পাওয়ারফুল দরুদ, দরুদ শরীফের ফজিলত, রাতারাতি ভাগ্য বদলে যাবে, বৃষ্টির মত রিজিক আসবে, সব আশা পুরণ হবে

 

দরুদ শরীফের ফজিলত, রাতারাতি ভাগ্য বদলের দরুদ

পাওয়ারফুল দরুদ, রাতারাতি ভাগ্য বদলে যাবে, বৃষ্টির মত রিজিক আসবে,  সব আশা পুরণ হবে



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, সম্মানিত দশক শ্রোতা মন্ডলী আজকে দরুদ শরীফের এমন পরীক্ষিত ওজিফা ও আমল বলব যে সব ওজিফা ও আমল করলে আপনার দুনিয়া ও আখেরাত ভরপুর বরকতময় হবে, আপনার ভাগ্য বদলে যাবে, আপনার রিজিক প্রশস্থ হবে, আপনার গুনাহ মাফ হবে, দিন দিন আপনার সম্মান মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে, আপনার মনের সব আশা পুরণ হবে।

এই দরুদ শরীফ কিভাবে পড়বেন কতবার পড়বেন, কখন পড়বেন, কোন দরুদ পড়বেন আজকে সব কিছু বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ, তাই শেষ পযন্ত অবশ্যই প্রতিটি কথা মনযোগ দিয়ে শুনবেন।

রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেছেন তিরমিজি শরীফের ৩৫৪৬ নং হাদিস

«البَخِيلُ مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ، فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ»
সে লোক কৃপন যার সামনে আমার নাম এসেছে আমার জিকির হয় আর সে আমার উপর দরুদ না পড়ে। সে জন্য যখনই নবী (দ) এর নাম মোবারক আসবে তখন ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই পড়বেন।

প্রিয় নবীজির নাম মোবারক শুনে যদি দরুদ না পড়ে সে যদি কৃপন হয় তাহলে যার সামনে নবীর শানে বেয়াদবী করল সে যদি তার প্রতিবাদ না করে তাকে কি বলা হবে?  তার ব্যপারে আমাদের জাতিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন

রাসুলের অপমানে যদি কাঁদেনা তোর মন

মুসলিম নও মুনাফিক তুই রাসুলের দুশমন

 

রাসুলুল্লাহ (দ)আরো এরশাদ করেন যে বান্দা একবার আমার উপর দরুদ পাঠ করে আল্লাহর তার উপর ১০টি রহমত নাজিল করেন।

মাশায়েখে কেরাম লিখেছেন (ওয়া কাজালিকা জাআলা জাজাআ জিকরি নবিয়্যিহি জিকরা মান জাকারাহু) আল্লাহ তার মাহবুব নবীর প্রতি এত মহব্বত রাখেন, যে আল্লাহর মাহবুবকে দরুদ শরীফ পড়ার মাধ্যমে স্মরণ করে, আল্লাহর সে বান্দাকে ১০ বার স্মরণ করেন।

হুজুর (দ) পছন্দ করতেন উম্মত তারঁ উপর দরুদ পড়ুক আর আল্লাহ উম্মতের উপর দশবার রহমত নাজিল করুক,

এক বুযুর্গ খুব সহজ ভাষায় বুঝিয়েছেন দরুদ পড়ার ফলে সাওয়াব হাসিল হয়, আর ছালাম পড়ার ফলে জবাব হাসিল হয়, অর্থ্যাৎ আপনি হুজুরকে সালাম দিয়ে বললেন এয়া রাসুলাল্লাহ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক, এখন তার জবাবে যদি হুজুর (দ) বলেন তোমার উপরও শান্তি বর্ষিত হউক, তেমনি ভাবে আপনি যদি বলেন নবীর উপর রহমত নাজিল হউক আর তার জবাবে আল্লাহ যদি ১০ বার বলে তোমার উপর রহমত নাজিল হউক, একবার চিন্তা করুন যদি আল্লাহ ও রাসুলের পক্ষ থেকে এমন জবাব আসে; একজন গুনাহগারের জন্য এর চেয়ে বড় নেয়ামত আর কি হতে পারে?

হাদিসে এসেছে (মান সাল্লা আলাইয়্যা সালাতান ওয়াহিদাতান) যে আমার উপর একবার দরুদ শরীফ পড়েছে (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি আশারা ছালাওয়াত) আল্লাহ তায়ালা ১০ রহমত নাজিল ফরমান। তার ১০টি গুনাহ মাফ করে দেন। আর জান্নাতে তার ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

মুয়াত্তা শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''কোনো ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়া মাত্র একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! অমুকের সন্তান অমুক আপনার উপর এত মোর্তবা দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন। অমনি আমি ও তার ওপর ঠিক তত মোর্তবা দরুদ পাঠ করি। অতঃপর সেই ফেরেশতা আল্লাহর দরবারে আরজি পেশ করে- হে মাবুদ! অমুকের সন্তান অমুক আপনার হাবীবের ওপর এত মর্তবা দরুদ পাঠ করেছেন। তৎক্ষণাৎ আল্লাহ্ পাক তাকে জানিয়ে দেন,  কিরামান ও কাতেবীনকে বলে দাও, তার প্রত্যেক মোর্তবা দরুদ পাঠের পরিবর্তে যেন তার আমলনামা থেকে দশটি করে গোনাহ্ কেটে দেয় এবং আমার তরফ থেকে প্রত্যেক কাটা স্থানে দশটি করে নেকী লিখে রাখে।

বায়হাকী শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার কবরের নিকট আমার উপর দরুদ পাঠ করবে, আমি তা নিজ কানে শুনবো, আর যে ব্যক্তি আমার উপর গায়েবানা (অর্থাৎ দূরে থেকে) দরুদ পাঠ করবে, তা আমার নিকট পৌঁছে দেয়া হবে।

আল্লাহর কিছু ফেরেশতা দুনিয়াতে বিচরন করে - নবী করিম (দ) ফরমান যখন আমার কোন উম্মত আমার উপর দরুদ পড়ে এসব ফেরেশতা সে দরুদ ও  সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেয়,

তিরমিযী শরীফের হাদীস হযরত ইবনে মাস্উদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন (ইন্না আউলা ন্নাসে বি এয়াউমাল কিয়ামাতে আকসারুহুম আলাইয়্যা সালাত) কিয়ামতের দিন আমার সবেচেয়ে নিকটবর্তী সে লোক হবে যে সবচেযে বেশী আমার উপর দরুদ শরীফ পাঠ করবে।

তাবারানী শরীফের হাদীস- হযরত আবু দাররা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ''যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা আমার ওপর দশবার দরুদ পড়বে সে কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভ করবে।

আল্লাহ্ পাক পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল  করে হুকুম করলেন, 'ইন্নাল লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান নাবীই, ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহি ওয়াসাল্লামু তাছলীমা।''

''নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ্) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনগণ তোমরাও তাঁহার উপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।'' (পবিত্র  কোরআন- ২২ পারা, সূরা  আহযাব-  রুকু-৭,  আয়াত- ৫৬)।

 

এ আয়াতে যেহেতু আল্লাহ তায়ালা দরুদ পাঠের হকুম এরশাদ করেছেন তাই জীবনে একবার হলেও দরুদ পাঠ করা ফরয। আর যখনই নবী করিম (দঃ) এর নাম মোবারক আমরা উচ্চারন করি কিংবা অন্য কেহ উচ্চারন করে আমরা নবী করিম (দঃ) এর নাম মোবারক শুনতে পাই তখন দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন আযানে (আশহাদুআন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লাহ) শুনে ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলা ওয়াজিব। আর যদি কোন মজলিশে বার বার নবীর জিকির হচ্ছে সেখানে হকুম হল প্রথম বার নবীর নাম শুনে দরুদে পাক পড়া ওয়াজিব। আর সে মজলিশে যতবার নাম মোবারক শুনবেন ততবার দরুদ পাঠ পড়া মুস্তাহাব।

 

ওয়াজিব ও ফরয তরক করলে গুনাহ হয়, আর মুস্তাহাব তরক করা গুনাহ নয় তবে ফযিলত থেকে বঞ্চিত হবে। সুতরাং কোন মাহফিলে অসংখ্য বার নবীর নাম উচ্চারন হলে সেখানে যদি আমরা একবারও দরুদ না পড়ি তাহলে ওয়াজিব তরক হওয়ার কারনে গুনাহগার হব। আর যদি প্রথমবার পাঠ করে নিয়ে বাকী সময় না পড়ি তাহলে গুনাহগার হব না তবে ছাওয়াব থেকে বঞ্চিত হব। তাই উত্তম হল ওয়াজিবও পুরন করা এবং মুস্তাহাবের উপর আমল করেও অসীম ছাওয়াব হাছিল করা।

 

তবে হাশরের মাঠে নবীর আশে পাশে থাকার জন্য, প্রতিনিয়ত আল্লাহর রহমতের ছায়ায় থাকার জন্য, গুনাহ মাফের জন্য সব সময় দরুদ পড়া বুদ্ধিমানের কাজ,

যদি আপনাকে একটি ছেলে প্রতিদিন সালাম দেয়, একদিন আপনি জিজ্ঞেস করবেন তুমি কার ছেলে? আমাকে প্রতিদিন সালাম দাও? ঠিক তেমনি যদি আপনিও প্রতিদিন নবীকে সালাম প্রেরণ করেন নবী একদিন জিজ্ঞেস করবেন এটা কার ছেলে যে প্রতিদিন আমাকে সালাম প্রেরণ করে?

নবী করিম (দ) এরশাদ করেন জুমার দিন আমার উপর বেশী বেশী দরুদ ও সালাম পাঠ কর, হযরত আবুদ দারদা বলেন আমি প্রশ্ন করলাম হুজুর যখন আপনি দুনিয়া থেকে তশরীফ নিয়ে যাবেন তখনও কি আপনার উপর দরুদ ও সালাম পাঠাব? তখন হুজুর (দ) ফরমালেন আল্লাহ তায়ালা আম্বিয়াকেরামের শরীর মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন। (ফা নাবিয়্যুল্লাহে হাইয়্যুন ইউরজাক) নবীরা কবরে জিন্দা এবং তাদেরকে রিজিক দেয়া হয়। সে জন্য অন্যান্য দিন দরুদ সালাম পড়ার সাথে সাথে জুমার দিন বেশী বেশী দরুদ সালাম পড়া উচিত।

অপর এক রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যখনই তোমাদের কোন পেরেশানি আসে তখন তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরুদ পাঠ কর তাহলে আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতায়ালা তোমাদের পেরেশানি দুর করে দিবেন।

মুসলিম শরীফের হাদীস- রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার সুপারিশের পূর্বে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না কিন্তু যারা আমার ওপর সব সময় দরুদ শরীফ পাঠ করেছে, তারা আমার সুপারিশের পূর্বেই জান্নাতে চলে যাবে। তাদের জন্য আমার কিছুমাত্র সুপারিশের প্রয়োজন হবে না। (মুসলিম শরীফ)।

অপর এক হাদীসে আছে- নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যদি তুমি কোন কিছু ভুলে যাও তাহলে আমার উপর দরুন পাঠ কর ইনশা আল্লাহ সে ভুলে যাওয়া জিনিষ তোমার মনে পড়ে যাবে।

 

আপনারা নিজেরাই পূণ বিশ্বাসের সাথে এ হাদীসের উপর আমল করতে পারেন, ধরুন আপনি ঘরে কোন কিছু কোথাও রেখেছেন পরে ভুলে গেছেন তখন আপনি আন্তরিকতার সাথে দরুদে পাক পাঠ করতে থাকুন দেখবেন আপনার মনে হবে কেউ যেন আপনার কানে কানে এসে বলে দিল যে তুমি অমুক জায়গায় বস্তুটি রেখেছ।

 

তেমনিভাবে যে সব ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার্থী তারা পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন আসার সাথে সাথে ১১ অথবা ১২ বার দরুদ পাঠ করলে এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ১১/১২ বার দরুন পাঠ করলে ইনশা আল্লাহ পরীক্ষা ভাল হবে। অনেকে পরীক্ষার হলে গিয়ে মুখস্থ পড়া ভুলে যায় সে সমস্যাও ইনশা আল্লাহ দরুদে পাকের বরকতে সমাধান হয়ে যাবে।

 

অভাব দুর করার জন্য সবচেয়ে আফযল অজিফা হল দরুদে পাক পাঠ করা। নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন আমার উপর ৫০০ বার দরুন পাঠ করবে তাঁর সকল অভাব অনটন দুর হয়ে যাবে।

তিরমিযি শরীফের হাদীস হযরত উবাই ইবনে কা'ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদা আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আপনার নামে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করি; অতএব দরুদ পাঠের জন্য আমি কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব?

_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ''যতটুকু তুমি চাও। আমি বললাম, ''এক চতুর্থাংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ''যতটুকু তুমি চাও; আর যদি আরও বেশি কর, তবে তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও' আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম_ তবে দুই তৃতীয়াংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, আমি আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য আমার সমুদয় সময় নির্দিষ্ট করব। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে তোমার যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য (সকল আশা) পূর্ণ হবে আর তোমার সমস্ত গোনাহ্ মাফ হবে। (তিরমিযী)

 

অপর এক রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি প্রতিদিন হাজার বার দরুদ পাঠ করে সে ততক্ষন মৃত্যু বরণ করবে না যতক্ষন নিজের স্থান জান্নাতে দেখতে না পাবে। হাদীসের ব্যখ্যাকারী গণ বলেন এটা মুলত জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ।

 

অপর এক রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন- আমি স্বপ্নে দেখলাম আমার এক উম্মত পুলসিরাতে এসেছে। আর সে পুলসিরাত পার হচ্ছিল হঠাৎ তার পা কেঁপে উঠল। এমন সময় সে পুলসিরাত থেকে জাহান্নামে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হল। এমন সময় সে দুনিয়ায় মহব্বতের সাথে আমার উপর যে দরুদ পাঠ করেছিল সে দরুদ এসে উপস্থিত হয়ে গেল আর সে উম্মতের হাত ধরে তাঁকে পুলসিরাত পার করে দিল।

 

সুতরাং অভাব অনটন দুর করার জন্য, যে কোন বিপদ মসিবত দুর করার জন্য, আল্লাহর অফুরন্ত রহমত লাভের জন্য, হাশরের মাঠে নবীর পাশাপাশি থাকার জন্য, মানসিব অশান্তি দুর করে প্রশান্তি অজনের জন্য হারানো বস্তু ফিরে পাওয়ার জন্য, জান্নাত লাভের জন্য বেশী বেশী দরুদ পাঠ করা জরুরী

 

আর বেশী দরুদ এর সংখ্যার ব্যপারে ওলামায়ে কেরাম বলেন ৩০০ বার অথবা ৩১৩ বার। অথ্যাৎ কেহ দিনে ৩ শত বা ৩১৩ বার দরুদ পাঠ করে তাহলে সে অধিক দরুদ পাঠকারী হিসেবে গণ্য হবে।

তবে আরো বেশী পড়তে পারলে যেমন ৫০০ বা ১০০০ বার যদি পড়তে পারেন আরো ভালো, সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সংক্ষিপ্ত দরুদ পড়তে পারেন

আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা ছাইয়্যিদিনা মাওলানা মোহাম্মদ
ওয়া আলা আলে ছাইয়্যিদিনা মাওলানা মোহাম্মদ।

অথবা

ছালাতুন এয়া রাসুলাল্লাহ আলাইকুম,

ছালামুন এয়া হাবিবাল্লাহ আলাইকুম।

অথবা

(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)

এভাবে সংক্ষেপে দরুদ এবং সালাম আদায় হবে।

আর সংখ্যা সেটাই নির্ধারত করবেন যে পরিমান আপনি প্রতিদিন পড়তে পারেন, একদিন ১০০০ বার পড়লেন পরের দিন একদম পড়লেন না এমনটি করা ঠিক না, বরং আপনি যদি প্রতিদিন ১০ বার সকালে ১০ বার সন্ধ্যায় পড়তে পারেন সেটাই করবেন এবং প্রতিদিন করবেন, ধারাবাহিক ভাবে করবেন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই আলোচনা থেকে যা কিছু শিখলাম সে মোতাবেক আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.