সুরা দোহার ওজিফা ৫টি আয়াত পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বড় শান্তনার বাণী
সুরা দোহার ওজিফা ৫টি আয়াত পৃথিবীর
সর্বশ্রেষ্ঠ বড় শান্তনার বাণী
সুবহানাল্লাহ কেমন শান্তনার বাণী আল্লাহ নাজিল করেছেন, সুরা দোহার ৫টি আয়াত
মুহিব আপন মাহবুবকে এভাবেই শান্তনা দেন। আমি এতটুকু আপনাকে সাহায্য করব, এতটুকু পেয়ার
দিব, এতটুকু খেয়াল রাখব। সদা আপনাকে সঙ্গ দিব।
আগত সময় বিগত সময় থেকে উত্তম করে দিব, আর এত বেশী দিব আপনি রাজি হয়ে যাবেন খুশি হয়ে
যাবেন।
সুরা দোহার আয়াতসমুহ থেকে আল্লাহর
প্রিয় হাবিব (দ) এর আজব শান প্রকাশিত হয়। সারা দুনিয়া আল্লাহকে রাজি করার জন্য ব্যস্ত,
আল্লাহকে রাজি করার জন্য কেহ রোজা রাখে, কেহ নামাজ পড়ে, কেহ দান সদকা করে, কেহ কুরআন
পড়ে, কেউ রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে, কেহ তাসবিহ পড়ে, কেহ দোয়া করে, যে কোন নারী পুরুষকে দেখবেন
সকলেই আল্লাহকে খুশি করতে চায়
,
আম্বিয়াকেরামের জিন্দেগি দেখুন আদম (আ) বলতেন (রাব্বানা জালামনা আনফুসানা, ) কারন তিনি
আল্লাহকে খুশি করতে চাইতেন
নুহ (আ) তুফানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন
ইউনুস (আ) মাছের পেটের ভিতর আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন
আইউব (আ) অসুস্থতার হালতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন
ইব্রাহিম (আ) নিজের বিবি বাচ্চাকে নিজন পাথুরী এলাকায় ছেড়ে এসেছেন আল্লাহকে সন্তুষ্ট
করার জন্য
ইউসুফ (আ) জেল খানায় গিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেছেন
এয়াকুব (আ) সন্তানের বিরহে সবর করেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য
মুসা (আ) কুহে তুরে গিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেছেন
এভাবে যাকেই দেখবেন সকলেই আল্লাহর সন্তুষ্টির তলবগার।
সুবহানাল্লাহ আল্লাহর প্রিয় হাবিব এর কি আযব শান- আল্লাহ তায়ালা ফরমাচ্ছেন, (ওয়ালা
ছাওফা ইউতিকা রাব্বুকা ফাতারদা) আমার মাহবুব (দ) রব আপনাকে এত বেশী দিবেন যে আপনি সন্তুষ্ট
হয়ে যাবেন।
ওলি, আবদাল, কুতুব, গউছকে দেখুন সকলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ইচ্ছুক।
তেমনি ভাবে, ক্বারি, হাফেজ, আলেম, মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, ফকিহ, মুজতাহিদ সকলেই আল্লাহর
সন্তুষ্টীর তলবগার।
এ যুগে সকল ধনী, গরীব, সাদা কালো, আরবী অনারবী, নারী পুরুষ সকলে আল্লাহর সন্তুষ্টির
তলবগার।
এভাবে পুরা কায়েনাত আল্লাহকে রাজি করার জন্য চেষ্টা প্রচেষ্টায় লিপ্ত, আর খোদ রব্বে
করিম মাহবুব নবীকে রাজি করার জন্য তলবগার।(ওয়ালা সাওফা ইউতিকা রাব্বুকা ফাতারদা) আপনার
রব আপনাকে এত বেশী দান করবেন এত কিছু দিবেন যে আপনি রাজি হয়ে যাবেন। মাহবুব আপনার সকল
আশা আমি পুরণ করে দিব।
মাহবুব আঙ্গুলের ইশারা করলে আল্লাহ তায়ালা চাঁদকে দু টুকরা করে দিলেন,
মাহবুবের হাত উঠার সাথে সাথে আল্লাহ বৃষ্টি নাজিল করেন
মাহবুব (দ) এর জবান থেকে আবু হুরায়রা (রা) এর মায়ের জন্য হেদায়েতের দোয়া বের হল আল্লাহর
সাথে সাথে হেদায়েত দিয়ে দিলেন।
মাহবুব (দ) কাবার চৌখাট ধরে দোয়া করতেন আল্লাহ ওমর (রা) কে ঈমানের সৌভাগ্য নসিব করে
দেন, ওমরকে ঈমান নসিব করে দিলেন
মাহবুব (দ) এর আঙ্গুল থেকে আল্লাহ তায়ালা পানির ঝণাধারা জারি করে দেন
আল্লাহ তায়ালা এটাই বলতে চান হে আমার মাহবুব সারা কায়েনাত আমাকে রাজি করার জন্য ব্যস্ত,
আর আমি আপনাকে আমার মাহবুব বানিয়েছি, অতএব আমি আপনাকে এত বেশী দিব (ওয়ালা সাওফা ইউতিকা
রাব্বুকা ফাতারদা) আপনি রাজি হয়ে যাবেন।
হে মাহবুব যা আপনার পছন্দ তা আমার পছন্দ হবে, যা আপনার তা আমার, যা আপনার না তা আমার
নয়।
সে জন্য আমাদের আকাবেরগন দোয়া করতেন মদিনাতে দাফন হওযার জন্য, যাতে মাহবুবের নৈকট্য
নসিব হয়।
একটু চিন্তা করুন, আল্লাহ তার মাহবুবের মনের আশাসমুহকে কিভাবে পুরণ করেন,
৪ রাকাতের ১টি নামাজ ২ রাকাত পড়ার পর ওহি পাঠালেন হে মাহবুব আপনার মনের আকাংখা অনুযায়ী
আপনার জন্য কেবলাকে আমি বদলে দিলাম, ফলে নবী (দ) ২ রাকাত বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে
পড়লেন, বাকী ২ রাকাত কাবাতুল্লাহর দিকে ফিরে পড়লেন। সুবহানাল্লাহ যেহেতু আল্লাহ তায়ালা
তার মাহবুব নবীকে খুশি করার কথা ফরমালেন, এটা সে নবীর উম্মত হিসেবে আমাদের জন্য অনেক
বড় খোশখবর।
নবী (আ) এর উপর যখন এই আয়াত নাজিল হল তখন তিনি ফরমালেন - আল্লাহ তায়ালা ওয়াদা করেছেন
তিনি আমাকে রাজি করবেন, আর আমি ততক্ষন রাজি হবনা যতক্ষন আমার ১জন উম্মতও জান্নাতে প্রবেশে
বাকী থাকবে। এটা আমাদের মত গুনাহগার উম্মতের জন্য কত বড় সুসংবাদ।
আল্লাহ করিম তার মাহবুবকে রাজি করার ওয়াদ ফরমালেন আর মাহবুব (দ)বলে দিলেন আমি সে সময়
পযন্ত রাজি হবনা যতক্ষন আমার সবশেষ উম্মতটিও জান্নাতে পৌঁছবেনা।
রব্বে করিম তার মাহবুব নবীকে রাজি করার জন্য কুরআনে মজিদে খোশ খবর দিয়ে দিলেন।
আল্লাহ কসম করে করে সে সুসংবাদ
দিচ্ছেন সুরা দুহা بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ
الرَّحِيمِ وَالضُّحَى
হে মাহবুব আপনার উজ্জল চেহেরার কসম وَاللَّيْلِ إِذَا
سَجَى আপনার কালো কালো জুলফির কসম مَا
وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا
قَلَى আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেনি এবং আপনার প্রতি বিরূপও
হননি। وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَّكَ
مِنَ الْأُولَى আপনার জন্যে পরকাল ইহকাল অপেক্ষা
শ্রেয়। وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ
فَتَرْضَى আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট
হবেন।
এটাও নবী (দ) এর মহান শান যেই নবী (দ) কে ভালবাসবে তাকে অনুসরন করবে দুনিয়াতেও আল্লাহ
তাকে সম্মানিত করবেন আর আখেরাতেও তাকে সম্মানিত করবেন। এবং জান্নাতে তাকে প্রবেশ করিয়ে
খুশি করে দিবেন।
কোন মন্তব্য নেই