দোয়াটি সব ধরনের কাজ করবে, আল্লাহ এ দোয়া কবুল করেন
দোয়াটি সব ধরনের
কাজ করবে, আল্লাহ এ দোয়া কবুল করেন
আল্লাহর রসুল হযতর নুহ (আ) দোয়া করেছেন, (রাব্বি লা তাজার আলাল আরদি
মিনাল কাফিরিনা দাইয়্যারা)
নূহ বলল, ‘হে আমার রব্ব! ভূপৃষ্ঠে বসবাসকারী কাফিরদের একজনকেও তুমি রেহাই
দিও না।
আল্লাহ তায়ালা হযরত নুহ (আ)
এর দোয়া কবুল করে নিলেন। এরপর তার কওমের উপর এমন আযাব পাঠালেন, তাদের নাম নিশানাও মিঠিয়ে
দিলেন।
অথচ আম্বিয়াকেরাম গন অনেক বেশী ধৈর্য্যশীল, তারা উম্মতকে সুযোগ দেন,
যদি কেহ অনেক বড় অপরাধও করেন সে যদি আল্লাহর বারেগাহে এসে তওবা করে আল্লাহ তার তওবা
কবুল করেন। আল্লাহ কাফেরের দোয়াও কবুল করেন, এমনকি ইবলিশ লানত গ্রস্থ হওয়ার পরও তার
দোয়াকে কবুল করেছেন।
ইবলিশ বলেছিল (কালা আনজিলনি ইলা এয়াউমি ইউবআছুন) আমাকে কেয়ামত পযন্ত
ছাড় দিন, আল্লাহ তায়ালা তাকে ছাড় দিয়ে দিলেন,
যেখানে শয়তান এত বড় নাফরমানি করার পর যদি আল্লাহ তার ফরিয়াদ শুনেন, তাহলে
বান্দা হিসেবে আপনি যদি মুমিন হন আপনার দোয়া কেন শুনবেন না। তবে দোয়া কবুল হওয়ার জন্য
হারাম খাদ্য ছেড়ে দিতে হবে, বেহায়াপনা ছেড়ে দিতে হবে, এরপর আল্লাহর সামনে কাকুতি মিনতির
সাথে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কবুল ফরমাবেন।যখন কেহ কাকুতি মিনতি করে বলে (এয়া
আল্লাহ এয়া রাব্বানা এয়া রাব্বি ) এভাবে যদি মিনতি করতে থাকে তা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়,
কারন কাকুতি মিনতি বান্দা করে, আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি নাই তিনি এসব থেকে পাক,
এক বুযুগ বড়ই আজব কথা বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা পশুপাখির উপরও রহমত নাজিল করেন যেমন
আফগানিস্তানের কাবুলে আগের যুগে অনেক বড়
এক জঙ্গল ছিল, আর সে জঙ্গলে সব ধরনের হিংস্র প্রাণীরা থাকত, বাঘ, ভাল্লুক, শিয়াল, শুকর
সহ অসংখ্য প্রাণী থাকত, আর শুকর ছিল অনেক বড় বদবখত জানোয়ার, এই শুকর খাওয়া মুসলমানদের
জন্য হারাম। এই শুকরের ঝাক জঙ্গল থেকে বের হয়ে পাশের গ্রামের ক্ষেত খামারে প্রবেশ করে
ক্ষেত খামার নষ্ট করে দিত, তখন সে এলাকার বাসিন্দারা শুকরের প্রতি বিরক্ত হয়ে সে জঙ্গলের
চতুর্পাশ্বে তেল ঢেলে দিয়ে সে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিল, জঙ্গলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলা
শুরু করল।
সে জঙ্গলের ভিতর থেকে ১টি শুকর যে কোন
উপায়ে বের হয়ে বাহিরে এসে আসমানের দিকে মুখ করে অত্যন্ত উচ্চস্বরে চিৎকার করে করে কাঁদতে
লাগল। মনে হচ্ছিল যেন সে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছে।
গ্রামের লোকগুলি সে শুকরটির অবস্থা দেখছিল,
কিন্তু আল্লাহর কি রহমত কিছুক্ষনের মধ্যেই মুষল ধারে বৃষ্টি আরম্ভ হয়ে সে আগুন মুহুতে
নিভে গেল। জঙ্গলের সব প্রাণী বেঁচে গেল।
দেখুন আল্লাহর কাছে যদি শয়তান মরদুদ হয়ে
চাই আল্লাহ দেন, পশু পাখিকেও আল্লাহ দেন, এমনকি এ ঘটনায় দেখা যাচ্ছে একটি হারাম প্রাণীর
ফরিয়াদের সাথে সাথে আল্লাহ বৃষ্টি নাজিল করেছেন। এখন আমরাও যদি সত্যিকার ভাবে কাকুতি
মিনতির সাথে হৃদয়ের গভীর থেকে দু চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চাই আল্লাহ
আমাদেরকে দিবেন না কেন?
আল্লাহ আমাদেরকে অনেক সুযোগ দেন, গুনাহগারকেও
সুযোগ দেন, ফেরাউনকে ৩০০ বছর পযন্ত আল্লাহর তায়ালা সুযোগ দিয়েছেন, সে যদি সে সুযোগে
গুনাহ থেকে তওবা করত তাহলে অবশ্যই ক্ষমা পেত কিন্তু সে নাফরমানিতেই ডুবে রইল, ফলে ধ্বংস
হয়ে গেল।
তাই গুনাহ যদি হয়ে যায়, নাফরমানি হয়ে হয়ে
যায় তার উপর অটল না থেকে তওবা করে গুনাহ মাফ চেয়ে নেয়া উচিত, লজ্জিত হয়ে কাকুতি মিনতির
সাথে দোয়া করা উচিত, যত বড় পাপই হউক আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন।
কোন মন্তব্য নেই