আটকে থাকা কাজ ছাড়ানোর ওজিফা। সব সমস্যা সমাধানের দোয়া। Dua for Problem solve
আটকে থাকা কাজ ছাড়ানোর ওজিফা। সব সমস্যা
সমাধানের দোয়া। Dua for Problem solve
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম দোয়া ও আমল শিখতে আগ্রহী
ভাই ও বোনেরা। আজকাল আমরা নানা ধরনের পেরেশানিতে গ্রেফতার হয়ে আছি। ব্যক্তিগত পেরেশানি,
ঘরোয়া পেরেশানি, সামাজিক পেরেশানি, কুদরতি পেরেশানি, এ ধরনের অসংখ্য দুনিয়াবি পেরেশানির
শিকার যে মনে হয় জিন্দেগি পেরেশানির আখড়া। আর আমরা আল্লাহর খাস রহমত ও সাহায্য থেকে
হয়ত মাহরুম হয়ে আছি।
দোয়া করি কিন্তু কবুল হয়না, সাহায্য তলব
করি কিন্তু কেহ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়না, আওয়াজ লাগিয়ে থাকি কিন্তু কোথাও থেকে কোন
জবাব আসেনা। চিন্তা করি এর কারন কি? আর কি কারনে আমাদের এই দুরাবস্থা?
ইসলাম সে ধর্ম যাতে সব পেরেশানি, সমস্যা,
অসুস্থতা, মসিবত, দুঃখ, বিপদ ও হতাশার সমাধান আছে। ইসলামের ছায়া তলে জিন্দেগী যাপন
করার দ্বারা দারিদ্রতা দুর হতে পারে, পেরেশানি খতম হতে পারে, দুঃখ বিপদ শেষ হতে পারে,
দোয়াসমুহ কবুল হতে পারে, মুরাদ পুরণ হতে পারে, কিসমত বদলে যেতে পারে,
মুলত আমাদের পেরেশানিসমুহ দ্বারা বুঝা
যায় আমরা ইসলামের ছায়াতলে জিন্দেগী যাপন করা ছেড়ে দিয়েছি। অন্যথা এই দিন দেখতে হতনা।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের খেদমতে এমন এক আমল নিয়ে হাজির হয়েছি। যা করতেই আপনার সকল পেরেশানি ও মসিবত খতম হয়ে যাবে।
ইনশা আল্লাহ।
কিন্তু এর আগে আপনার কাছে অনুরোধ নিয়মিত
আমাদের দোয়া ও আমলসমুহ পেতে হলে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করে পাশে থাকা বেল
আইকনে ক্লিক করে অল বাটন সিলেক্ট করে দিন।
হে আমার ভাই ও বোনেরা আসুন এবার কথা বলি
পেরেশানি ও মসিবত থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। প্রথমে একটি ছোট কারগুজারী আপনাদেরকে
শুনাতে চাই। মোহাম্মদ ইবরাহিম নামের এক ভাই এক দিন অল বাংলা চ্যানেলের ওনারের খোজে
চট্টগ্রাম আসেন।আর ওনারের সাথে মোলাকাত করেন।উনার সকল পেরেশানি বয়ান করেন তখন ইসলামিক
টিচার উনার সব পেরেশানি শুনে পরামশ দিলেন প্রতিদিন অবশ্যই অবশ্যই আগে পরে 3 বার করে
দরুদ শরীফের সাথে সাথে কমপক্ষে ১০০ বার বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন পড়ার পরামর্শ দেন। আর বলেন এই ওজিফা
প্রতিদিন করতে থাক আর দেখ আল্লাহ তায়ালা কিভাবে সকল মশকিল সমাধান করে দেন।
সে কিছুদিন পর রিপ্লাই দিল আমি এই ওজিফাটি
আমার জীবনের হিস্সা বানিয়ে ফেললাম- আমি ছিলাম আমার ঘরের ভাই বোনদের মধ্যে সবার বড়,
এবং আমি সে সময় মেডিক্যাল কলেজ এর ছাত্র ছিলাম, তার ২ জন বোনও ছিল, সে তার মাকে বলল
তার বোনদেরকে বিয়ে দিয়ে দিতে। কিন্তু যখন বিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছিলাম কোন ভাবেই
বিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছিলনা, আত্মিয় স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীও এ ব্যপারে কোন সহযোগিতা
করছিলনা।
এমন সময় আমি এই ওজিফাটি করা আরম্ভ করলাম
আর আল্লাহর ফজলে খুব ভালো ঘরে আমার ১বোনের বিয়ে হয়ে গেল। আলহামদুলিল্লাহ অনেক ঈমানওয়ালা
লোক পেয়েছি। ছেলে আলেম হাফেজ এবং এক মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক।এ সবই দরুদ শরীফ ও বিসমিল্লাহ
ও আলহামদুলিল্লাহর ওজিফার বরকতে অলৌকিকভাবে হয়ে গেল।
কিন্তু ২বোনের মধ্যে যে বড় বোন তার কোন
সুরহা না হওয়ায় আশে পাশের মানুষ নানান কথা বলাবলি করতে লাগল আর এসব কথা শুনে শুনে আমার
মা খুবই অসুস্থ হয়ে গেল, তখন আমি আমার মাকে বললাম মা মানুষের কথায় কান না দিয়ে আপনি
বিছানায় শুয়ে শুনে এই ওজিফা পড়তে থাকুন প্রথমে ও শেষে ৩ বার করে দরুদ শরীফ পড়ে বেশী
বেশী বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আলহামদুলিল্লাহির রাব্বিল আলামিন এর ওজিফা পড়তে থাকুন
অথবা যদি পারেন পুরা সুরা ফাতেহা পড়তে থাকুন, আমার মা বিছানায় শুয়ে শুয়ে ওজিফাটি পড়তে
লাগলেন ফলে তার শারিরিক অবস্থারও উন্নতি হতে লাগল সাথে সাথে আমার বড় বোনেরও একটা ভালো
ঘরে বিয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ।
সুতরাং হে আমার ভাই ও বোনেরা এ ধরনের অনেক
কারগুজারি আছে এ ওজিফাটির আপনিও আপনার যে কোন হাজতে এই ওজিফাটি এভাবে পড়বেন প্রথমে
৩ বার দরুদ শরীফ পড়বেন তারপর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল
আলামিন পড়বেন যতক্ষন মন চায় ততক্ষন তারপর আবার ৩ বার দরুদ শরীফ পাঠ করবেন। এটি নিজের
জীবনের মামুল বানিয়ে ফেলুন দেখবেন এক এক করে আপনার সকল সমস্যা আল্লাহর ফজলে সমাধান
হয়ে যাবে। আর যদি সম্ভব হয় পুরা সুরা ফাতেহা পড়বেন তা আরো ভালো হবে।
প্রিয় বন্ধুরা এখানে বুঝার কথা হল আল্লাহ
তায়ালা এমন এক জাত তিনি নাফরমান বান্দাও যদি সাচ্চা অন্তরে ডাকে তার ডাকে সাড়া দেন
তাকে সাহায্য করেন, তার সমস্যা সমাধান করেন, তবে সাচচা দিলে ডাকতে হবে, অন্তর থেকে
চাইতে হবে।
তু প্রিয় ভাই ও বোনেরা আল্লাহ তায়ালা আমাদের
শাহ রগ থেকেও কাছে তিনি বলেন (ফাইজা সাআলাকা এবাদি আন্নি ফাইন্নি কারিব উজিবু দাওয়াতাত
দাঈ ইজা দাআন) অর্থ্যাৎ যখন আমার বান্দা আমাকে ডাকে আমি তার খুব কাছে সে যখন আমাকে
ডাক দেয় আমি তার ডাকে সাড়া দিই। তাই যখনই কোন পেরেশানি হয় মসিবত হয় কোন ফকির ও আমেলদের
কাছে গিয়ে টাকা দিয়ে সমাধান না খুজে নিজে নিজে অজু করে জায় নামাজ বিছিয়ে ২ রাকাত নামাজ
পড়ুন আর সিজদায় গিয়ে আল্লাহর প্রসংশা করুন সুরা ফাতেহা পড়ুন আর আল্লাহর কাছে অন্তর
থেকে চান আল্লাহ আপনার চাওয়া পুরণ করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই