ঘর অফুরন্ত বরকতের ওজিফা।

 শুধু ১টি ওজিফা ঘরে অফুরন্ত বরকত নাজিল হবে সামলানো মুশকিল হবে



আজ মুসলমানদের কাছে অনেক কিছু আছে কিন্তু বরকত নাই। সন্তান আছে কিন্তু নাফরমান। বরকত নাই। বিয়ের পর ঘরে বউ আনার পর শুরু হয়ে যায় অশান্তি লড়াই ঝগড়া। বরকত নাই। ঘরের সকলেই কামাই রুজি করছে তাতে ঘরের খরচা পুরা হয়না। বরকত নাই। স্বাস্থ্যে বরকত নাই। কোন কিছুতে বরকত দেখাই যায়না।

এর মুল কারন কি?

এর কিছু কারন আজ আমি তুলে ধরব এবং এই না বরকতি দুর করার ১টি মুজাররব ওজিফা আপনাদেরকে বলব এই ওজিফা যদি আকড়ে ধরতে পারে তাহলে আশা করা যায় আপনার ২০২২ সালটা হবে বরকত ময় সুখের শান্তির।

প্রথমত ৫ ওয়াক্ত নামাজ খুবই গরুত্বের সাথে ঘরের সকলকে পড়তে হবে, আপনি কত হলে আপনাকেই সকলের নামাজের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে ফজরের নামাজ ও এশারের নামাজ ঘরের ছেলেরা মসজিদে গিয়ে অবশ্যই অবশ্যই বা জামায়াতে আদায় করতে হবে

রুজি রোজগারের ১টি অংশ গরীব মিসকিনের জন্য আলাদা করে রাখবেন দান করার নিয়তে

ঘরে প্রবেশ করার সময় অবশ্যই ঘর বাসীকে সালাম দিবেন

ঘরে যদি গান বাদ্য বাজনার আয়োজন থাকে ১ বছর পরীক্ষামুলক তা বন্ধ রাখুন দেখবেন বরকতের খাজানা আপনার ঘরে উপচে পড়ছে সামলানো দায় হবে।

ফজরের নামাজের পর কুরআন তেলাওয়া করতে হবে, প্রতিদিন নিয়ম করে অবশ্যই কুরআন পড়তে হবে

কুরআনে মজিদের সাথে আমাদের সম্পক দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। খুব কম নওজোয়ান আছে যারা প্রতিদিন নিয়ম মেনে কুরআন পাঠ করেন। অথচ নবী (দ) এরশাদ করেন (তাবাররাক ফিল কুরআন ফাইন্নাহু কালামুল্লাহ) তোমরা কুরআন থেকে বরকত হাসিল কর কেননা এটা আল্লাহর কালাম।

আল্লাহ নিজেও বরকতওয়ালা, তার নামও মোবারক এবং আল্লাহর কুরআনও বরকত ওয়ালা। এটা বরকতের খাজানা। যত আল্লাহর জিকির বেশী করবে তত বরকত আসবে। কুরআনের সাথে যত বেশী মহব্বত বাড়বে তত বেশী বরকত আসবে।

মুসলমানদের খুশি হওয়া দরকার যে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এত বড় নেয়ামত দানকরেছেন। সকলের ঘরে বরকতের কুয়া আছে। খাজানা আছে। সে খাজানা থেকে যদি আমরা নিতে না পারি সেটা আমাদের দুর্ভ্যাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।

নবী (দ) এর সামনে যখনই কোন কাফের আসতেন আল্লাহর হাবিব তাদের সামনে কুরআন পাঠ করতেন। আর কুরআনে মজিদে এমন বরকত ছিল যে তারা কুফুরী ও শিরিক ছেড়ে ইসলামে প্রবেশ করে ফেলত। আজো এই কুরআন মানুসের হৃদয়ে আছর করার যোগ্যতা রাখে। তবে সেটা আমাদেরকে পড়তে হবে।তবেইনা কাজ হবে।

তাছাড়া কুরআনে মজিদ সুপারিশ কারী কিতাব, এতে এমন ১টি সুরা আছে যা কিয়মাতের দিন আপন আপন পাঠ কারীর জন্য এই কুরআন শাফায়াত করবে। নবী (আ) ফরমান কুরআনে মজিদ কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে ঝগড়া করবে, বহছ  মুবাহাছা করবে,  এয়া আল্লাহ এই বান্দা আমার তেলাওয়াত করত, সে কেন জাহান্নামে যাচ্ছে? হয়ত আমাকে তোমার কালাম থেকে বের করে দাও নতুবা একে জান্নাতে দিয়ে দাও। কুরআনে মজিদ এমন ওকিল যে আল্লাহ তায়ালা কুরানের এই কথা গ্রহণ পূর্বক সে জাহান্নামী বান্দাকে জান্নাত দিয়ে দিবেন।

সুতরাং আপনার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি বরকত চান তাহলে নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করুন।হায়াতে রিজিকে স্বাস্থে সব জায়গায় আল্লাহ তায়ালা বরকত দিয়ে ভরিয়ে দিবেন।  

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.