ছোট এসতেখারা প্রতিটি মুহুর্তে প্রত্যেক জায়গায় করতে পারেন
ছোট এসতেখারা প্রতিটি মুহুর্তে
প্রত্যেক জায়গায় করতে পারেন
নবী করিম (দ) আমাদেরকে শিখিয়েছেন জীবনের যে
অবস্থায় থাকুন না কেন আল্লাহর কাছে কিছুনা কিছু চাও, যে সব মাসনুন দোয়া আছে তাতেও কিছু
না কিছু চাওয়ার শিক্ষা আছে। নবীজি বলেছেন- ঘুম থেকে উঠে এটা চাও, বাথরুমে যাওয়া সময়
এটা চাও, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এটা চাও, মসজিদে প্রবেশের সময় এটা চাও, মসজিদ থেকে
বের হওয়ার সময় এটা চাও, রাস্তা দিয়ে হাটার সময় এই দোয়া কর,
এভাবে মুলত দোয়া করার আগ্রহ সৃষ্টি করাই হল
মকসদ। এভাবে মাসনুন দোয়া করতে করতে এক সময় তার মন আল্লাহর দিকে মুতাওয়াজ্জু হয়ে যায়।
আর এই দোয়া আল্লাহ পযন্ত পৌঁছার উত্তম এবং সহজতর ছোট রাস্তা। বেশী বেশী দোয়া করা। যার
আগ্রহ সৃষ্টি হয় সে তার প্রত্যেক কাজে প্রত্যেক মুহুর্তে আল্লাহর দিকেই রুজু করে।
যখন কোন আল্লাহর বান্দা বলে এই কাজটি ঠিক
না বেঠিক তার সঠিক জবাব আমার মনে ঢেলে দিন। মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে কোন না
কোন প্রয়োজন দেখা দেয়। আর কোন বান্দার যখন কোন হাজত বা প্রয়োজন হয় সে যদি আল্লাহর দিকে
মুতাওয়াজ্জু হয় এই জন্য যে আল্লাহই আমার হাজত পুরণ করে দিবেন।
যদি কোন কারনে দ্বিধা দ্বন্দে লিপ্ত হয়- এটা
করব নাকি ওটা করব? তখন সে যদি দোয়া করে হে আল্লাহ যেটা সঠিক সেটার প্রতি আমার মনে প্রবল
আগ্রহ সৃষ্টি করে দিন।
হুজুর (দ) সাহাবাদেরকে এসতেখারা শিখাতেন যার
জন্য ২ রাকাত নামাজ পড়তে হয় ২ রাকাত পড়ে এসতেখারার যে দোয়া আছে তা পড়তে হয়, এতে ৫/১০
মিনিট সময় লাগে।
কুরবান হয়ে যান হুজুর (দ) এর কদমে - কারন
তিনি আমাদেরকে এমন সহজ তরিকা বলে দিয়েছেন যদি কোন বিষয়ে দ্বিধা দ্বন্দ হয়, দু টানায়
থাকে, তখন এসতেখারার সুযোগ না থাকলে শুধু এতটুকু বলে দিবেন
সেই দোয়াটি পড়বেন। তাহলো,
اللَّهُمَّ خِرْ لِي وَاخْتَرْ لِي
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা খিরলি ওয়াখতার লি’
অর্থ: ‘আয় আল্লাহ! আপনিই ঠিক করে দিন আমি কোন পথ গ্রহণ করব।’ (তিয়মিযী)।
এ ছাড়া নবী করিম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরেকটি সংক্ষিপ্ত দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। তাহলো,
اللَّهُمَّ اهْدِنِي، وَسَدِّدْنِي
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাহদিনি ওয়া সাদ্দিদনি’
অর্থ: ‘আয় আল্লাহ! আমাকে হেদায়েত দিন
এবং সোজা পথ দেখান।’ (মুসলিম)।
আর একটি দোয়া হাদিসে
এসেছে। তাহলো,
اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আলহিমনি রুশদি।’
অর্থ: ‘আয় আল্লাহ! সহজ পথটি আমার অন্তরে ঢেলে দিন।’ (তিরমিযি)।
যে ব্যক্তি প্রত্যেক কাজের শুরুতে আল্লাহ
তায়ালার প্রতি মন নিবিষ্ট করে নেবে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন। আপনি
কল্পনাও করতে পারবে না যে, মুহূর্তের মধ্যে কী করে নিয়েছেন।
এক মুহূর্তের মধ্যে তুমি আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে
সম্পর্ক তৈরি করে নিয়েছ। আল্লাহ তায়ালার নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করেছ এবং সঠিক পথের
সন্ধান চেয়েছ। এই সংক্ষিপ্ত আমলের ফলে একদিকে তুমি সঠিক পথের সন্ধান পেয়ে যাবে। অন্যদিকে
আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টির সাওয়াব অর্জন করেছ। দোয়া ও প্রার্থনা করার জন্যও
রয়েছে আলাদা সাওয়াব।
কেননা, বান্দা যেকোনো বিষয়ে আল্লাহ তায়ালার
অভিমুখী হলে আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দার প্রতি খুবই খুশি হন এবং এ জন্য বান্দাকে বিশেষভাবে
পুরস্কৃত করেন। তাই যেকোনো বিষয়ে মানুষের উচিত আল্লাহ তায়ালার প্রতি মনোযোগী হওয়া।
সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি মানুষ নানান পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। নানা সন্দেহ-সংশয়ের মধ্যদিয়ে
বহুবিষয়ে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় । তাই সবসময় এই বলে আল্লাহ তায়ালার প্রতি মনোযোগ নিবিষ্ট
রাখা উচিত, আয় আল্লাহ! আপনার ইচ্ছা ও মর্জি অনুযায়ী আমার অন্তরে উত্তম বিষয় ঢেলে দিন।
কোন মন্তব্য নেই