আসরের নামাজের সময় এই খতরনাক কাজ থেকে বিরত থাকুন। এটা মুনাফিকের নামাজ মুনাফিকের নামাজ মুনাফিকের নামাজ

 

আসরের নামাজের সময় এই খতরনাক কাজ থেকে বিরত থাকুন।

এটা মুনাফিকের নামাজ মুনাফিকের নামাজ মুনাফিকের নামাজ



আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন কিছু লোক আসরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে মসজিদে আসেনা, আধা ঘ্ন্টা অতিবাহিত হয়ে গেছে তখনও আসেনি, আসরের পর ঘন্টা অতিবাহিত হল তখনও মসজিদে আসলনা, তাদের ব্যপারে হাদিসের বাণী হল, আর এতটা ভয়ানক হাদীসের এই বাণী, আফসোস তাদের জন্য যারা আসরের নামাজে এই কাজ করে।

রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন

তিলকা সালাতুল মানাফেক- এটা মুনাফেকের নামাজ,

কোন নামাজ? (জালাছা এয়ারকুবু সালাতাল আছর) যে নামাজের সময় বসে থাকে

হাত্তা ইজা কানাত বাইনা কারনাইশ শায়তান - তারপর সুর্য যখন শয়তানের দুই শিং-এর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে (সূর্যাস্তের সময় নিকটবর্তী হয়ে যায়)

কামা ফানাকারা আরবাআন - তখন (তাড়াহুড়া করে মোরগের মত) চারটি ঠোকর মারে

দেখনু নবীজি এখানে কি মারাত্মক শব্দ ব্যবহার করেছেন ৪টি সিজদা করে তা বলেন নি বরং বলেছেন (নাকারা আরবাআন) ৪টি ঠোকর মারে,

(লা এয়াজকুরুল্লাহা আজ্জা ওয়াজাল্লা ফিহা ইল্লা কালিলান) এমন লোক আল্লাহ তা'আলার স্মরণ সামান্যই করে

সুতরাং যে আসরের সময় বসে বসে গবশপ করে আর সুয ডুবার আগ মুহুর্তে উঠে তাড়াহুড়া করে আসরের নামাজ পড়ে নবীজি (দ) বলেন এটা হল মুনাফিকের নামাজ। এরা নামাজ পড়েনা বরং ৪টি ঠোকর মারে।

 

 

মাগরিবের আযানের সময় প্রতিদিন ১টি আমল করুন।



আল্লাহর রাসুল (দ) অসাধারণ কিছু সুন্নত যা অনুসরণ না করার কারনে প্রত্যেক ঘরের লোক পেরেশান, প্রায় সকল ঘরে ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে মানুষ পেরেশানিতে থাকে, যদি আমরা নবীর দেয়া বিধান অনুসরণ করতাম তাহলে আমাদের ঘরে এত দুঃখ পেরেশানি আসত না

নবী করিম () বলেন সহি বুখারীর ৩২৮০ নং হাদীস


إِذَا اسْتَجْنَحَ ‏(‏اللَّيْلُ‏)‏ ـ أَوْ كَانَ جُنْحُ اللَّيْلِ ـ فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ، فَإِنَّ الشَّيَاطِينَ تَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ،
সূর্যাস্তের পরপরই যখন রাত শুরু হয় অথবা বলেছেন, যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকে রাখবে কেননা সময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে

মাগরিবের সময় ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে ঘরে ঢুকিয়ে ফেলুন, ঘর থেকে বের হতে দিবেন না, সে সময় শয়তান চারিদিকে ছড়িয়ে পরে, আর তখন আপনার বাচ্চাটি ঘরের বাহিরে থাকলে শয়তান তার ক্ষতি করে, আপনার সন্তান সে জন্য বেশী দুষ্টুমি করে, আপনার কথা শুনেনা, পড়া লেখায় মনোযোগি হয়না,

তবে সুয ডুবে যাওয়ার পর যখন ১ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয় তখন আপনি তাদেরকে বের হতে দিতে পারেন। তবে মাগরীবের সময় বাচ্চাকে ঘরে নিজের সাথে রাখুন।

এরপর আল্লাহর প্রিয় হাবিব (দ) রাতে ঘুমানোর আগে ঘরে আরো ৫টি আমলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি বলেন

১) রাতে দরজা বন্ধ কর আর আল্লাহর জিকির কর

২) ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও আর আল্লাহর জিকির কর

৩) খাবার পানির পাত্র ঢেকে রাখ আর আল্লাহর জিকির কর

৪) বাসন পত্র ঢেকে রাখ এবং আল্লাহর জিকির কর

৫) সামান্য কিছু হলেও বাসন পত্রের উপর রেখে দাও

সব বাসন পত্র, খাদ্য দ্রব্য ও পানি ঢেকে রাখা উচিত, কারন রাতে খোলা বাসন পত্রের উপর আসমানি সকল রোগ ব্যধী জিবানু পতিত হয়,

বাসনপত্র যদি আধোয়া থাকে তা ধুয়ে রাখা উচিত, যদি ধুয়ে রাখা না হয় সে আধোয়া বরতন বাসন পেয়ালার উপর একটা কিছু আড়াআড়ি ভাবে রেখে দেয়া উচিত। এটা সুন্নত আমল এবং নানা ধরনের রোগ ব্যধী থেকে বেঁচে থাকার নববী ফমুলা।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.