সব আশা পুরণের আমল ও নামাজ
২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে এ আমল করুন সব আশা পুরণ হবে
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم "
مَنْ كَانَتِ الآخِرَةُ
هَمَّهُ جَعَلَ
اللَّهُ غِنَاهُ
فِي قَلْبِهِ وَجَمَعَ
لَهُ شَمْلَهُ وَأَتَتْهُ
الدُّنْيَا وَهِيَ
رَاغِمَةٌ
আনাস
ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ যে ব্যক্তির একমাত্র চিন্তার বিষয় হবে পরকাল, আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তির
অন্তরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন এবং তার যাবতীয় বিচ্ছিন্ন কাজ একত্রিত করে সুসংযত করে
দিবেন, তখন তার নিকট দুনিয়াটা নগণ্য হয়ে দেখা দিবে।
وَمَنْ كَانَتِ
الدُّنْيَا هَمَّهُ
جَعَلَ اللَّهُ
فَقْرَهُ بَيْنَ
عَيْنَيْهِ وَفَرَّقَ
عَلَيْهِ شَمْلَهَ
وَلَمْ يَأْتِهِ
مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ
مَا قُدِّرَ لَهُ " .
আর যে ব্যক্তির একমাত্র
চিন্তার বিষয় হবে দুনিয়া, আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তির গরীবি ও অভাব-অনটন দুচোখের
সামনে লাগিয়ে রাখবেন এবং তার কাজগুলো এলোমেলো ও ছিন্নভিন্ন করে দিবেন। তার জন্য যা
নির্দিষ্ট রয়েছে, দুনিয়াতে সে এর চাইতে বেশি পাবে না।
যার মনে শুধু এই
চিন্তা যে আমারতো কিছুই নাই, অমুকের কাছে এত এত বড় ঘর, অমুকের তো গাড়ি আছে, অমুক
তো অনেক জমির মালিক, এসব ভাবতে ভাবতে অনেকে সারাক্ষণ পেরেশান হয়ে থাকে। এসব টেনশন
করতে করতে সে কবরে চলে যায়।
মনে রাখবেন সবই
আল্লাহর ফয়সালা। যদি আপনার কাছে এই ফয়সালা ভারি লাগে তাহলে অজু করে নিন, জায়নামাজে
দাঁড়িয়ে ২ রাকাত নফল পড়ুন, তারপর হাত তুলে বলে দিন হে আমার রব দেওয়ার মালিকতো তুমি
আমাকেও এসব দান কর। যদি চাওয়ার মত চাইতে পারেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তা দিবেন
যা আপনি জীবনে চোখে দেখেননি কল্পনাও করেননি
কিন্তু যদি এই
টেনশন থাকে আমার সন্তানদের কি হবে? তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে? তাদের পড়া লেখা কিভাবে
হবে? (মান কানাতিদ দ্দুনিয়া হাম্মাহু) যে দুনিয়ার টেনশন গ্রহণ করেছে, তার রেজাল্ট
হবে (ফাররাকাল্লাহু আলাইহি আমরা) তার জিন্দেগী কখনো সুশৃংখল হবেনা। তার কাজ কখনো
সুচারু রুপে সমাধান হবেনা।
ডে শিপট
চাকরী, নাইটশিফট চাকরী, ডাবল ডাবল শিফট, ওভার টাইমও হচ্ছে, কিন্তু
তারপরও তার খরচা পুরা হয়না। অনেক গরীব আছেন যাদের রোজগার খুব কম কিন্তু তাদের খরচা
পুরণ হয়, কিন্তু যে দুনিয়াদার লোক দুনিয়ার চিন্তায় বিভোর তার খরচা পুরা হয়না।
সারা জীবন এই
টেনশনে স্বস্থ্যের কোন তদারকি করতে পারেনি, দ্বীনের কোন কাজ করতে পারেনি, শুধু
পয়সা কামানো আর জমা করার পিছনে লেগে থাকে, যখন বৃদ্ধ হয়ে গেল আর সাথে সাথে অসুস্থও
হয়ে গেল, ফলে সারা জীবনের জমানো পুঁজি সবগুলি চিকিৎসার পিছনে খরচ হয়ে যায়, খালি
হাত কবরে চলে যেতে হয়। এর নাম জিন্দেগী নয়, এর নাম মসিবত। নিজেকে আখেরাতের চিন্তায়
ব্যস্ত রাখুন, নিজেকে রব্বে করিমের হাওয়ালা করে দিন। আল্লাহর কসম আপনি দেখবেন
আপনার চিন্তার চাইতেও হাজার গুন বেশী আপনাকে রব্বে করিম দান করবেন। যা আপনি কখনো
কল্পনাও করেননি।
সে জন্য সুনানে
তিরমিযির ২৪৬৫ নং হাদীসে আল্লাহর রাসুল এরশাদ করেন
" مَنْ كَانَتِ
الآخِرَةُ هَمَّهُ
جَعَلَ اللَّهُ
غِنَاهُ فِي
قَلْبِهِ وَجَمَعَ
لَهُ شَمْلَهُ
যে ব্যক্তির একমাত্র চিন্তার বিষয় হবে পরকাল, আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তির
অন্তরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন এবং তার যাবতীয় বিচ্ছিন্ন কাজ একত্রিত করে সুসংযত করে
দিবেন,
তাই দুনিয়ার পিছনে না ছুটে আখেরাত জন্য সম্পদ জোগাড়ে লেগে যান
আখেরাতের সম্পদ হল আমল, তাহলে আল্লাহ আপনার দুনিয়ার কাজও সু সংহত ও বরকতময় করে
দিবেন আর আখেরাতেও আপনার জন্য থাকবে অফুরন্ত নেয়ামত ও বরকতময় জীবন।
কোন মন্তব্য নেই