রমজানের জুমাতুল বিদা তে কুন ফায়াকুনের নামাজ

 

রমজানের জুমাতুল বিদা তে কুন ফায়াকুনের নামাজ

বা ওমরী কাজা নামাজ, জুমাতুল বিদাতে কি আমল করলে সব আশা পুরণ হবে



2022 সালের রমজানের শেষ জুমা বা জুমাতুল বিদা, এ বছর জুমাতুল বিদা এবং ২৭শে রমজান একত্রিত হয়ে আরো গুরুত্ব বহন করছে এই দিনটি। এই দিনে কুন ফায়াকুনের নামাজ বা ওমরী কাজা নামাজ কি? এই নামাজ কেন পড়া হয়? এই নামাজ পড়বেন কিনা? জুমাতুল বিদার দিন কি আমল করবেন? কি আমল করলে আপনার সব চাওয়া পুরণ হবে, সব আশা আরজু পুরণ হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি শেষ পযন্ত আমাদের সাথেই থাকবেন।

জুমার দিনের মাহাত্ম্য সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সূর্যদয়ের মাধ্যমে যে দিনগুলো হয় তার মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন।

এই দিনে হজরত আদমকে (আ.)সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। আর এদিনের মধ্যে এমন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুসলমান নামাজরত অবস্থায় দোয়া করলে অবশ্যই তার দোয়া কবুল করা হয়। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৪৯১) রমজান মাসে রোজা অবস্থায় জুমার দিনের নিশ্চিত দোয়া কবুলের শেষ সুযোগ হিসেবে জুমাতুল বিদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজরত আওস ইবনে আওস আস-সাকাফি (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে।  

তিনি বলেন আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিনে ভালো করে গোসল করবে এবং আগে আগে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাবে এবং ইমামের কাছাকাছি বসে খুৎবা মনোযোগ সহকারে শুনবে আর কোনো রকম অনর্থক কাজ করবে না তাকে তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে লাগাতার এক বছর নামাজ ও রোজার সওয়াব দান করা হবে। (সুনানে ইবনে মাযা, হাদিস: ১০৮৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৫, আস্-সুনানুল কুবরা, হাদিস: ১৭০৩, সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ১৩৮৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৬১৭৬, সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ২৭৮১)

 

এ বছর যারা রমজানের বিদায়ী এই জুমা আদায় করছেন আগামী বছর আবার রমজান মাসে জুমা পাবেন কিনা তার কোন গেরান্টি নাই, সে হিসেবেও এই বিদায়ী রমজানের জুমা মুলত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অনেক বড় নেয়ামত, তাই এতে মুসলমানরা খুবই গুরুত্বের সাথে এবাদত করে দোয়া করে।

আর এই এবাদত ও দোয়ার মধ্যে অনেকে কুন ফায়াকুনের নামাজও পড়ে এবং এই নামাজের ব্যপারে কথিত আছে যে ব্যক্তি রমজানের জুমাতুল বিদাতে ২ রাকাত নামাজ পড়বে তার জীবনের ৭০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে বা ৭০ বছরের কাজা নামাজ মাফ হয়ে যাবে।

আর জুমাতুল বিদার দিন আসরের পর জামায়াত সহকারে ৪ রাকাত নামাজ পড়লে জীবনের সব কাজা নামাজ মাফ হয়ে যাবে। যাকে ওমরী কাজা নামে ডাকা হয়।

 

এই যে জুমাতুল বিদার দিন কুন ফায়াকুনের নামাজ  ওমরী কাজার নামাজ নামে যে নামাজের কথা প্রচলন আছে এবং এর যে সব ফজিলতের কথা লোক মুখে শুনা যায় এ সবই বানোয়াট। এসবের কোন ভিত্তি নাই। সুতরাং এসব আমল না করে বরং জুমাতুল বিদাতে বেশী বেশী দরুদ শরীফ পড়বেন, জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে চলে যাবেন, মনযোগ দিয়ে খুতবা শুনবেন, গুনাহ মাফ চাইবেন, বিশেষ করে আসরের পর এ দরুদ শরীফটি ৮০ বার পাঠ করবেন

আল্লাহুম্মা সল্লি আলা সৈয়্যেদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মি ওয়ালা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা

 তারপর নিজের সকল আশা আরজুর কথা দোয়ার মধ্যে বলবেন। ইনশা আল্লাহ সে মুহুর্তে যে দোয়া করবেন, যা চাইবেন তাই কবুল হবে।


https://youtu.be/oMXNwtntU0s

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.