২৪ ঘন্টার ২০টি দোয়া ও আমল। অফুরন্ত বরকত লাভের আমল। প্রতিদিনের দোয়া ও আমল।

 

২৪ ঘন্টার ২০টি দোয়া ও আমল। অফুরন্ত বরকত লাভের আমল। প্রতিদিনের দোয়া ও আমল।



আজকে ২৪ ঘন্টায় করার মত ২০টি দোয়া ও আমল আলোচনা করব, যে আমলগুলি করলে আপনার জন্য আল্লাহ তায়ালা  ধন সম্পদ রিজিক ও অফুরন্ত কল্যাণের দরজা খুলে দিবেন, আমলগুলি করতে আপনার অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হবেনা সারা দিনে মাত্র ১০ মিনিটের আমল আপনার ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করে দিবে। ইনশা আল্লাহ। 

প্রতিটি আমল কুরআন ও হাদীসের আলোকে তুলে ধরা হবে, শেষ পযন্ত ধৈর্য্য সহকারে দেখুন অবশ্যই উপকৃত হবেন।

 প্রথমত: সব সময় ঘরে প্রবেশের সময় পড়বেন

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাল মাউলিজি, ওয়া খাইরাল মাখরাজি বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খরাজনা ওয়া আলাল্লাহি রব্বানা তাওয়াক্কালনা। (অর্থ) আয় আল্লাহ, আপনার কাছে বাসায় প্রবেশের কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ও আপনার কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আমি আল্লাহ তায়ালার নামেই বের হই। এবং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করি। (আবু দাউদ ও তিরমিজি)

ঘরে প্রবেশের সময় বরকতের আমল - ঘরে প্রবেশের সময় অবশ্যই  (আসসালামু আলাইকুম) বলে সালাম দিতে হবে। (সুরা নুর-৬১)

যদি ঘরে মানুষ না থাকে তাহলে সালামে এভাবে বলবে (বিসমিল্লাহি ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসুসিল্লাহ) (আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা এবাদিল্লাহিস সোয়ালিহিন) এরপর ঘরে প্রবেশ করে ১ বার সুরা এখলাস পড়লে ঘরে অভাব থাকবেনা (কুরতুবি ২০/১৮৫)

মসজিদে যখন আযানের পর জামাতের জন্য অপেক্ষা করেন তখন এ দোয়াটি পড়বেন যে দোয়ার বরকতে আপনি দুনিয়া ও আখেরাতের সকল নিরাপত্তা লাভ করতে পারবেন, তাছাড়া আযান ও জামাতের মাঝামাঝি সময়ের দোয়া কবুল হওয়ার গেরান্টি আছে- দোয়াটি হল

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়াতা ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখেরাহ

ফরয নামাজের সালাম ফিরিয়ে ৩ বার পড়বেন আসতাগফিরুল্লাহ, তারপর ডান হাত মাথায় রেখে পড়বেন

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لا إِلَهَ إِلا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ ، اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنِّي الْهَمَّ وَالْحَزَنَ

(বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহিম- আল্লাহুম্মা আজহাব আন্নিল হাম্মে ওয়ালহাজানে)

 

তাহলে সব ধরনের দুঃখ বিপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করবেন।

ফজর ও মাগরিবের

নামাজের পর ১০টি দোয়া ও আমল

ক) রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা ওয়াবিল ইসলামে দিনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা ৩ বার পড়বেন

খ)আউজুবিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররিমা খালাক ।৩ বার পড়বেন।

গ) বিসমিল্লাহিল্লাজি লা এয়াদুররু মা ইসমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামাঈ ওয়াহুয়াল আলিয়্যুল আজিম (৩ বার)

ঘ) সুরা এখলাস ৩ বার, সুরা ফালাক ৩ বার, সুরা নাস ৩ বার,পড়ে হাতে তালুতে ফুক দিয়ে শরীরে মাসেহ করবেন

ঙ) ফজরের নামাজের পর সময় হলে ১ বার সুরা এয়াসিন পড়বেন।

চ) মাগরীবের নামাজের পর সময় হলে ১ বার সুরা ওয়াকেয়া পড়বেন।

ছ) ৭ বার পড়বেন (আল্লাহুম্মা আজরিনি মিনান নার)

জ) সকালে ৩ বার পড়বে (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি, আদাদা খালকিহি, ওয়া রিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি)

ঝ) সায়্যেদুল ইস্তেগফার- ১ বার পড়বেন

সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বী, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা আবদু, ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া আ‘দিকা মাসতাত্বাতু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানাতু। আবূউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবূউ লাকা বিযাম্বী, ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই। (১০৫)(১০৫) . বুখারী, মিশকাত হা/২৩৩৫

ঞ) ১০ বার দরুদ শরীফ পড়বেন।

মানুষের সাথে সব সময় সদাচারন করবেন, আত্মিয়দের সাথে বেশী বেশী সু সম্পক বজায় রাখবেন, মা বাবাকে খুব বেশী সেবা করবেন। তাহলে আপনার জন্য ধন সম্পদ ও কল্যানের দরজা খুলে যাবে।

 

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.