স্বপ্নে বিশ্বনবীর (দ) জেয়ারত লাভের আমল

 

স্বপ্নে বিশ্বনবীর (দ) জেয়ারত লাভের আমল



আমরা পাক নাপাকের ব্যপারে তেমন গুরুত্ব দেই না বলে নবী (আ) এর সাথে আমাদের জেয়ারত হয়না। অনেক লোক অভিযোগ করেন যে আমি অনেক বছর যাবৎ চেষ্টা করে আসছি নবী (আ) এর সাতে যেন জেয়ারত হয় কিন্তু হয়না।

সাধারণ আমরা নবীজির সাথে জেয়ারত না হওযার ব্যপারে বুযুগদের কাছে শুনেছি তার ২টি কারন হতে পারে, (১) দৃষ্টি নাপাক হওয়া (২) কাপড় বা শরীর নাপাক হওয়া। যার কারনে জেয়ারত থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। যদি  কেহ এই ২টি বিষয়ে মেহনত করে তাহলে তাকে  আল্লাহ তায়ালা দ্রুত হুজুর (দ) এর জেয়ারত নসিব করে দেন।

দৃষ্টিকে খুব বেশী পবিত্র রাখতে হবে, ১০০% দৃষ্টিকে পাক রাখতে হবে। পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্ধী বলেন আমার পিতা মাতা যেহেতু নেককার ছিলেন আমি ৫ম শ্রেণীতে থাকতেই তাজকেরাতুল আউলিয়া কিতাবটি সম্পূণ পড়ে ফেলি। আজকালকের বাচ্চারাতো এসব পড়বেনা, কিন্তু আমার বাবা আমাকে ৫ম শ্রেনীতেই এই কিতাব কিনে দিয়েছেন। আমি যখন আল্লাহ ওয়ালাদের ঘটনা পড়লাম তখন মনে খুবই আকাংখা জাগল, আমাকেও আল্লাহওয়ালাদের মত জীবন অতিবাহিত করতে হবে। আল্লাহ ওয়ালাদের জীবনিতে একটা বিষয় আমি বেশী পেলাম তা হল  দৃষ্টিকে হেফাজত করা, তাই আমি তখনও বালেগ হইনি আর তখন থেকেই দৃষ্টিকে আমি খুব বেশী হেফাজত করতে লাগলাম।

দৃষ্টিকে হেফাজত করার নিয়তে আমি এলাকার কোন মহিলাকে সালামও করতাম না, সে জন্য এলাকার আন্টিরা এসে আমার মাকে অভিযোগ করত যে তোমার ছেলে আমাদেরকে সালামও করেনা, আর সে জন্য আমি মায়ের বকাও শুনতাম। আমি মাকে বলতাম মা আমি নিচের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাটি আমার আশে পাশে মেয়ে গেল নাকি আন্টি গেল আমি তা তাকিয়েও দেখিনা তাই সালাম করিনা। আমার উদ্দেশ্য ছিল দৃষ্টিকে অবনত রাখা। আর আমার এই আমলের ফলে আমি অনেক উপকার পেয়েছি।

আমি আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই কোন নারীর প্রতি চোখ তুলে তাকায়নি, সদা নিচের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাটতাম, আর এই কারনে আল্লাহ তায়ালা আমার উপর অনেক বড় মেহেরবানী করেছেন। আমার বয়স যখন মাত্র ৩০ বছর আর এই ৩০ বছরের মধ্যেই আল্লাহ তায়ালা আমাকে ১০০ বারেরও বেশী বার স্বপ্নে হুজুর (দ) এর জেয়ারত নসিব করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.