এসতেগফারের ৫টি নিয়ম এস্তেগফারের ফজিলত ও আমল

 

পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠ ওজিফা এসতেগফারের ৫টি নিয়ম

এস্তেগফারের ফজিলত ও আমল

 


আজকের ভিডিওতে জানতে পারবেন, এসতেগফার কিভাবে পড়বেন, কিভাবে পড়লে আপনার মনের আশা পুরণ হবে, কিভাবে পড়লে আপনার অভাব দুর হবে, কিভাবে পড়লে আপনার সন্তান হবে, কিভাবে পড়লে আপনার চাকরী হবে, কিভাবে পড়লে আপনার ব্যবসায় উন্নতি হবে,

 

এসতেগফারের ৫টি দোয়া সহ এর ফজিলত এবং এসতেগফার পড়ে উপকার পাওয়ার বাস্তব ঘটনা- শেষ পযন্ত ধৈয্য ধরে দেখুন জানুন আর আমল করুন ইনশা আল্লাহ অফুরন্ত বরকতের এই ওজিফা আপনার জীবনের মোর ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট।

 বাস্তব ঘটনা-১ (এসতেগফারের গাড়ি)

 এক বুযুর্গ তাঁর নিজের ঘটনা বয়ান করে বলেন কিছুদিন আগের ঘটনা আমি এক জায়গায় সফর করছিলাম পথে এক মসজিদে নামাজের জন্য প্রবেশ করছি এমন সময় এক লোক এসে আমাকে সালাম দিয়ে বলল হুযুর আসসালামু আলাইকুম আমাকে ২ মিনিট সময় দিতে পারবেন? বুযুগ বলল ঠিক আছে বলুন, তখন সে মসজিদের বাহিরে ১টি গাড়ীর দিকে ইশারা করে বলল হুযুর ঐ যে দেখছেন গাড়ি সেটি আমার এস্তেগফারের গাড়ি, বুযুগ প্রশ্ন করল এস্তেগফারের গাড়ি মানে কি? সে লোকটি বলল হুযুর আমি খুব গরীব ছিলাম, আর দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্য অনেক কস্টে ৫লক্ষ টাকা জমা করে এক বন্ধুর সাথে শেয়ারে ১টি গাড়ী কিনলাম কিন্তু সে বন্ধু ধোকা দিয়ে আমার সে ৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে, সারা জীবনের কামাই হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় একদম পেরেশান হয়ে চিন্তা করলাম দুনিয়ার ধোকায় পড়ব না আল্লাহর সাথেই সম্পর্ক বৃদ্ধি করে দিব,৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ি, আর নামাজ শেষে যতটুকু সময় পাই শুধু এসতেগফার পড়ি, এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর একদিন মসজিদ থেকে বের হলাম হঠাৎ এক লোক এসে আমাকে বলে ভাই আমি আপনাকে খুঁজছি, আমি ১টি গাড়ি কিনব একজন বিশ্বস্থ মানুষ পাচ্ছিনা, আপনি আমার সাথে চলুন, এ কথা বলে সে তার গাড়িতে করে আমাকে শহরে নিয়ে গেল গাড়ীর শো রুম থেকে ১টি গাড়ী কিনল আর তার চাবি আমাকে দিয়ে দিল গাড়ীর কাগজপত্রে নামও দিল আমার সে আমাকে বলল তুমি গাড়ী চালাতে থাক আর প্রতিদিন আমার জন্য একশত টাকা করে জমা করবে, আলহামদুলিল্লাহ আজ প্রায় ১ বছর হয়ে গেল সে গাড়ীর আসল মালিকের কোন খোঁজ নাই আমি প্রতিদিন এই গাড়ী থেকে হাজারো টাকা রোজগার করি আর মালিকের জন্য ১ শত টাকা করে রেখে

দেয়, আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন ভালই আছি।

দেখুন সে বিপদে নিরাশ হয়নি নামাজ ও এসতেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চেয়েছে আল্লাহ তাকে গায়েবি সাহায্য করেছেন।

 

বাস্তব ঘটনা-২ (ইমাম আহমদ বিন হাম্বল বনাম রুটি ওয়ালার ইচ্ছাপুরণ)

 

ইমামে আহমদ বিন হাম্বল একদিন এক মসজিদে রাত কাটাতে চাইলেন, কিন্তু মসজিদে প্রবেশের অনুমতি মিলল না, ইমাম বললেন বারান্দায় হলেও সুযোগ দাও, কিন্তু মসজিদের কেয়ারটেকার বলেন নিয়ম নাই, অপরিচিত লোককে মসজিদে থাকার এজাজত নাই, মসজিদের পাশ দিয়ে এলাকার এক লোক যাচ্ছিল, তিনি বললেন জনাব চলুন আজ আপনি আমার ঘরের মেহমান হবেন, ইমাম আহমদ তাঁর সাথে চলে গেলেন, তাঁকে বসতে দিলেন আর লোকটি মেহমানের জন্য আটার খামি মাখছেন রুটি বানানোর জন্য আর বড় বড় আওয়াজে পড়ছেন আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ। তখন ইমাম আহমদ লোকটি প্রশ্ন করলেন আসতাগফিরুল্লাহর আমল কি তোমাকে কোন উপকার দিয়েছে? সে বলল হ্যাঁ অবশ্যই দিয়েছে যখন থেকেই এসতেগফারের আমল শুরু করেছি তখন থেকেই আল্লাহ আমার সকল আশা পুরণ করে দিয়েছেন, যা আমি কল্পনাও করিনি।

 

রুটি ওয়ালা বলেন- তবে আমার ১টি আশা পুরণ হয়নি। ইমাম আহমদ জিজ্ঞেস করলেন সেটি কি? সে বলল আমি দোয়া করেছি এ জামানার সবচেয়ে বড় আলেম বুযুর্গ ইমাম আহমদ বিন হাম্বলকে যেন আমার ঘরে এনে খাওয়াতে পারি, কিন্তু উনার কোন পাত্তাই পাচ্ছি না, তখন ইমাম আহমদ হাম্বল মুচকি হেসে বললেন হে ভাই তোমার সে আশাও আল্লাহ পুরণ করেছেন কারন আমিই হল আহমদ বিন হাম্বল- সুবহানাল্লাহ।

 

দেখুন রুটি ওয়ালা সব সময় আসতাগফিরুল্লাহ পড়ত, হাটতে বসতে চলতে ফিরতে, তাই আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল আশা পুরণ করে দিয়েছেন।

 

এসতেগফারের ফজিলত ও আমল  নিয়ে অনেকে অনেক অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন এক বুযুগ বলেন আমি যখনই কোন সমস্যায় পতিত হই যার কোন সমাধান খুঁজে পাই না তখন আমি ১ হাজার বার এসতেগফার পড়ি এর ফলে আল্লাহ তায়ালা আমার অন্তর খুলে দেন এবং আমার সমস্যা সমাধানের পথ খুলে দেন। মানুষ যখন তওবা করেন সে তখন বে গুনাহ হয়ে যায়, ভবিষ্যতেও গুনাহ না করার নিয়ত করে, তখন আল্লাহ তায়ালা তার সকল অভাব অনটন দারিদ্রতা দুর করে দেন এবং তার ধন সম্পদে বরকত ঢেলে দেন।


আল্লাহ তায়ালা তাঁকে বাগানের মালিক বানিয়ে দেন, সন্তান সন্ততি দান করেন,

 

বাস্তব ঘটনা-৩ হযরত হাসান বসরীর দেয়া কুরআনি ওজিফা

 

একদিন এক লোক হযরত হাসান বসরী(রহ) কাছে এসে আরজ করল হযরত আমি বড়ই গুহানগার এমন আমল বলে দিন যেন আমার গুনাহ সমুহ মাফ হয়, হযরত হাসান (রহ) বললেন বেশী বেশী এসতেগফার পড়, এরপর আর একজন এসে আরজ করল অনেক দিন যাবত বৃষ্টি হচ্ছেনা এমন আমল বলে দিন যাতে তা আমরা করলে আল্লাহ রহমতের বৃষ্টি বষন করবেন, হযরত বললেন বেশী বেশী এসতেগফার পড়, এরপর আর একজন লোক আসল বলল হযরত আমি ঋণের দ্বারা জর্জরিত অনেক দিন যাবৎ চেষ্টা করছি ঋণ পরিশোধ করতে কিন্তু পারছি না আপনি আমাকে এমন আমল এর কথা শিখান যাতে আমি ঋণ থেকে মুক্ত হতে পারি। হযরত বললেন এসতেগফার পড়। এক বান্দা আসল হযুর আমার জন্য দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে ছেলে সন্তান দান করেন, হযরত তাকে শিখিয়ে দিলেন বেশী বেশী এসতেগফার কর। এরপর আরেক বান্দা আসল বলল হযুর আমার বাগানে ফল যাতে বেশী হয় সে জন্য দোয়া করুন হযরত বললেন তুমি বেশী বেশী এসতেগফার কর তাহলে তোমার বাগানে ফল বেশী বেশী হবে। আর একজন আসল হযরত আমার বাড়ীতে যেন পানির যথাযথ ব্যবস্থা হয় সেজন্য দোয়া করুন হযরত জবাব দিলেন এসতেগফার কর। এখন সে মজলিশে যারা ছিল তারা বড়ই হয়রান, যে হযরত সকল সমস্যার জন্য একটাই আমল এর কথা বলছেন এসতেগফার, তখন একজন প্রশ্ন করল হযরত আপনি সকলকে সব ধরনের সমস্যার জন্য একই আমল বলে দিচ্ছেন এর কারন কি? তখন হযরত হাসান (রাঃ) কোরানের আয়াত পাঠ করলেণ

 

সুরা নুহের ১০ থেকে ১২ নং আয়াতে  আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন 

 

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا

অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। [ সুরা নূহ ৭১:১০ ]

يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا

তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন,
সুরা নূহ ৭১:১১ ]

وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا

তোমাদের ধন-সম্পদ  সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেনতোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। [ সুরা নূহ ৭১:১২ ]

 

সুরা নুহের এ ৩ টি আয়াতের দ্বারা এসতেগফারের ৬টি উপকারিতা আল্লাহ তায়ালা বয়ান করে দিয়েছেন। এ এসতেগফারের একটি আমলও যদি আমরা ধারাবাহিক ভাবে করতে পারি তাহলে আমাদের সকল সমস্যার এর দ্বারাই সমাধান হয়ে যাবেকেহ বলে ব্যবসায় লোকসান এটা বাগানের মত সুতরাং এসতেগফার দ্বারা যেমন বাগানে ফসল বেশী হয় তেমনি ব্যবসায়ীরা এসতেগফার দ্বারা তাদের ব্যবসায় বরকত আনতে পারেন। কেহ বলে সন্তান হয় না তারা এসতেগফার এর আমল করতে পারেন। কেহ বলে খড়া সৃষ্টি হয়েছে তারাও এসতেগফার করতে পারেনকেহ বলে কজ শেষ হয় না তারাও এ মহান আমলটি করতে পারেন ইনশা আল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সমাধান করে দিবেন। এটা আল্লাহর কালাম এতে কোন ধরনের সন্দেহ নাই।

 

এসতেগফারের ৫টি সহিহ দোয়া

মনের আশা পুরণ, দারিদ্রতা দুর করে সম্পদশালী হওয়া, সন্তান সন্ততি লাভ, গুনাহ মাফ, রিজিক বৃদ্ধির জন্য তাওবাহ বা ইসতেগফারের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় কুরআন-সুন্নাহতে অনেক দোয়া ও ইসতেগফার রয়েছে। তবে পড়তে সহজ ও ব্যাপক প্রচলিত দোয়ার মাধ্যমেও ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। এমন ই ৫টি দোয়া তুলে ধরা হলো যার মাধ্যমে মুমিন মুসলমান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

 

 আর তাহলো-১ম দোয়া

رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণ : 'রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।'

অর্থ : 'হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।'

নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।' (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

আপনিও এই দোয়াটি প্রতিদিন ১০০ বার পড়তে পারেন।

 

২য় দোয়া أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ : 'আস্‌তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।'

অর্থ : 'আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।'

নিয়ম : দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।' (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)

সুতরাং হাটতে বসতে চলতে ফিরতে আপনি এসতেগফারের এই দোয়াটি বেশী বেশী পড়বেন।

 

৩য় দোয়া أَستَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্লাহ।

অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।' (মিশকাত)

সুতরাং ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সময় যখন ফরয নামাজ পড়বেন সালাম ফিরিয়ে ৩ বার পড়বেন আসতাগফিরুল্লাহ।

 

৪থ দোয়া أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।

নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।' (বুখারি)

আপনিও যে কোন সময় এই দোয়াটি ৭০ বার বা ১০০ বার পড়বেন।

 

৫ম দোয়া- সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়া

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।'

অর্থ : 'হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।'

নিয়ম : সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার ১বার পড়তে ভুল না করা। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে।' (বুখারি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা নিয়মে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ ঘোষিত নিয়মে ক্ষমা প্রার্থনায় বেশি বেশি তাওবাহ-ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.