১০০% পরীক্ষিত ওজিফা। দ্রুত সফলতা লাভের আমল। যা চাইবেন তাই পাবেন।

 ১০০% পরীক্ষিত ওজিফা। দ্রুত সফলতা লাভের আমল। যা চাইবেন তাই পাবেন।



৩টি আমল করে নিন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষতি থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। কেহ আপনার ক্ষতি করতে চাইলেও ক্ষতি করতে পারবেনা। এই ৩টি আমল শুধু দুনিয়ার জন্য নয় বরং আখেরাতেও খুব বেশী কাজে আসবে। দুনিয়ার ক্ষতি ভয় থেকেও আপনার জন্য রয়েছে নিরাপত্তা। আখেরাতের ক্ষতি ভয় থেকেও রয়েছে নিরাপত্তা।

আমল ৩টি সম্পকে স্বয়ং মহান রাব্বুল আলামিন বলেছেন- সুতরাং এতে কোন ধরনের সন্দেহ নাই। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যথ লোকেরা এই খোদায়ী আমল গুলি পরীক্ষা করেছেন তারা সাথে সাথে সফল হয়েছে। আমল ৩টি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা কসম করে মানব জাতিকে দিয়েছেন, একেতো আল্লাহ তায়ালা আমলগুলি দিয়েছেন তার উপর কসমও করেছেন, তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন কতটা গুরুত্বপূণ এই আমলগুলি।

 

তাই এমন গুরুত্বপূণ আমলগুলি বুঝার জন্য আজকের আলোচনাটি অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে প্রতিটি লাইন স্কীপ না করে শুনার অনুরোধ রইল।

 

যারা এই আমলগুলি করেছেন তারাই সফলকাম হয়েছেন, আমল শেষ হওয়ার আগেই সফলতা এসেছে,

আল্লাহ তায়ালা কসম করে বলেন সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ তবে সাথে সাথে ৩ প্রকার আমলকারীকে আল্লাহ তায়ালা সুখবর দিয়েছেন

কিন্তু আফসুস হল আমাদের সে দিকে কোন খেয়াল নাই, আমাদের ঈমান মজবুত নাই, নেক আমল করার আগ্রহ নাই, ধৈয্যও নাই মানুষকে ধৈয্য ধারনের কথা বলারও অভ্যাস নাই।

অনেক মানুষকে দেখবেন যারা পেরেশানিতে আছে, ডিপ্রেশনে আছে, তখন মানুষ হিসেবে আপনার কাজ হল তাকে এমন কথা বলা যাতে তার ডিপ্রেশন দুর হয়ে যায়, যদি কাউকে অধৈর্য্য দেখেন তাকে ধৈর্য্য ধারনের জন্য উৎসাহ দেয়া। আপনার অভয়বানি, সাহস, সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ ও ধৈর্য্যধারনের পরামশ আপনার ভাইকে আপনার বোনকে আপনার পরিবারকে ক্ষতি থেকে বাঁচিয়ে দিবে। আর তার বরকত আপনিও লাভ করবেন, এটা আল্লাহর ওয়াদা। যতদিন এই প্রেকটিস চালু করবেননা ততদিন আপনি ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবনা। এটাই আল্লাহ কসম করে বলেছেন।

 

তিরমিজি শরীফের ২১৬৯ নং হাদিস

عَن حُذَيفَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسي بِيَدِهِ، لَتَأْمُرُنَّ بِالمَعْرُوفِ، وَلَتَنْهَوُنَّ عَنْ المُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللهُ أنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَاباً مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُوْنَهُ فَلا يُسْتَجَابُ لَكُمْ». رواه الترمذي،

হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে, তা না হলে শীঘ্রই আল্লাহ তাআলা তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর আযাব পাঠাবেন।

 অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দোআ করবে; কিন্তু তা কবুল করা হবে না।’’

আল্লাহ তায়ালা সুরা আসরে বলেন-

 وَالْعَصْرِ

কসম যুগের (সময়ের),

إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ

নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;

إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ

কিন্তু তারা (ক্ষতিগ্রস্থ) নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। .

 

৩টি আমল ক্ষতি থেকে বাঁচাবে (১) ঈমান (২) সৎকম (৩) সত্য ও সবরের পরামশ দেয়া

আর  উল্লেখিত তিরমিজির হাদিসে দেখা যাচ্ছে যদি নেক কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করা না হয় তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব আসবে, তাহলে সুরা আসরে যে সৎকম করার কথা বলা হয়েছে সে সৎকম হল সৎ কাজের আদেশ দেয়া মন্দ কাজে নিষেধ করা। যদি এই কাজ মানুষ ছেড়ে দেয় তাহলে অবশ্যই মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে।

 

আর এই সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করতে গেলে অনেক পরীক্ষা অনেক কষ্ট আসবে আর সে কঠিন মুহুর্তেও সত্য ও সবরের দামান ধরে রাখতে হবে।

 

আর আপনি যদি নিজেকে ক্ষতি থেকে বাঁচতে চান তাহলে আল্লাহর রহমত তলব করুন। আল্লাহ রহমত ছাড়া ক্ষতি থেকে বাঁচা অসম্ভব যেমন সুরা বাকারার ৬৪ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন

فَلَوْلاَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَكُنتُم مِّنَ الْخَاسِرِينَ

কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী যদি তোমাদের উপর না থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে যেতে। [সুরা বাকারা - ২:৬৪]

এখন কি কাজ করলে আল্লাহর রহমত লাভ করবেন?

এর জবাব বিভিন্ন হাদীস শরীফের মধ্যে আছে তা হল

১) কুরআন তেলাওয়াতের দ্বারা আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়

২) সুন্নতের উপর আমল করার দ্বারা আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়

৩) সৃষ্টির উপর দয়া করলে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায় যেমন

বুখারীর ১৯৪৬ নং হাদিস নবী করিম (দ) বলেন

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি ক্রয়-বিক্রয় এবং পাওনা তাগাদায় নম্র ব্যাবহার করে, মহান আল্লাহ্ তা’আলা তার উপর রহম করেন।

আল আদাবুল মুফরাদের ৩৮২ নং হাদিস

: مَنْ رَحِمَ وَلَوْ ذَبِيحَةً، رَحِمَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ‏.

যে ব্যক্তি দয়াপরবশ হয়, তা যবেহ করার প্রাণীর প্রতি হলেও, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে দয়া করবেন।

যেখানে আল্লাহ তায়ালা পশু পাখির প্রতি দয়া করার তাকিদ দিচ্ছেন সেখানে মানুষের উপর জুলুম করলে আপনি কিভাবে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচতে পারবেন?

৪) যদি ক্ষতি থেকে আযাব থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই আমলটিও করবেন, হযরত আবু যর (রা) এরশাদ করেন আমি মসজিদে গিয়ে আল্লাহর রাসুলের পাশে বসলাম, তখন হুজুর (দ) ফরমালেন (হুমুল আকছারুন, হুমুল আকছারুন) সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ - আবু জর বলেন আমি বললাম এয়া রাসুলাল্লাহ কে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ? হুজুর (দ) চুপ থাকলেন তখন আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে নাকি আমি কোন ভুল করে ফেললাম? আবার বললাম এয়া রাসুলাল্লাহ আমি কি কোন ভুল করে ফেলেছি? আমিই কি বেশী ক্ষতিগ্রস্থ? তখন হুজুর (দ) ফরমালেন (হুমুল আকসারুনা আমওয়ালা) অর্থ্যাৎ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ সে যে সবচেয়ে বেশী ধনী। আর যে ধনী এই ক্ষতি থেকে বাঁচতে চায় সে যেন ডানেও খরচ করে, বামেও খরচ করে, সামনেও খরচ করে।

রাসুলুল্লাহ (দ) ফরমান যদি ক্ষতি থেকে আযাব থেকে বাঁচতে চাও তাহলে সদকার মত বড় কোন নেয়ামত নাই।

এই সদকা মানুষকে শারিরিক ক্ষতি, মানসিক ক্ষতি, মানুষের অনিষ্ট, সামাজিক ক্ষতি, দুনিয়ার ফিতনা থেকেও রক্ষা করে। গুনাহ সমুহকে মিটিয়ে দেয় এই সদকা। যেভাবে আগুনকে পানি মিটিয়ে দেয়। একটি খেজুরের বিচি বের করে তাকে ৪ টুকরা করুন, আর এই ৪ টুকরা থেকে ১টি টুকরা হাতে নিয়ে দেখুন কতটুকু হয়, আর এই সামান্যটুকু খেজুরও যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনি দান করেন আল্লাহ এই ১ টুকরা খেজুর সদকার বিনিময়ে আপনাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কাতার থেকে বের হয়ে সফল মানুষের কাতারে শামিল করুন,  আমাদেরকে ঈমানের দৌলত দান করুন, আমাদেরকে সৎ কাজের আদেশ মন্দ কাজে নিষেধ করার তৌফিক দান করুন, মানুষের মাঝে সুলেহ করার ও ধৈর্য্য ধারনের শিক্ষা প্রচার করার তৌফিক দান করুন, কুরআন তেলাওয়াত, সুন্নতের উপর আমল আল্লাহর সৃষ্টি জগতের উপর দয়া করার মাধ্যমে এবং বেশী বেশী দান সদকার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার তৌপিক দান করুন আমিন।

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.