ঘুমের দোয়া ও আমল ! এ আমলগুলি আপনাকে বাদশা বানিয়ে দিবে।

 

ওজিফার বাদশা! ঘুমের ওজিফাটি করুন সকল দুঃখ অভাব মোচন হবে



আজ মুসলমান জাতি দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে, দুঃখে কষ্টে আছে, অভাব অনটনে আছে কারন তারা ওজিফার বাদশা সকল দুঃখ দুর করার ওজিফা সকল অভাব মোচন করার যে সব নববী ওজিফা আছে তা থেকে দুরে সরে আছে।

আজও যদি মুসলমানরা নববী ওজিফাসমুহ ঠিকমত পালন করে তাহলে দুনিয়ার সকল মুসলমান পুনরায় দুনিয়ায় রাজ করতে পারবে, কোন মুসলমান আর দুঃখে কষ্টে অভাবে থাকবে না। আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন আপনারও কোন অভাব কোন দুঃখ থাকবেনা,

আপনি যদি সত্যি সত্যি অভাবমুক্ত থাকতে চান তাহলে আজকের ভিডিওটি আপনার জন্য খাস, প্রতিটি পয়েন্ট আপনার জন্য খুবই উপকারী, তাই স্কিপ না করে শেষ পযন্ত শুনবেন।

ঘুম থেকে উঠার জন্য সবচেয়ে প্রথম ওজিফা হল সকাল সকাল জাগ্রত হওয়া, আর সকাল সকাল জাগ্রত হওয়ার জন্যও কিছু নববী উপায় আছে যেমন- দুপুরে খাবারের পর কিছুক্ষণ কায়লুলা করা অথ্যাৎ সামান্য পরিমান ঘুমানো আর এর পরিমাণ বা সময় হল ২৬ মিনিট আর স্বাস্থ্য বিজ্ঞানিরাও এটাকে মেনে নিয়েছে।

২য় টিপস হল রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে যাওয়া তবে ৩ প্রকার লোক রাতে দেরী করে ঘুমানোর অনুমতি আছে (১) স্বামী স্ত্রী নিজস্ব কাজের জন্য দেরী করতে পারে (২) এলম চর্চা কারী দেরী করতে পারে যেমন আবু হুরায়রা (রা) রাতের লম্বা অংশ ধরে হাদিস মুখস্থ করতেন (৩) কোন মেহমান আসলে মেহমান এর মেহমানদারী করার জন্য বা রোগীর সেবা করার জন্য দেরী করার অনুমতি আছে তবে এর মানে এই নয় ফজরের নামাজ কাজা করা যাবে।

আপনি যদি কায়লুলা করেন এবং এশারের পর পর শুয়ে যান তাহলে তাহাজ্জুদের সময় অটোমেটিক আপনার চোখ খুলে যাবে আর এই সময়টি আল্লাহ তায়ালা ডেকে ডেকে খাজানা থেকে রহমত বরকত ও অফুরন্ত নেয়ামত বন্টন করেন তাই সে সুযোগ হাত ছাড়া করা যাবেনা। এমন সময় উঠে অন্তত ২ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ে আপনার প্রয়োজনীয় সামান আল্লাহর কাছে চেয়ে নিবেন।

রাতে ঘুম থেকে উঠে অনেকের শরীর মেজ মেজ করে তারও নববী চিকিৎসা আছে আপনি রাতে শোবার সময় ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়ে ঘুমাবেন সকালে আপনি িএকদম ফূরফুরে মেজাজে উঠতে পারবেন,

অনেকে বলে সকালে আমার মাথা ঘার ভারি হয়ে থাকে তাদের জন্যও নববী চিকিৎকা আছে কারন নবী করিম (দ) এরশাদ করেন মানুষ যখন ঘুমায় তখন শয়তান তার ঘারের দিকে ৩টি গিড়া লাগায় সে যখন ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়ে (আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আহিয়ানা বাদা মা আমাতেনা ওয়া ইলাইহিন নুশুর) সাথে সাথে ১টি গিড়া খুলে যায় নামাজের জন্য অজু করার সাথে সাথে ২য় গিড়াও খুলে যায় নামাজ পড়ার সাথে সাথে ৩য় গিড়াও খুলে যায় তখন তার শরীরের সকল ক্লান্তি অশান্তি পেরেশানি দুর হয়ে যায় এবং সারাটি দিন ফুরফুরে মেজাজে সুস্থ সবল ভাবে কাটে।

অনেকে ফজরের নামাজের পর সাথে সাথে ঘুমিয়ে যায় এটাও বরকত শূণ্য হওয়ার একটি কারন ফজরের নামাজের পর না ঘুমিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করা জিকির আজকার ও সকালের মাসনুন দোয়া সমুহ করতে থাকা উচিত এবং সুয উঠার ২৫ মিনিট পর এশরাকের নামাজ আদায় করে তারপর যদি মন চায় কিছুক্ষণ ঘুমাতে পারেন।

ইদা নিং বাংলাদেশের মুসলমানরা রাতে ২/৩টায় ঘুমায় আর সকালে ১১/১২টার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে, নাই তাহাজ্জুদ, নাই ফজরের নামাজ, নাই কুরআন তেলাওয়াত, নাই এশরাকের নামাজ মনে রাখবেন এই অভ্যাস এর কারনে আপনার রিজিক থেকেও বরকত চলে যাবে এবং আপনার স্বাস্থ্যও দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে। এসব কাজ ধ্বংসের সবচেয়ে বড় কারন।

আপনার সকালের কাজে বরকতের জন্য আল্লাহর নবী দোয়া করেছেন।তাই যে কোন কাজ সকাল সকাল আরম্ভ করাও বরকতময়। আজ উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই তাদের স্কুল অফিস আদালত খুব সকাল সকাল শুরু হয়, তারা বরকতময় সময়টিতে কাজ শুরু করার ফলে আজ দুনিয়াতে তারা রাজ করছে, বাদশাহি করছে, আর মুসলমানরা বরকত লাভের সময়টাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ধ্বংসের অতল গহবরে তলিয়ে যাচ্ছে।

অতএব আমাদের উচিত সুন্নত মোতাবেক রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো ভোরে তাহাজ্জুদ ফজরের নামাজ কুরআন তেলাওয়াত তাসহিব জিকির ও এশরাকের নামাজ পড়ে সকাল সকাল কাজ শুরু করা, আর রাতের এ কাজ সহজ করার জন্য দুপুরে ২৬ মিনিট কায়লুলা বা বিশ্রাম নেয়া, ইনশা আল্লাহ আপনি যদি ঘুমের এই বাদশাহি তরতিব ফলো করেন  সকল মুসলমানরা যদি ফলো করে আবার বিশ্বে মুসলমানদের জয়জয়কার হবে। ইনশা আল্লাহ। 

 

হাদিসের সবচেয়ে সহজ ওজিফা-১০ লাখের লা জাওয়াব দোয়া


হাদীস শরীফের সহিহ ওজিফা আপনাদের বলে দিচ্ছি,  এত সহজ ওজিফা যে তার সওয়াব এর পরিমাণ শুনে আপনি হয়রান হয়ে যাবেন,

এ ওজিফার জন্য সাহাবায়েকেরাম আউলিয়াকেরাম সালফে সোয়ালিহিনগণ পাগল ছিলেন, এমন সহজ ওজিফা ১ বার পড়লে ১০ লাখ, ১০ বার পড়লে ১ কোটি। এ ওজিফা করতে চিল্লাও করতে হয়না, ১ পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়না।

যে দোয়াটি ওজিফাটি পড়তে আপনার সময় লাকবে ২ সেকেন্ড ১ বার পড়ার সাথে সাথে

১০ লাখ নেকি লিখা হয় আর ১০ লাখ গুনাহ মাফ হয়ে যায়, ১০ লাখ মর্যাদা বৃদ্ধি হয়। দেখুন কত সহজ ওজিফা - বাজারে গিয়ে পড়তে থাকুন, যদি গুনাহ না থাকে তার বদলায় নেকি লিখে দেয়া হবে, কারন গুনাহ থাকলেইতো মাফ হবে, গুনাহ না থাকলে ১ বারে ২০ লাখ নেকি, কারন গুনাহ না থাকলে তার বদলায় ১০ লাখ সাওয়াব লিখে দেয়া হবে।

দেখুন কত সহজ কিন্তু মানুষ বেখবর, সাহাবাকেরাম, আউলিয়াকেরাম, সালেহিন গন এইজন্য বাজারে যেতেন যাতে এই দোয়াটির ফায়দা হাছিল করতে পারেন।কেননা সবচেয়ে ভাল জায়গা হল মসজিদ আর সবচেয়ে খারাপ জায়গা হল বাজার, যখন কেহ বাজারে গিয়ে এই জিকির করে আল্লাহ তার সে নেকিকে বৃদ্ধি করে দেন তার দরজাত বুলন্দ করে দেন।

তিরমিযি শরীফের ৩৪২৮ নং হাদীসে দোয়াটি হল

দোয়াটির আরবি :

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ، وَهُوَ حَيٌّ لاَ يَمُوْتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাই-ইং কাদির।

অর্থ : আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, সকল ক্ষমতা তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য, তিনিই প্রাণ দান করেন ও মৃত্যু দেন, তিনি চিরজীবী, তিনি কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তাঁর হাতেই মঙ্গল এবং তিনিই সব সময় প্রত্যেক বস্তুর ওপর ক্ষমতার অধিকারী

যখনই বাজারে যাবেন বা ব্যবসায়ীরা দোকানে যাবেন সারাক্ষন সুযোগ পেলেই এই দোয়াটি পড়তে থাকবেন আপনার আমলনামা গুনাহ থেকে পাক হয়ে যাবে আর নেকিতে ভরে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.