যে দোয়া সরাসরি আকাশে শিখানো হয়েছে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াতের ফজিলত
যে দোয়া সরাসরি আকাশে শিখানো হয়েছে
দোয়াটি আল্লাহ তায়ালা আসমান জমিন সৃষ্টির ২ হাজার বছর আগে লিখে রেখেছেন,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
আজ যে দোয়াটি শিখাব, দোয়াটি আর কোন নবী
ও নবীর উম্মতকে দেয়া হয়নি, এ দোয়াটি আল্লাহ তায়ালা আসমান জমিন সৃষ্টির ২ হাজার বছর
আগে লিখে রেখেছেন, যে দোয়াটি সরাসরি আকাশে শিখানো হয়েছে যেমন দোয়াটির ব্যপারে ইমাম
আহমদ এবং ইমাম বায়হাকি শুয়াবুল ঈমানে হযরত আবু যর (রা) হতে বননা করেন, রাসুলুল্লাহ
(দ) ফরমান, আমাকে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াতের এই দোয়াটি
আরশের নিচে থেকে দেয়া হয়েছে, আমার আগে অন্য কোন নবীকে এই দোয়াটি দেয়া হয়নি
ইমাম তাবরানি শক্ত সনদের সাথে হযরত শাদ্দাদ
ইবনে আউস (রা) থেকে বণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা আসমান ও
জমিন সৃষ্টি করার ২ হাজার বছর আগে একটি কিতাব লিখেন আর তা থেকে ২টি আয়াত নাজিল করেন,(আর
এই ২টি আয়াতই হল আজকের দোয়াটি) যে ২টি আয়াত দিয়ে সুরা বাকারা
খতম করেন। যে ঘরে ৩ রাত এই দোয়াটি পড়া হবে সে ঘরে শয়তান টিকতে পারবেনা।
এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে সব ঘরে জিনের
সমস্যা, মানুষ জিনের কারনে ভয় পান সে সব ঘরে যদি এই দোয়াটি বড় বড় করে ৩ রাত পড়ে তাহলে
সে ঘর থেকে জিন পালাবে।
ইমাম বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তরমিজি,
নাসাঈ, ইবনে মাজা, হযরত ইবনে মাসউদ (রা) হতে বণনা করেন যে ব্যক্তি রাতে এই দোয়াটি সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত পড়বে তা তার জন্য যতেষ্ট হবে।
ইমাম তবরানি হযরত ওকবা বিন আমের (রা) থেকে
বণনা করেন, এ দোয়াটি সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত বার বার
পড়, কেননা আল্লাহ এই দোয়ার কারনে সৈয্যদেনা মুহাম্মদ (দ) কে ফজিলত দান করেছেণ
আসুন আমরা দোয়াটি জানি এবং শিখে ফেলি।
যে দোয়া রাতে ১ বার পড়লে সব কিছুর জন্য যতেষ্ট হবে, যে দোয়া ৩ রাত পড়লে ঘর থেকে শয়তান
জিন পলায়ন করবে যে দোয়া আল্লাহ তায়ালা আসমান জমিন সৃষ্টির ২ হাজার বছর আগে লিখেছেন,
যে দোয়া শুধু উম্মতে মুহাম্মদিকে উপহার দেয়া হয়েছে-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن
رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ
وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ وَقَالُواْ سَمِعْنَا
وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার
পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি,
তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা
বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল
করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে
হবে। [সুরা বাকারা - ২:২৮৫]
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا
لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن
نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا
حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ
طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا
فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন
কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।
হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের
উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার
শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর।
তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর। [সুরা
বাকারা - ২:২৮৬]
কোন মন্তব্য নেই