বিশ্ববাসী রিজিক পায় ২টি কলমার বরকতে। রিজিক বৃদ্ধির আমল।
বিশ্ববাসী রিজিক পায়
২টি কলমার বরকতে। রিজিক বৃদ্ধির আমল।
ইমাম বুখারীর
সহিহ আল আদাবুল মুফরাদ এর ৫৫০ নং হাদিস
আবদুল্লাহ ইবনে আমর
(রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। তখন বনভূমি থেকে সীজান
রং-এর জুব্বা পরিহিত এক ব্যক্তি এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মাথার
কাছে দাঁড়ালো এবং বললো, তোমাদের সাথী প্রত্যেক আরোহীকে অবদমিত করেছে বা আরোহীদেরকে
অবদমিত করার সংকল্প করেছে এবং প্রত্যেক রাখালকে সমুন্নত করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জুব্বার হাতা ধরে বলেনঃ আমি কি তোমাকে নির্বোধের পোশাক পরিহিত
দেখছি না?
তখন নবীজি
বললেন- আল্লাহর নবী হযরত নূহ (আঃ) এর ইন্তিকালের সময় উপস্থিত হলে তিনি তাঁর পুত্রকে
ডেকে বলেনঃ আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি। দুটি
বিষয়ের আদেশ দিচ্ছি এবং দুটি বিষয় নিষেধ করছি। আমি তোমাকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”-এর নির্দেশ দিচ্ছি।
কেননা, সাত আসমান ও সাত জমিনকে যদি এক পাল্লায় তোলা হয় এবং অপর পাল্লায় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” তোলা হয়, তবে সেই
তাওহীদের পাল্লাই ভারী হবে। সাত আসমান ও সাত জমিন যদি (একত্র হয়ে) একটি শক্ত রশি
হয়ে যায় তখন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” এবং “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী” সেটাকে চুরমার করে
দিবে। কেননা (ফাইন্নাহা ছালাতু কুল্লে শাই, ওয়া বিহা এয়ারজুকু কুল্লে শাই) তা প্রত্যেক বস্তুর
নামায এবং সকলেই এর বদৌলতে রিযিক লাভ করে থাকে।
(দেখুন লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ ও সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি পুরা কায়েনাত এর নামাজও পুরা কায়েনাত এই
কলমার বদৌলতে রিজিকও পায়,
আপনি রিজিকের
বরকতের জন্য যদি এই জিকির বেশী বেশী করেন- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও সুবহানাল্লাহি
ওয়াবিহামদিহি তাহলে মানুষ প্রসংশা করে বলবে আল্লাহ তায়ালা তাকে কতইনা নেয়ামত
দিয়েছেন।)
এরপর হযরত নুহ
(আ) সন্তানকে বলেন- আমি তোমাকে বারণ করছি শিরক এবং অহংকারে লিপ্ত হতে। আমি বললাম ইয়া
রাসূলাল্লাহ! শিরক তো আমরা বুঝলাম, তবে অহংকার কি? আমাদের মধ্যকার কারো যদি কারুকার্য
খচিত চাদর থাকে, আর তা পরিধান করে সেটাই কি অহংকার? তিনি বলেনঃ না।
সে আবার বললো, যদি
আমাদের কারো সুন্দর ফিতাযুক্ত সুন্দর একজোড়া জুতা থাকে, আর তা যদি পরিধান করে
সেটাই কি অহংকার? তিনি বলেনঃ না।
সে পুনরায় বললো,
যদি আমাদের কারো আরোহণের একটি জন্তুযান থাকে আর সে যদি তাতে আরোহন করে সেটা কি
অহংকার? তিনি বলেনঃ না।
সে বললো, যদি আমাদের
কারো বন্ধু-বান্ধব থাকে এবং তারা তার সাথে ওঠা-বসাও করে (তবে তা কি অহংকার হবে)? তিনি
বলেনঃ না।
সে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তাহলে অহংকার কি? তিনি বলেনঃ সত্য থেকে বিমুখ থাকা এবং মানুষকে হেয় জ্ঞান করা। (আহমাদ,
নাসাঈ, বাযযার, হাকিম, হিব্বান, তাহাবী)
কোন মন্তব্য নেই