জুমার ফজিলত, জুমার দোয়া ও আমলসমুহ জুমার রাতদিন ২৪ ঘন্টায় ২৭টি দোয়া ও আমল
জুমার ফজিলত, জুমার দোয়া ও আমলসমুহ
জুমার রাতদিন ২৪ ঘন্টায় ২৭টি দোয়া ও আমল
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম সম্মানিত দর্শক শ্রোতা মন্ডলী জুমার দিন কি আমল করবেন? কি আমল করলে
কি ফজিলত, কোন আমল করলে কি বরকত হবে, কি ফায়দা হবে, কিভাবে আমলগুলি করবেন, জুমার দিন
কোন সময় আমলগুলি করবেন, কি আমল করলে আপনার পুরা সপ্তাহ বরকতময় হবে, আপনার ঘরে বরকত
হবে, আপনার লাইফে সৌন্দর্য্য ফিরে আসবে, আপনার মন প্রফুল্ল হবে, আপনার মানসিক শান্তি
আসবে, আজকের আলোচনায় তা বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব। ইনশা আল্লাহ আজকের প্রতিটি
শব্দ আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে, তাই অবশ্যই প্রতিটি শব্দ প্রতিটি কথা অত্যন্ত
মনযোগ দিয়ে শুনবেন। আর আপনজনদের কাছে শেয়ার করে দ্বীনের খেদমতে অংশ গ্রহণ করবেন আশা
করি। আপনার একটি শেয়ার পেয়ে কেহ যদি আমল করে তাহলে তার আমলের সাওয়াবও আপনি পাবেন।
এবার
আসুন ধারাবাহিক ভাবে জুমার দিনের প্রতিটি আমল জেনে নেয়া যাক
১)
জুমার দিন বেশী বেশী দরুদ শরীফ পড়া, রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন জুমার দিন এবং জুমার
রাতে বেশী বেশী আমার উপর দরুদ পাঠ কর, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাট করবে আল্লাহ
তার উপর দশ বার রহমত নাজিল করবেন। আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আলি মুহাম্মাদ
ওয়াবারিক ওয়াসাল্লিম।
মনে
রাখবেন বৃহস্পতিবার দিন এর সুর্য ডুবার পর থেকে জুমার রাত শুরু হয় আর শুক্রবার ফজর
থেকে জুমার দিন শুরু হয় শুক্রবার সুর্য ডুবার আগ পযন্ত ২৪ ঘন্টা সময় বেশী বেশী দরুদ
শরীফ পাঠ করবেন।
রাসুলুল্লাহ
(দ) ফরমান দিন সমুহের মধ্যে জুমার দিন আফযল দিন, এই দিন আদম (আ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে,
এই দিনই তার রুহ কবজ করা হয়েছে, আর এই দিনই কেয়ামত সংগঠিত হবে।আর এই দিন সব লোক বেহুশ
হয়ে যাবে। সে জন্য আমার উপর বেশী বেশী দরুদ শরীফ পাঠ কর। কেননা তোমাদের দরুদ আমার কাছে
পেশ করা হয, তখন সাহাবীগণ প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহহ এয়া রাসুলাল্লাহ আমাদের দরুদ
আপনার কাছে কিভাবে পেশ করা হবে?যখন আপনার শরীর মাটি খেয়ে ফেলবে? তখন হুজুর (দ) ফরমালেন
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মাটির জন্য নবীদের শরীর ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।
অতএব
ফেরেশতাদের মাধ্যমে হুজুর (দ) এর কাছে আমাদের দরুদ সমুহ পৌঁছানো হয়।
২)
সুরা কাহাফ পড়া- হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) রাসুল (সা.)–এর
পক্ষ থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ
করবে, তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর বর্ষিত হবে।’
৩) গোসল করা- জুমার দিন গোসল করার ব্যপারে কোন কোন ওলামা বলেছেন এটা
ওয়াজিব, আর জমহুরের মতে জুমার দিন গোসল করা মুস্তাহাব। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে
ওমর রাদিয়াল্লাহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে আসলে সে যেন গোসল
করে।’ (বুখারি, মুসলিম)
৪) হাত পায়ের নখ কাটা এবং অবাঞ্চিত লোম কাটা, এসব
কাজ অন্যান্য দিনও করা যায় তবে জুমার দিন করা উত্তম।
৫) মিসওয়াক করা- মেসওয়াক করা ফজিলতপূর্ণ কাজ। আর জুমার
দিন অজু ও গোসলে মেসওয়াক করা অন্যতম আদবের অন্তর্ভূক্ত। (ইবনে মাজাহ, বুখারি)
৬) উত্তম পোষাক পরিধান করা- জুমার দিনের জন্য ১ জোড়া
কাপড় স্পেশাল তৈরী করে রাখবেন যা শুধু জুমার দিন নামাজের জন্য পরিধান করবেন।
৭) খুশবু লাগানো- ঘরে যে খুশবু আছে তা লাগাবেন, জুমার
দিন লাগানোর জন্য আতর রাখবেন। জুমার দিন সুগন্ধি লাগালে ইবাদত-বন্দেগিতে মন প্রফুল্ল
থাকে
৮) তেলা লাগানো, জুমার
দিন গোসলের পর সুগন্ধি ব্যবহারের সময় শরীরে তেল ব্যবহার কথাও এসেছে হাদিসে। সে কারণে
শরীরের ত্বকের যত্নে তেল ব্যবহার করাও জুমার দিনের অন্যতম আদব।’ (বুখারি)
৯) হেঁটে
মসজিদে আসা জুমার দিন
মসজিদে হেঁটে আসা এ দিনের অন্যতম আদব। কারণ এদিন মুসল্লির প্রতিটি কদমে কদমে
আল্লাহ তাআলা এক বছরের নামাজ ও রোজা সাওয়াব দান করেন।’ (আবু দাউদ)
১০)
সবার আগে মসজিদে আসা জুমার দিন আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিংবা তারও আগে নামাজের প্রস্তুতি
নিয়ে রাখা। নামাজের আহ্বান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে আগে আগে মসজিদে এসে উপস্থিত
হওয়া জুমার দিনের অন্যতম আদব।’ (বুখারি ও মুসলিম)
১১) মসজিদে গিয়ে তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজ পড়া-
তবে যখন দ্বিপ্রহর হয় সে সময় নামাজ পড়া উচিত নয়, যখন খুতবা হয় তখন নামাজ পড়া উচিত নয়,
তাছাড়া ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়বেন।
১২) মসজিদে আগেভাগে চলে গেলে ২ রাকাত পড়ে বসে বসে
কুরআন তেলাওয়াত করবেন, সুরা কাহাফ পড়বেন বা দরুদ শরীফ পড়বেন, বসে বসে গল্প করবেন না।
১৩) মসজিদে দেরীতে আসলে মানুষের গর্দানের উপর দিয়ে
সামনের কাতারে যাবেনা, আর যারা আগে আসবেন তারা সামনের কাতার বাদ দিয়ে পিছনের কাতারো
বসবেন না। জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা) হতে বর্ণিত জুমার দিন রাসুলুল্লাহ (দ) খুতবা দিচ্ছিলেন,
এক লোক তখন মসজিদে প্রবেশ করল এবং সে নবীজির মিম্বরের কাছে যাওয়ার জন্য মানুষকে ফাক
করে মানুষের কাঁধের উপর দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে লাগল, তখন রাসুলুল্লাহ (দ) তাকে
উদ্দেশ্য করে বললেন (ইজলিস ফাকাদ আজাইতা ওয়া আনাইতা) বসে যাও তুমি দেরীতেও
আসলে আবার মানুষকে কষ্টও দিতে লাগলে।
১৪) কাউকে তার জায়গা থেকে উঠাবেন না, হযরত জাবের
(রা) নবী করিম (দ) থেকে রেওয়াযেত করেন তিনি ফরমান- তোমাদের কেহ জুমার দিন তোমাদের ভাইকে
দাঁড় করাবেনা,
১৫) মসজিদে নিজের জন্য ১টি নিদৃষ্ট জায়গা নির্ধারন
করার জন্য নবী করিম (দ) নিষেধ করেছেন।
১৬) জুমার আজান হলে করনীয়:
জুমার আজান হওয়ার পর কোনো কাজ কর্ম করার সুযেগ নেই।
আল্লাহ তাআলা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
হে মুমিনগণ!
জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর
এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।' (সুরা জুমআ : আয়াত
৯)
১৭) জুমার খুতবা শুরু হলে অত্যন্ত চুপচাপ, মনোযোগ,
একাগ্রতা, আসক্তি, আবেগ ও আগ্রহের সঙ্গে শোনা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গোসল করে জুমআর নামাজ পড়তে এসে নির্ধারিত
(সুন্নাত) নামাজ পড়ল; তারপর নিরবে (বসে অত্যন্ত মনোযোগ ও একাগ্রতার সঙ্গে খুতবাহ শুনতে)
থাকল, দ্বিতীয় খুতবাহ থেকে অবসর হওয়ার পর ইমামের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায় করল; তার গত
এক জুমআ থেকে অন্য জুমআ (এক সপ্তাহ) বরং আরও অতিরিক্তি তিন দিনের অর্থাৎ গত ১০ দিনের
গোনাহ মাফ করে দেয়া হলো।’ (মুসলিম)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, (খুতবাহর গুরুত্ব এত বেশি
যে,) খতিব খুতবাহ দেয়ার জন্য বের হয়ে (মিম্বারে) এলে তখন (মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের
জন্য) কোনো নামাজ পড়া এবং কথা বলাও জায়িজ নেই।’ (ইবনে মাজাহ)
মনে রাখতে হবে
জুমআর খুতবাহ হচ্ছে মুমিন মুসলমানের জন্য হেদায়েত ও
কল্যাণের নসিহত। জীবন পরিচালনার পথনির্দেশিকা। যা ভালোভাবে একাগ্রতার সঙ্গে শোনে
সে অনুযায়ী আমল করাই মুমিনের একান্ত কাজ।
সুতরাং জুমআর দিন মসজিদে এসে কোলাহল, বিশৃঙ্খলা,
কথাবার্তা ও শোরগোল করা যাবে না। নির্ধারিত সুন্নাত নামাজ পড়ে মনোযোগের সঙ্গে
খুতবাহ শোনার জন্য অপেক্ষা করা। খুতবাহ শুরু হলে তা একাগ্রতার সঙ্গে আমলের নিয়েতে
শোনাই মুমিন মুসলমানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
১৮) ইমামের কাছে বসার চেস্টা করা- আল্লাহ নবী (দ) ফরমান জিকিরে উপস্থিত থাক,
অর্থ্যাৎ খুতবাতে, আর ইমামের নিকটে বস, নিশ্চয়ই মানুষ দুরে দুরে থাকে, এমনকি সে
জান্নাতেও পিছনেই থেকে যাবে।
১৯) খুতবা চলাকালে হাটা চলা করা কথা বলা যাবেনা- হযরত
আবু হুরায়রা রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন তুমি তোমার পাশের জনকে জুমআর দিন
বল-চুপ থাক এমতাবস্থায় যে, ইমাম সাহেব খুতবা দিচ্ছে, তাহলে তুমি অযথা কাজ করলে।
{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৮৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২০০৫}
নিজে কথা বলছেন না অপর জন কথা বললে তাকে চুপ করাও বলা
যাবেনা। তেমনি ভাবে খুতবার সময় মোবাইলে মেসেজ চেক করা,হাতের আঙ্গুল ফুটানো,হাটু
খাড়া করে দুই হাত দিয়ে হাটুকে পেচিয়ে ধরে বসা
যাবেনা,
খুতবার সময় বসার সবচেয়ে উত্তম পজিশন হল নামাজের
আত্তাহিয়্যাতে যেভাবে বসেন সেভাবে বসা, যদি সেভাবে বসতে না পারেন তাহলে ৪ জানু হয়ে
বসবেন, দেওয়ালে বা পিলারে হেলান দিয়ে বসবেননা।
২০) জুমার আগে ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল অজু, ২ রাকাত
দুখুলুল মসজিদ, তারপর ৪ রাকাত কাবলাল জুমা পড়বেন, এরপর জুমার খুতবা শুনা এরপর ২
রাকাত ফরয পড়ার পর ৪ রাকাত বাদাল জুমা এবং ২ রাকাত সুন্নাতুল ওয়াক্ত মোট ১৬ রাকাত
নামাজ পড়বেন।
২১) জুমার পর মুস্তাহাব আমল হল জায়গা পরিবর্তন করে
সুন্নত ও নফল সমুহ পড়া, তবে যদি জায়গা না থাকে যেখানে ফরয পড়েছেন সেখানে দাঁড়িয়েই
পড়ে নিবেন।
২২) জুমার দিন ইমামকে দোয়া করতে বলাও মুস্তাহাব-
একবার মদীনায় খড়ার কারনে জুমার দিন এক সাহাবী নবী (দ) কে দোয়ার দরখাস্ত করলেন নবী
(দ) দুই হাত তুলে দোয়া করলেন সাথে সাথে বৃষ্টি নেমে আসল এমনকি এত বৃষ্টি হল পরের
জুমা পর্যন্ত বৃষ্টি হল তখন পরের জুমায় আবার সে সাহাবী বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য
দোয়া করতে দরখাস্ত করলেন। সুতরাং আপনিও যে কোন প্রয়োজনে ইমামকে জুমার দিন দোয়া
করার জন্য দরখাস্ত করতে পারেন।
অথবা আপনি নিজেই নিজের জন্য জুমার দিন বেশী বেশী দোয়া
করবেন।
২৩) জুমার পরে খাবার খাওয়া এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম করা
মুস্তাহাব।
২৪) জুমার দিন জুমার ফজিলতের কারনে রোজা রাখা নিষেধ।
তবে আপনি যদি প্রতি মাসে আইয়্যামে বিজের রোজা রাখেন, কিংবা আরাফাতের দিনের রোজা
যদি জুমাবার হয়, আশুরার রোজা যদি জুমার দিনে হয তাহলে সমস্যা নাই। তেমনি ভাবে যদি
কেহ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বা শুক্রবার ও শনিবার ২ দিন বা ৩ দিন রোজা রাখে তাহলে
জায়েজ হবে। যেমন বুখারীর ২৫৭৩ নং হাদিস
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমুআর দিন কেউ যেন রোজা পালন
না করে। কিন্তু যদি কেউ জুমুআর দিনের আগে বা পরে একদিন রোজা পালন করে তাহলে সে
জুমুআর দিন সিয়াম পালন করতে পারে।
২৫)জুমার দিন আযান হলে তখন বেচা কেনা নিষিদ্ধ। (সুরা
জুমা আয়াত ৯) আযান থেকে নিয়ে নামাজ পর্যন্ত নিষিদ্ধ সুতরাং আযানের আগে এবং নামাজ
এর পরে বেচা কেনা করা যায়েজ আছে।
২৬) জুমার দিন দোয়া কবুলের মুহুর্ত- আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)
আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি
বলেছিলেন- ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই
সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়,
আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) তার হাত
দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)
তবে সে সময়টি নিয়ে বিভিন্ন মত আছে তার
মধ্যে প্রসিদ্ধ মত হল সে সময়টি হল আসরের পর থেকে মাগরীব এর আগ পর্যন্ত সময়। সুতরায়
জুমার দিন আসরের পর থেকে নিয়ে মাগরিবের আগ পযন্ত দোয়া করলে সে দোয়া কবুল হবে সে
সময় যা চাইবেন তাই পাবেন ইনশা আল্লাহ।
২৭)
রাসুল (সা.) থেকে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন- জুমার দিনে ১২ ঘণ্টা
রয়েছে। তাতে এমন একটা সময় রয়েছে, সে সময়ে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়
আল্লাহ তা'ই দেন। অতএব তোমরা আসরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস নং :
১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস নং : ১৩৮৯)
নবী করিম (দ) আরো
বলেন, ‘নিশ্চয়ই জুমার দিন
এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, সে সময়টিতে একজন মুসলমান যে কল্যাণের দোয়া করবে, অবশ্যই
আল্লাহ তাকে তা দান করবেন।’
(মুসলিম)
আর এটি আসরের
একেবারে শেষ সময়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা আসরের পরে একবারে শেষ সময়ে দোয়া করো।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ও আপনাদেরকে জুমার দিন ও রাতের ২৪ ঘন্টার এই বরকতময় সময়গুলিতে এই বরকতময় আমলগুলি করে তার বরকত হাছিল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলসমুহের লিংক: সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকার অনুরোধ রইল
1) https://www.youtube.com/c/jaalhaq
2) https://www.youtube.com/c/allbangla1
3) https://www.youtube.com/c/Allahwalamedia
4) https://www.youtube.com/channel/UCpM_MlVrvE59Qia2XESn9AQ
আমাদের ফেসবুক
পেজসমুহ
https://www.facebook.com/Jaalhaqbd
https://www.facebook.com/AllBanglaDua
https://www.facebook.com/karamatbd
আমাদের ফেসবুক
গ্রুপ
https://www.facebook.com/groups/jaalhaqbd
ইনস্টাগ্রাম
https://www.instagram.com/jaalhaq.bd/
আমাদের ওয়েবসাইটসমুহ ভিজিট করতে পারেন
https://myjaalhaq.blogspot.com
https://allbangladua.blogspot.com
https://jumakhutbabangla.blogspot.com
কোন মন্তব্য নেই