কঠিন বিপদ ও পেরেশানিতে এই কলমাটি এয়াদ করুন,
কঠিন
বিপদ ও পেরেশানিতে এই কলমাটি এয়াদ করুন,
আল্লাহর পয়গাম্বরের মাধ্যমে একটি অনেক
বড় নেয়ামত আমাদের কাছে পৌঁছিয়েছেন, আর সেটা কোন নেয়ামত? যার ব্যপারে আমি আপনাদের খেদমতে
কয়েকটি কথা বলতে চাই,
সেটা হল হালাওয়াতে ঈমান বা ঈমানের মজা ও ঈমানের স্বাদ,
খাবার হল মানুষের শরীরের প্রয়োজন, খানা
পানি হল শরীরের খোরাক, আল্লাহর তরফ থেকে নাজিল হওয়া ওহি কুরআন ও হাদিস হল রুহের খোরাক,
খাবার পানিয় যত সুস্বাধু হবে তার স্বাদ যেমন জিহ্বা অনুভব করে, তেমনি ঈমান যত শক্তিশালী
হবে তার স্বাদ রুহ অনুভব করে,
মানুষ যদি শারীরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়
তখন পৃথিবীর সেরা থেকে সেরা খাবারও তার সামনে রাখা হলে তার কাছে তা অসহ্য লাগে, তিতা
লাগে। যদি মানুষের ঈমান দুর্বল হয়ে যায় তখন তার কাছে দুনিয়ার কোন খুশি খুশি মনে হয়না,
তার কাছে থাকে শুধু থাকে হতাশা, সে সদা পেরেশানীতে থাকে, সব সময় সে কোন না কোন ডিপ্রেশনে
লিপ্ত থাকে, কারন কি? কারন হল এই লোক ঈমানী ভাবে বিরান হয়ে গেছে।
মসিবত নবীদের উপরও এসেছে, অলি বুযুগদের
উপরও এসেছে, তাই মসিবত আসার অথ কি এটা যে আল্লাহর সাথে সম্পক ছিন্ন করে ফেলবেন, মসিবত আসার
অথ কি এটা যে হতাশ হয়ে যাবেন? এর অর্থ কি এটা যে এবাদত করা ছেড়ে দিবেন? এর অথ কি এটা
যে আল্লাহকে ডাকা ছেড়ে দিবেন? এর অথ কি এটা যে মুখে যা আসে তাই বলা আরম্ভ করবেন? এর
অথ কি এটা যে আল্লাহর উপর অভিযোগ করা শুরু করবেন?
না এসব করা যাবেনা, ঈমানের অথ হল আপনি
তখন বলবেন (কুল লান ইউসিবানা ইল্লা মা কাতাবাল্লাহু লানা হুয়া মাওলানা) যে বিপদই আসুক,
যে পজিশনই আসুক তা আমার রবের পক্ষ থেকেই ফয়সালা হয়েছে,আল্লাহই আমাদের মওলা তিনিই আমাদের
মালিক তার ফয়সালায় আমি রাজি আমি খুশি
(লাজ্জাতি ওয়ারাহাতি ফি মা কুদ্দিরা আলাই) জিন্দেগীর মজা জীবনের খুশি তখন হবে যখন বলবেন আমার
রব আমার জন্য যা ফয়সালা করেছেন তা বিলকুল ঠিক করেছেন।আমি তাতে খুশি।
কোন মন্তব্য নেই