রমজানের আগে সৌভাগ্যের ১০টি আমল শিখুন

 রমজানের আগে সৌভাগ্যের ১০টি আমল শিখুন



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সম্মানিত দশক বৃন্দ, কয়েকদিন পর পবিত্র রমজানুল মোবারক শুরু হবে, রমজান মাস আসার আগেই যদি আপনি জানতে পারেন যে রোজাতে আম্বিয়াদের অভ্যাস কি ছিল? তা আপনার জন্য কতইনা উত্তম হবে, তাছাড়া যদি জানতে পারেন নবী করিম (দ) কাকে সৌভাগ্যবান বলে ঘোষনা করেছেন, আর আপনি যদি রমজান মাসে সে গুণগুলি অজন করতে পারেন তাহলে কতইনা উত্তম হবে, তাই আজকের আলোচনায় হাদীস শরীফের আলোকে সৌভাগ্যবান কারা এবং এই রমজানেই যাতে নিজের ঘরটাকে সেরুপ বানাতে পারেন সে দিক নির্দেশনা দিব ইনশা আল্লাহ। 

 

عَنْ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏: مِنْ سَعَادَةِ الْمَرْءِ الْمَسْكَنُ الْوَاسِعُ، وَالْجَارُ الصَّالِحُ، وَالْمَرْكَبُ الْهَنِيءُ‏.

নাফে ইবনে আবদুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তির সৌভাগ্যের নিদর্শন হলো প্রশস্ত বসতবাড়ি, উত্তম প্রতিবেশী এবং মনোপূত বা আরামদায়ক বাহন

 প্রসস্থ ঘর হল সেটা যেটাতে আল্লাহর জিকির হয়, কুরআন তেলাওয়াত হয়, সে ঘরটি প্রসস্থ ঘর, কারন যে ঘরে আল্লাহর জিকির হয়, ঘরের লোকেরা নামাজ পড়ে, কুরআন তেলাওযাত করে, সে ঘরে আল্লাহর রহমতের ফেরেশতারা আসেন, আর শয়তান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়, যদিও সে ঘরে হয় খুবই ছোট

 পক্ষান্তরে বড় বড় রুম, বিশাল বেলকনি, ৩০০০/৫০০০ স্কয়ার ফিটের ছাদ বিশিষ্ট দালান আর তাতে যদি আল্লাহর জিকির না হয়, নামাজ না থাকে, কুরআন তেলাওয়াত না থাকে তখন সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা আসেনা, শয়তান বাসা বাঁধে আর সে ঘরের লোকেরা সারাক্ষণ পেরেশানিতে থাকে।

 উত্তম প্রতিবেশী থাকাটাও সৌভাগ্যের লক্ষণ,

উত্তম প্রতিবেশী কে? যদি আপনার প্রতিবেশী নামাজী কালামি হয়, পরহেজগার হয়, কুরআন তেলাওয়াত কারী হয়, আপনার বিপদে আপদে ঝাপিয়ে পরে। পক্ষান্তরে যে প্রতিবেশী আপনার নামাজের সময় আপনার কুরআন তেলাওয়াতের সময় বড় আওয়াজে গান বাজায় আপনার বিপদে হাসে সে আপনার উত্তম প্রতিবেশী নয়।

সে জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত যেন প্রতিবেশী উত্তম হয়, নেক হয় পরহেজগার হয়।

 অপর এক হাদীসে আছে-

মানুষের সৌভাগ্য হচ্ছে চারটি বস্তুতেঃ (১) তার স্ত্রী তার মতের অনুসারী হলে, (২) তার সন্তানেরা সৎকর্ম করলে, (৩) তার ভাইয়েরা নেককার হলে এবং (৪) তার রিয্‌ক তার দেশের মধ্য হতেই উপার্জিত হলে।  

 যদি এসব থাকে তাহলে ভালো যদি না থাকে রমজানে দোয়া করুন, কৌশিশ করুন

 রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন, (ছালাছুন মিন খিছালিন নুবুয়্যা) নবুয়তের তিনটি খাচলত আছে

যেহেতু রমজান আসছে আল্লাহ তায়ালা যেন আপনাদের ও আমাদেরকে এই নেয়ামত নসিব করেন।

(তাজিলুল ইফতারি ওয়া তাখিরুস সুহুর) ইফতারি দ্রুত করা আর সেহরীকে দেরীতে করা, আর নামাজে নিজের ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা, এগুলি আম্বিয়াদের অভ্যাস।

ইফতারের সময় হলেই ইফতার করে নেয়াটা খুবই গুরুত্বের সাথে নিবেন, আর ক্যালেন্ডার দেখে সেহরীর শেষ সময় অনুসরণ করে রাতের শেষভাগে সেহরী খাবেন, কারন এসব হল আম্বিয়াদের অভ্যাস আর নিঃসন্দেহে আম্বিয়াদের অভ্যাসে অফুরন্ত বরকত আছে।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.