কুরআনের অনেক বড় পরীক্ষিত সুরা, কেহ এ সুরার কারামত জানেনা
কুরআনের অনেক বড় পরীক্ষিত সুরা, কেহ এ সুরার কারামত
জানেনা
কুরআনে এমন একটি সুরা আছে যে সুরাটিকে অত্যন্ত মুজাররব
সুরা পরীক্ষিত সুরা লিখেছেন ওলামায়ে কেরাম,
এটির মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা, এই
সূরাটি এমন একটা সময়ে নাজিল হয়েছিল যখন রাসূলুল্লাহ(সা) মানসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে
ছিলেন। প্রায় দশ বছর মক্কায় ইসলাম প্রচারের পরেও হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন কুরাইশী ইসলাম
ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। অপমান আর লাঞ্ছনার পরিমাণ দিনকে দিন বেড়েই চলেছিলো। এই অবস্থায়
রাসূলুল্লাহ(সা)-এর উপর তিনটি বড় বড় বিপদ নেমে আসে।
তিন
–
তায়েফে ইসলাম প্রচার করতে যেয়ে তাঁর উপর চরম মানসিক ও শারীরিক লাঞ্ছনা নেমে আসে,
যা ছিল নবীজী(সা)-এর জীবনের সর্বনিকৃষ্ট দিন। রাসূলুল্লাহ(সা)-এর এই দুর্দশার সময়ে
তাঁকে অনুপ্রেরণা দিতে আল্লাহ এ সুরা নাজিল করলেন। সূরাটি রাসূলুল্লাহ(সা)-কে এতটাই
উজ্জীবিত করেছিল যে, এই সূরা নাজিলের প্রায় দশ বছর পর মক্কা বিজয়ের
দিনেও রাসূলুল্লাহ(সা) এই সূরা থেকে আয়াত উদ্ধৃত করেছিলেন
এ সুরার কাহিনিকে আল্লাহ তায়ালা সর্বশ্রেষ্ট বলে দাবী
করেছেন, সত্যি সত্যি এই সুরার ঘটনার সামনে শেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ, হুমায়ূন আহমেদ
–
সবার গল্পগুলোই নগণ্য।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
অর্থ্যাৎ আমি তোমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ কাহিনী বর্ণনা করছি …” (১২:৩ আয়াতাংশ)
যে সুরাতে আল্লাহ তার একজন প্রিয় নবী হযরত ইউসুফের জীবন
কাহিনি বয়ান করেছেন, আর নিঃসন্দেহে ইউসুফ (আ) একজন সুদশন পুরুষ, উত্তম চরিত্রবান,
সুন্দর, মাজিত, মিষ্টিভাষি, ধৈর্য্যশীল, জ্ঞানী, ক্ষমাশীল, পিতা মাতার প্রতি
অনুগত, দুরদর্শী একজন নবী। যার এসব সবশ্রেষ্ট গুনাবলী এই সুরার মধ্যে বর্ণনা করা
হযেছে।
সুতরাং কেহ যদি এসব সবশ্রেষ্ঠ গুনের অধিকারী সন্তান চান
তাদের উচিত এই সুরাটি বেশী বেশী পড়া, যেমন মক্কার সে আলেম নিজে ১১ বছর পড়েছেন
তারপর তাকে আল্লাহ যে সন্তান দিয়েছেন তার মধ্যে সুরা ইউসুফে বর্ণিত সকল গুন পাওয়া
গেছে।
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা গভকালীন সুরা ইউসুফ বেশী বেশী
পড়া উচিত। তাহলে তার গর্ভের সন্তানও সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী হবে।
কোন মন্তব্য নেই