শাওয়ালের ৬ রোজার নিয়ম। ৬ রোজা আগে নাকি কাজা রোজা আগে রাখবেন?

                       শাওয়ালের ৬ রোজা আগে নাকি কাজা আগে?

৬ রোজার সব অজানা নিয়ম কানুন



যে ব্যক্তির রমজান মাসের রোজা কাজা হয়েছে সে কি আগে কাজা রোজা রাখবে নাকি শাওয়ালের ৬ রোজা রাখবে? এ ব্যপারে ইসলামের বিধান হল;

নামাজের মধ্যে ফোকাহায়ে কেরাম এই মাসালা লিখেছেন যে নফল ২ ধরনের হয়ে থাকে,

প্রথমত সে সব নফল যার নিদৃষ্ট ফজিলত হাদীসের মধ্যে উল্লেখ আছে যেমন তাহাজ্জুদ নামাজ, ইশরাকের নামাজ, চাশতের নামাজ, আউয়্যাবিন নামাজ  এসব নামাজের ব্যপারে হাদিসে স্পষ্ট ফজিলত বর্নিত আছে,

আর কিছু নফল আছে হাদিসে যার কোন সুস্পষ্ট ফজিলত নাই যেমন কেহ মাগরিবের পর আউয়াবিন পড়ার পর এশার নামাজ পযন্ত সাধারণ নফল নামাজ পড়া।

সুতরাং নফল নামাজ ২ ধরনের পাওয়া গেল অর্থ্যাৎ একপ্রকার সেটা যেটা হাদীসে আসছে আর ২য় প্রকার সেটা যেটা হাদীসে আসেনি।

সে জন্য ফোকাহায়ে কেরাম লিখেছেন- বিশেষ করে ফতোয়ায়ে শামী ও ফতোয়ায়ে রেজভিয়ার মধ্যে আছে, যে সব নফল নামাজের ফজিলত হাদীস শরীফের মধ্যে বয়ান করা হয়েছে। সেগুলিকে আদায় করে যেতে হবে, এখন কেহ যদি নিজের কাজা নামাজ পড়ার জন্য এসব ফজিলত ময় নামাজ যেমন এশরাক, চাশত, আউয়াবিন, তাহাজ্জুদ এগুলি ছেড়ে দেয় তাহলে সে তা ছেড়ে দিতে পারবে,

কিন্তু সে যদি তাহ্জ্জুদও পড়তে থাকে আর পাশাপাশি তার যে সব কাজা নামাজ আছে সেগুলিও আদায় করতে থাকে সেটাই উত্তম।

 

এখন নামাজের এই মাসায়ালার উপর কিয়াস করে বলা হয় রোজার মধ্যেও যে সব রোজার নিদৃষ্ট ফজিলত হাদিসের মধ্যে বর্ণিত আছে যেমন শাওয়ালের ৬ রোজা আইয়্যামে বিজের রোজা, সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, এই রোজা গুলির যেহেতু আলাদা ফজিলত আছে তাই সে ফজিলত লাভের জন্য সেগুলি নিজ নিজ জায়গায় আদায় করবেন এবং পাশাপাশি যেসব কাজা আছে সেগুলিও আদায় করবেন।

 

আগে কাজা রোজা রাখতে হবে তারপর ৬ রোজা রাখতে হবে এমন কোন বাধ্যবাদকতা নাই, ৬ রোজা যেহেতু শাওয়াল মাসেই রাখতে হবে সে জন্য আপনি ৬ রোজা রাখবেন শাওয়াল মাসে এতে আপনি ৬ রোজার যে ফজিলত তা হাসিল করতে পারবেন, তারপর কাজা রোজা রাখবেন,

  

অতএব আপনি যদি চান আগে ভাংতি রোজা রাখবেন তারপর ৬ রোজাও রাখবেন তাও করতে পারেন, আবার যদি চান আপনি শুধু ভাংতি রোজা রাখবেন ৬ রোজা রাখবেন না তাও করতে পারেন, অথবা যদি চান আগে ৬ রোজা রাখবেন তারপর ভাংতি রোজা রাখবেন তাও করতে পারেন।

 

অতএব আপনি যদি শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখতে না চান বরং শাওয়াল মাসে কাজা রোজা রাখতে চান তাও করতে পারেন তাতে আপনি গুনাহগার হবেনা না তবে শাওয়ালের ৬ রোজার যে ছাওয়াব সে ছাওয়াব থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন।

 

 #  শাওয়ালের রোজার মধ্যে কাজা রোজার নিয়ত করা যাবেনা

# ঈদের দিন রোজা রাখা নিষেধ তাই ঈদের ২য় দিন থেকে বা কয়েকদিন পর থেকে পরবর্তী পুরা শাওয়াল মাসের যে কোন দিন ৬ রোজ রাখা যায়

# ৬ রোজা ধারাবাহিক ভাবেও রাখা যায়, কয়েকদিন পরপরও রাখা যায়

# শাওয়ালের ৬ রোজার নিয়ত সন্ধ্যায় কিংবা রাতেই    করতে হবে। পরের দিন সূর্য ওঠার পর করলে হবে না।

 





 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.