কঠিন রোগ থেকে মুক্তির কোরআনী দোয়া
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য, তিনিই নেক লোকদের
বন্ধু। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদে বরহক নাই। তিনি এক তার কোন শরিক
নাই। তিনিই সব মাখলুকাতের মাবুদে বরহক। আর আমি এটাও সাক্ষী দিচ্ছি আমাদের নবী (দ) আল্লাহর
বান্দা ও তার রাসুল।
তিনি তামাম আম্বিয়া কেরাম ও রাসুলদের সরদার।
হে আল্লাহ নবীর উপর তার আহলে বায়ত ও তামাম সাহাবায়ে কেরামের উপর রহমত সালামতি ও বরকত
নাজিল ফরমাও।
আসসালামু আলাইকুম আমার প্রিয় ভাই ও বন্ধুরা!
আজ এমন একটি কুরআনি ওজিফা আপনাদের সামনে পেশ
করব যা শুনে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন, মনে রাখবেন
কুরআন আমাদের জন্য এমন এক নেয়ামত যার শোকর আদায় করে আমরা শেষ করতে পারবনা, সে জন্য
আজ যে ওজিফাটি বলব তা মহিলা পুরুষ, ছোট বড় সকলে নিজের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য, নিজের
সকল দুদশা দুর করার জন্য, সকল বিপদ আপদ মসিবত দুর করার জন্য, অজানা সব দুঃখ দুদশা থেকে
বাঁচার জন্য আল্লাহর রহমত লাভের জন্য এই কোরআনি ওজিফাটি খুবই কাযকরী।
আপনারা জেনে অবাক হবেন এই কুরআনের ব্যপারে
শাহ আবদুল আজিজ (রহ) ফতহুল আজিজে লিখেছেন কুরআন এমন এক জ্ঞান ভান্ডার যার মধ্যে সমস্ত
কিছুর জ্ঞান লুকায়িত আছে, সকল কিছুর সমাধান আছে, কিন্তু তা আমাদের কাছে গোপন রয়ে গেছে
শুধু এই কুরআন নিষে চিন্তা গবেষনা না করার কারনে।
কুরআনে করীম শুধু দ্রুত পড়ার জন্য নাজিল হয়
নাই, এটা এমন কিতাব যার ১টি আয়াত নিয়ে ইমাম শাফেয়ী (রহ) গোটা রাত গবেষনা করেছেন আর
শুধু ১টি আয়াত থেকেই একরাতে তিনি ১০০টি মাসায়ালা বের করেছেন।
ইমাম ফখরুদ্দীন রাজি (রহ) আউজুবিল্লাহি মিনাশ
শায়তানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও সুরা ফাতেহা থেকে ১০ লক্ষ মাসায়ালা
বের করেছেন, আর বাকী গোটা কোরান থেকে ১০ বছরে ১০ লাখ মোট ২০ লাখ মাসায়ালা বের করেছেন।
সুবহানাল্লাহ
এভাবে পূর্ববতী যুগের আলেম ওলামা বুযুর্গানে
দ্বিন কুরআনের উপর গবেষনা করে করে আমাদের জন্য অসংখ্য সমস্যার সমাধান বের করে দিয়েছেন,
আজকের ওজিফাটি যদি আপনি মনযোগ দিয়ে শুনেন তাহলে আমি নিশ্চিত আপনার মন আজ বরফের মত শিতল
হয়ে যাবে, আপনার সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।
কুরআনের যে সুরার ওজিফাটি বলব তার ১টি শিক্ষা হল
দুনিয়াতে যে বিপদ -মুসিবত আসে তা আল্লাহর
অনুমতি ও অনুমোদনক্রমেই আসে । এরূপ পরিস্থিতিতে যে ব্যক্তি ঈমানের ওপর অবিচল থাকে
আল্লাহ তার দিলকে হিদায়াত দান করেন । কিন্তু যে ব্যক্তি অস্থির ও ক্রোধান্বিত হয়ে
ঈমানের পথ থেকে সরে যাবে, তার বিপদ-মুসিবত তো মূলত আল্লাহর অনুমতি ও অনুমোদন ছাড়া
দূরীভূত হবে না; তবে সে আরো একটি বড় মুসিবত ডেকে আনবে । তাহলো, তার মন আল্লাহর হিদায়াত
থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে ।
ওজিফাটির ২য় শিক্ষা হল
মু’মিনের জন্য
তার অর্থ-সম্পদ, পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্তুতি একটা বড় পরীক্ষা । কারণ ঔগুলোর ভালবাসাই
মানুষকে ঈমান ও আনুগত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে । সে জন্য ঈমানদার ব্যক্তিকে তার পরিবার
-পরিজন ও সন্তান-সন্তুতি সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে যাতে করে তারা পরোক্ষ কোনভাবেই
তাদের জন্য আল্লাহর পথের ডাকাত ও লুটেরা হয়ে না বসে । তাছাড়া তাদের উচিত অর্থ-সম্পদ
আল্লাহর পথে খরচ করা যাতে তাদের মন-মানসিকতা অর্থ পূজার ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকে ।
ওজিফাটির ৩য় শিক্ষা হল
প্রত্যেক মানুষ তার সাধ্যানুসারে শরীয়াতের বিধি-বিধান
পালনের জন্য আদিষ্ট । আল্লাহ তা’আলা মানুষের
কাছে তার শক্তি ও সামর্থের অধিক কিছু করার দাবী করেন না । তবে একজন মু’মিনের যা করা উচিত তাহলো, সে তার সাধ্যমত
আল্লাহকে ভয় করে জীবন যাপন করতে কোন ত্রুটি করবে না এবং তার কথা, কাজ ও আচার-আচরণ
তার নিজের ত্রুটি ও অসাবধানতার জন্য যেন আল্লাহর নির্ধারিত সীমা সমূহ অতিক্রম না করে
।
ওজিফাটি হল সুরা তাগাবুন এর ওজিফা
আল্লাহ এই ওজিফার মধ্যে অনেক বড় নেয়ামত রেখেছেন,
প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর ৪১ বার পড়বেন, আপনার সব কাজ সময়ের আগেই আল্লাহর পক্ষ থেকে
গায়েবী মদদের মাধ্যমে সমাধান হয়ে যাবে।
পাকিস্তানের এক বড় মুফতি জরওয়ালী যিনি কয়েম
মাস আগে ইন্তেকাল করেছেন তিনি তার এক বয়ানে বলেন আমি একটি মিথ্যা মামলায় ২ বছর যাবৎ
কোট কাচারীতে চক্কর কাটতে লাগলাম, অথচ আমি মানুষকে ওজিফা দিয়ে থাকি, একদিন আমার এক
সাগরেদ আমাকে বললেন হুজুর আপনি সকলকে ওজিফা দিয়ে থাকেন বিভিন্ন সমস্যায়, আপনি নিজে
সে ওজিফাটি পালন করে দেখেন না কেন? তখন আমার হুশ ফিরে আসল, আমি কি করলাম পরের দিন আমার
আদালতের ডেইট ছিল সে হিসেবে আমি ফজরের নামাজের পর ৪১ বার সুরা তাগাবুন পড়লাম, আর সেদিন
যখন আমি আদালতে গেলাম জজ সাহেব আমার দিকে খুবই মহব্বতের নজরে তাকালেন আমার ২ বচরের
জন্য ক্ষমা চাইলেন এবং আমার পক্ষে রাই দিলেন।
আল্লামা জরওযালী বলেন আপনারাও দুনিয়া ও দ্বীনের
সকল সমস্যার জন্য এই ওজিফাটি পড়ুন প্রতিদিন ৪১ বার পড়লে আল্লাহ সব কাজ ধারনাতীত সহজ
করে দিবেন।
ওলামায়ে কেরাম বলেন যারা বিভিন্ন দুঃখ বিপদ ও নানা ধরনের
সমস্যায় আছেন তাদের জন্য ওজিফা হল সুরা তাগাবুন যা আপনার জন্য সকল বিপদ সমস্যা ও অজানা
সকল ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য সম্পূণ ১টি গাইডলাইন। তাই এই সুরাটি যদি আপনি অথ বুঝে শুধু
১বার পড়তে পারেন তাহলে আপনার সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।
সুরা তাগাবুন
بِسْمِ
اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ يُسَبِّحُ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ
لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১]
هُوَ
الَّذِي خَلَقَكُمْ فَمِنكُمْ كَافِرٌ وَمِنكُم مُّؤْمِنٌ وَاللَّهُ بِمَا
تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের এবং কেউ মুমিন। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:২]
خَلَقَ السَّمَاوَاتِ
وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ
তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সুন্দর করেছেন তোমাদের আকৃতি। তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তন। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:৩]
يَعْلَمُ مَا فِي
السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَيَعْلَمُ مَا تُسِرُّونَ وَمَا تُعْلِنُونَ وَاللَّهُ
عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা আছে, তিনি তা জানেন। তিনি আরও জানেন তোমরা যা গোপনে কর এবং যা প্রকাশ্যে কর। আল্লাহ অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:৪]
أَلَمْ يَأْتِكُمْ
نَبَأُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَبْلُ فَذَاقُوا وَبَالَ أَمْرِهِمْ وَلَهُمْ
عَذَابٌ أَلِيمٌ
তোমাদের পুর্বে যারা কাফের ছিল, তাদের বৃত্তান্ত কি তোমাদের কাছে পৌছেনি? তারা তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করেছে, এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:৫]
ذَلِكَ بِأَنَّهُ
كَانَت تَّأْتِيهِمْ رُسُلُهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالُوا أَبَشَرٌ يَهْدُونَنَا
فَكَفَرُوا وَتَوَلَّوا وَّاسْتَغْنَى اللَّهُ وَاللَّهُ غَنِيٌّ حَمِيدٌ
এটা এ কারণে যে, তাদের কাছে তাদের রসূলগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলীসহ আগমন করলে তারা বলতঃ মানুষই কি আমাদেরকে পথপ্রদর্শন করবে? অতঃপর তারা কাফের হয়ে গেল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল। এতে আল্লাহর কিছু আসে যায় না। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী প্রশংসিত। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:৬]
زَعَمَ
الَّذِينَ كَفَرُوا أَن لَّن يُبْعَثُوا قُلْ بَلَى وَرَبِّي لَتُبْعَثُنَّ ثُمَّ
لَتُنَبَّؤُنَّ بِمَا عَمِلْتُمْ وَذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ
কাফেররা দাবী করে যে, তারা কখনও পুনরুত্থিত হবে না। বলুন, অবশ্যই হবে, আমার পালনকর্তার কসম, তোমরা নিশ্চয় পুরুত্থিত হবে। অতঃপর তোমাদেরকে অবহিত করা হবে যা তোমরা করতে। এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:৭]
فَآمِنُوا
بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالنُّورِ الَّذِي أَنزَلْنَا وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ
خَبِيرٌ
অতএব তোমরা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং অবতীর্ন নূরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:৮]
يَوْمَ يَجْمَعُكُمْ
لِيَوْمِ الْجَمْعِ ذَلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ
وَيَعْمَلْ صَالِحًا يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ وَيُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي
مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ
الْعَظِيمُ
সেদিন অর্থাৎ, সমাবেশের দিন আল্লাহ তোমাদেরকে সমবেত করবেন। এ দিন হার-জিতের দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তার পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার তলদেশে নির্ঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হবে, তারা তথায় চিরকাল বসবাস করবে। এটাই মহাসাফল্য। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:৯]
وَالَّذِينَ كَفَرُوا
وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ خَالِدِينَ فِيهَا
وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
আর যারা কাফের এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, তারা তথায় অনন্তকাল থাকবে। কতই না মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল এটা। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১০]
مَا أَصَابَ مِن
مُّصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ
وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকে কোন বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১১]
وَأَطِيعُوا اللَّهَ
وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ فَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَإِنَّمَا عَلَى رَسُولِنَا
الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলুল্লাহর আনুগত্য কর। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমার রসূলের দায়িত্ব কেবল খোলাখুলি পৌছে দেয়া। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১২]
اللَّهُ لَا إِلَهَ
إِلَّا هُوَ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। অতএব মুমিনগণ আল্লাহর উপর ভরসা করুক। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১৩]
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُوا إِنَّ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ وَأَوْلَادِكُمْ عَدُوًّا لَّكُمْ
فَاحْذَرُوهُمْ وَإِن تَعْفُوا وَتَصْفَحُوا وَتَغْفِرُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ
رَّحِيمٌ
হে মুমিনগণ, তোমাদের কোন কোন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ত তি তোমাদের দুশমন। অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক। যদি মার্জনা কর, উপেক্ষা কর, এবং ক্ষমা কর, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১৪]
إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ
وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ وَاللَّهُ عِندَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তি তো কেবল পরীক্ষাস্বরূপ। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১৫]
فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا
اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنفِقُوا خَيْرًا لِّأَنفُسِكُمْ وَمَن
يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শুন, আনুগত্য কর এবং ব্যয় কর। এটা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর। যারা মনের কার্পন্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১৬]
إِن تُقْرِضُوا اللَّهَ
قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعِفْهُ لَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ شَكُورٌ حَلِيمٌ
যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর, তিনি তোমাদের জন্যে তা দ্বিগুণ করে দেবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহী, সহনশীল। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১৭]
عَالِمُ الْغَيْبِ
وَالشَّهَادَةِ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়। [সুরা তাগাবুন - ৬৪:১৮]
কোন মন্তব্য নেই