কোন আমল করলে সব প্রয়োজন পুরণ হয়।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কোন আমল করলে সব প্রয়োজন পুরণ হয়।
সব আশা পুরণ হয়। সব সমস্যা সমাধান হয়
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা!
আজ আমি এমন ২টি আমল কোরআন হাদীস থেকে উপস্থাপন করব যে আমলগুলি করলে আপনার সব প্রয়োজন
আল্লাহ তায়ালা পুরণ করে দিবেন,
অনেকে আছেন আল্লাহর কাছে চাই
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের চাওয়া পুরণ করেন না, কিন্তু আজকে যে আমলগুলি বলব যদি সে
আমলগুলি কেহ করে তাহলে বান্দা আল্লাহর কাছে চাইতে হবে না চাওয়ার আগেই আল্লাহ বান্দার
প্রয়োজন পুরণ করে দিবেন।
আগের যুগের বুযুগরা আল্লাহ ওয়ালারা
কোন মানুষকে মসিবতে দেখলে দোয়া করতেন হে আল্লাহ তাকে মসিবত থেকে উদ্ধার কর, প্রত্যেকের
উচিত যদি অন্য কিছু করতে না পারেন তাহলে অন্তত দোয়া করা, আপনার কোন মুসলমান ভাই আপনার
কাছে ঋণ চাইল আপনি টাকা পয়সার অভাবে ঋণ দিতে পারলেন না তখন আপনি দোয়াতো করতে পারেন,
কেননা দোয়া এত বড় শক্তি যে মুমিনরা এর শক্তির ব্যপারে জানেনা, সে জন্য নবী করিম (দ)
এরশাদ করেন (আদ্দোয়াউ সিলাহুল মুমিন) দোয়া হল মুমিনের হাতিয়ার।
অপর হাদিসে আছে নবী করিম (দ)
এরশাদ করেন হে লোকেরা আমি কি তোমাদেরকে এমন আমল বলে দিবনা যা দ্বারা তোমরা শত্রুর শত্রুতামি
থেকে বেঁচে যাবে এবং রিজিকের খাজানা তোমাদের জন্য খুলে যাবে? সেটি হল দোয়া।
এবার চিন্তা করুন দুনিয়ার মধ্যে
মানুষ এই ২টি জিনিষ ছাড়া আর কি চায়? রিজিক
মানে শুধু খাদ্য নয়, রিজিকের অথ অনেক ব্যপক, ঘর বাড়ী, জায়গা জমি, টাকা পয়সা, রুজি রোজগার,
সন্তান সন্ততি, গাড়ি ঘোড়া, সম্মান, পদবী, সফলতা সবই রিজিকের মধ্যে শামিল,
এখন একজন লোকের জন্য যদি এসব
কিছুর দরজা খুলে যায় আর তাতে বাঁধা দেয়ার মত কোন শত্রু না থাকে তাহলে তার আর কিসের
ভয়? কিসের পেরেশানি? কিসের অভাব?
আর দুনিয়ার মধ্যে মানুষের সব
চাওয়াই হয় এটা, আর তার জন্য আমল হল বেশী বেশী দোয়া। অপর হাদিসে আছে (আদ্দোয়াও হুয়াল
ইবাদা) দোয়াই হল এবাদত।
অন্য হাদিসে আছে (আদ্দোয়াও মুখখুল
ইবাদা) দোয়া এবাদতের মগজ।
আবার যারা দোয়া করতে অহংকার করে
তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাবের ধমকি যেমন, (ইন্নাল্লাজিনা এয়াসতাকবিরুনা আন ইবাদাতি
সা এয়াদখুলুনা জাহান্নামা দাখিরিন)
সেজন্য তিরমিযি শরীফের হাদীস
আছে যে আল্লাহর কাছে দোয়া করেনা আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হয়ে যান। আর পক্ষান্তরে আপনি
যদি সবকিছুর জন্য দোয়া করতে থাকেন, হে আল্লাহ আমাকে সন্তান দাও, আমাকে রিজিক দাও, আমার
জ্ঞান দাও, আমাকে শান্তি দাও, আমাকে ঈমান দাও, আমাকে আমল দাও, আমাকে কাপড় দাও, আমাকে
খাবার দাও, আমাকে টাকা দাও, আমাকে চাকরী দাও, এভাবে সব কিছুর ব্যপারে যখন আল্লাহর কাছে
দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা তাতে খুশি হন।
তবে একটা হল দুনিয়ার বিভিন্ন
সামগ্রি আল্লাহর কাছে চাওয়া আর অন্য পদ্ধতি হল নিজের প্রয়োজনীয় সামগ্রি না চেয়ে শুধু
আল্লাহর জিকির করা, সব সময় আল্লাহর প্রসংশা করা, দোয়াতে আল্লাহর জিকির করা, আল্লাহর
প্রসংশা করা,
(ফাজকুরুনি আজকুরুকুম) হে বান্দা
তোমরা আমার জিকির কর আমি তোমাদের জিকির করব।
অতএব আপনি যখন সদা সবদা আল্লাহকে
স্মরণ করবেন, আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু আপনি না চাইলেও পুরণ করে দিবেন।
আপনাকে এত বেশী দিবেন যা আপনি কল্পনাও করতে পারেননা।
যেমন একজন প্রতিদিন দোয়া করছে
হে আল্লাহ আমাকে ১টি গাড়ি দেন, আমাকে ১টি গাড়ি কিনার তৌফিক দেন, কিন্তু সে গাড়ি পায়না,
আর আরেকজন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে,
প্রতিদিন কুরআন তেলাওয়াত করে, আল্লাহ যা দিয়েছেন তার শোকর করে, আর আন্তরিকতার সাথে
আল্লাহর জিকির করে, সব কিছুতে আল্লাহর সন্তুষ্টি তালাশ করে, আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহর
নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকে তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের বলে হে আমার জিবরাইল ফেরেশতা
আমার অমুক বান্দাকে আমি ভালবাসি তুমিও তাকে ভালবাস, জিবরাইল সকল আসমানের ফেরেশতাদের
বলে আল্লাহ এবং আমি অমুককে ভালবাসি তোমরাও তাকে ভালবাস আসমানের কোটি কোটি ফেরেশতা তাকে
ভালবাসে আর তারা একসাথে এলান করে হে জমিনের অধিবাসিরা অমুককে আল্লাহ ও সমস্ত ফেরেশতারা
ভালবাসে তোমরাও তাকে ভালবাস, তখন সে জিকিরকারী বান্দার এমন অবস্থা হয়, হাজার হাজার
গাড়ি ওয়ালারা উনার পিছনে পিছনে ঘুরে, আসমান জমিনের অধিবাসিরা উনাকে ভালবাসে, উনার সম্মান
মর্যাদা আল্লাহ এত বাড়িয়ে দেয়, একজন প্রেসিডেন্টও এত মর্যাদা পায়না।
সুতরাং ১টি হল সবকিছুর ব্যপারে
আল্লাহর কাছে দোয়া করা এতেও আল্লাহ খুশী হন, আর ২য় টি হল আল্লাহর কাছে ছোট ছোট জিনিষ
না চেয়ে শুধু আল্লাহর নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকা, সব কাজে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া, আল্লাহকে
ভয় করা এবং সব সময় আল্লাহকে স্মরণ রাখা।
কোন মন্তব্য নেই