সন্ধ্যায় গিয়ে ঝাড়ফুক করার ফলে সে রোগী সুস্থ হয়ে গেলেন,  তার সাথীরা বলেন সে যে সুন্দর ঝাড়ফুঁক করতে পারে তা আমাদের জানা ছিল না।  সে সূরা আল-ফাতিহাহ্ দ্বারা তাকে ঝাড়ফুঁক করল। এতে সে সুস্থ হয়ে গেল। তখন তারা তাকে একপাল বকরী দিল এবং আমাদের দুধ পান করাল। সে পালে ৩০টি ছাগল ছিল, আর আবু দাউদের হাদিসে ৮০টি ছাগলের কথা উল্লেখ আছে, আরেক বণনায় ১২০টি ছাগলের কথা উল্লেখ আছে। সাথীরা সে সাহাবীকে বলল, তুমি কি ভাল ঝাড়ফুঁক করতে জানতে? সে বলল, আমি তো সূরা আল-ফাতিহাহ ব্যতীত আর কিছু দিয়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করিনি।

বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি বললাম, তোমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গমন না করা পর্যন্ত ঐ বকরীগুলোকে কিছু করিওনা। তারপরে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তার নিকট তা পেশ করলাম। হুজুর (দ) জিজ্ঞেস করলেন সে কোন সুরা পড়েছে? আমরা জবাব দিলাম সুরা ফাহেতা পড়েছে, তখন তিনি বললেন, সে-কি করে বুঝল যে, এ সূরাটি দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা যায়? মুলত এই সুরা ফাতেহা হল সুরাতু রুকাইয়্যা, ঝাড়ফুকের সুরা, এর মধ্যে সব রোগের শেফা আছে, অতপর হুজুর (দ) বললেন তোমরা বকরীগুলো বণ্টন করে নাও এবং আমার জন্যও তোমাদের সাথে একটি অংশ রেখ।

অতএব আমাদের মাঝেও যদি কোন জটিল কঠিন রোগি থাকে দুনিয়ার চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে যদি  সকাল সন্ধ্যা সুরা ফাতেহা পড়ে ফুক দেয়া যায় ইনশা আল্লাহ সে রোগীকে আল্লাহ শেফা দান করবেন। তবে যে কোন দোয়া তখন কাজ করে যখন সেটাকে সম্মানের সাথে করা হয়, গুরুত্বের সাথে করা হয়, অবহেলা করে করলে, হালকা মনে করে করলে ফল হবেনা, আর যিনি করবেন তাকে হারাম থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 

আমার সম্মানিত বুযুগ ভাইয়েরা এই ইসলাম আল্লাহর রাসুলের দেয়া ধম। ফেরেশতারা যখন জুমার সাওয়াব লিখে, সে ততক্ষন পযন্ত লিখে, যতক্ষন খতিব খুতবা শুরু করেনা। যখন খতিব খুতবা শুরু করে দেয়, হাদীস বলে

فَإِذَا جَلَسَ الإِمَامُ طَوَوْا الصُّحُفَ وَجَاءُوْا يَسْتَمِعُوْنَ الذِّكْرَ

ইমাম যখন বের হন তখন ফেলেশতারা এসব লেখা পুস্তিকা বন্ধ করে দেন এবং তাঁরা মসজিদে এসে জিকির শুনতে থাকেন।

আমি সে সব ভাইদের কাছে আদবের সাথে জিজ্ঞেস করতে চাই যারা ২য় খুতবার সময় বা অধেক খুতবার সময় বা খতিবের খুতবা শুরু হয়ে যাওয়ার পর মসজিদে আসে তাদের নাম ফেরেশতাদের রেজিস্ট্রারে লেখানোর জন্য কি করেন? ই মেইল করেন? হোয়াটস আপ এ মেসেজ করেন? কিভাবে আপনার নাম জুমার রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করান?

অথচ এটাই আমাদের দ্বীন এটাই মুসলমানদের শক্তির রহস্য - সে জন্য আল্লাহর রাসুল এরশাদ করেন জুমার দিন যে ব্যক্তি গোসল করে খুশবু লাগায় মিসওয়াক করে তাড়াতাড়ি জুমার নামাজে চলে আসে জুমার সময় খতিবের কাছে বসে খুতবা শুনে কোন বেহুদা কথা বলে না, কেহ কথা বললে তাকে চুপ হয়ে যাও এমনটিও বলেনা সে ব্যক্তি যতগুলি কদম দিয়ে মসজিদে আসে যতগুলি কদম দিয়ে যাবে এক এক কদমের বদলায় এক এক বছরের রোজা ও তাহাজ্জুদের সাওয়াব পাবে। 

আর যারা দেরিতে আসে আর মানুষের গদানের উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে আল্লাহর রাসূল বলেন (লা জুম আতা) তার জুমা হবেনা। আর ইবনে মাজার হাদীস সে লোক জুমা পড়তে আসেনি বরং জোহর পড়তে এসেছে, অথচ জুমা হল আমাদের জন্য ঈদের দিন। আর এই জুমার ব্যপারে নবী (আ) ফরমান যে ৩ জুমার অলসতা করে ছেড়ে দিল তার অন্তরে মুহর লাগিয়ে দেয়া হয় । 

চিন্তা করুন আপনি আজিবন খুতবা শুরুর পর বা মাঝামাঝি বা খুতবার শেষের দিকে মসজিদে গিয়ে জুমা আদায় করেছেন, তাহলে কি আপনি জুমা আদায়কারী হিসেবে গন্য হয়েছেন? কখনো হননি, আপনার নাম ফেরেশতাদের রেজিস্ট্রারে উঠেনি,  এবং ৩ জুমা না পড়লে হাদিস মোতাবেক আপনার অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেয়া হবে। তাই এত বড় ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য জুমার দিন আপনাকে অবশ্যই ইমাম সাহেব এর খুতবা শুরুর আগে মসজিদে অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই যেতে হবে। 

 

আমি ২৫ বছর পরীক্ষা করেছি  সম্পদ ও টাকা পয়সার পাওয়ারফুল ওজিফা।



পাকিস্তানের এক আলেমের বয়ান শুনছিলাম তিনি বলেন আমাকে এক লোক প্রশ্ন করলেন আপনি কি কাজ করেন? আল্লাহ আপনার রিজিকে এত বরকত কেন দিয়েছেন? আমি জবাব দিলাম অজু করি। সে লোক আশ্চর্য্য হয়ে প্রশ্ন করলেন অজু করাকি কাজ হল? আমি তাকে বললাম খোদার কসম এটা  আমার কাজ।

আজ থেকে ২৫ বছর আগে আমার এক প্রিয় বুযুগ আলেম আমাকে এই নববী ওজিফাটি বলেছেন। আমি হুজুরকে বললাম হুজুর আমি আগে খেলাধুলা করে কামাই করতাম এখন খেলাধুলা ছেড়ে দিয়েছি , এখন কোন কাজতো পারিনা কামাই করার জন্য, তাই আর্থিক আমদানির চিন্তায় আছি। তখন আমার প্রিয় উস্তাদ আমাকে পরামশ দিলেন সব সময় অজু সহকারে থাকবে। আল্লাহর নবী কাছে এক সাহাবী এসেছিল আল্লাহর নবী তাকে এই কথাটিই বলেছিল যখনই অজু ভঙ্গ হয়ে যায় সাথে সাথে আবার অজু করে নাও। অজু ছাড়া এক মাহুতও অতিবাহিত করবে না। তারপর দেখ কি হয়। আজ ২৫ বছর যাবৎ আমি সে কাজই করে আসছি। এখন আমার আর্থিক কোন চিন্তা নাই, আমি জানিনা আমার টাকা পয়সা খরচা পাতি কোথা থেকে আসে। আপনিও বাঅজু থাকা শিখে নিন তাহলে রিজিক সেখান থেকে আসবে যেখানে আপনি কল্পনাও করতে পারেননা। অজু সহকারে থাকার সবচেয়ে বড় নেয়ামত হল আল্লাহ আপনাকে রিজিকের টেনশন থেকে মুক্তি দান করবেন।

আর অজু সহকারে থাকলা বান্দা গুনাহ থেকে পাক থঅকতে পারে, নামাজ জামাতের সাথে পড়া সহজ হয়, তাই মালি পেরেশানি রিজিকের পেরেশানি দুর করার জন্য সব সময় অজু সহকারে থাকার অভ্যাস করুন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.