সন্তানের কল্যাণের জন্য মা বাবার দোয়া ও ওজিফা

 

প্রত্যেক মা বাবার জন্য ওজিফাটি জানা ১০০ কোটিবার জরুরী



প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম

সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য, যিনি এক যার কোন শরীক নাই, যিনি কাউকে জন্ম দেননি কারো কাছ থেকে জন্ম নেননি, হে মহান রব কারো মুখাপেক্ষিও নয়, আমি সাক্ষি দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদে বরহত নাই, এবং হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসুল।

প্রিয় বন্ধুরা! আজকাল প্রায় সকল পিতা মাতা সন্তানকে নিয়ে পেরেশানিতে থাকে, শত্রুর ভয়, বদ নজরের ভয়, পড়া লেখার না করার সমস্যা, এসব বিষয়ে আল্লামা জুলফিকার আহমদ নকশবন্ধী (ম জি আ) সাহেব প্রত্যেক পিতা মাতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূণ ৪টি দোয়া আমল ও ওজিফার কথা বলেছেন যা প্রত্যেক মা বাবার জন্য জানা 100 কোটিবার জরুরী।

গর্ভবতী মায়ের জন্য ১টি, বাচ্চার ব্যপারে কোন শত্রুর ভয় হলে, বাচ্চার পড়া লেখার জন্য, বাচ্চার বদনজরের জন্য ১টি ওজিফা আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ

সন্তানকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের দ্বারা যেমন চিকিৎসা দেয়া হয় তেমনি এসব কুরআনি আমলও অত্যন্ত জরুরী।

১ম আমল হল- যদি বাচ্চা কাউকে ভয় করে, অথবা আপনি সফরে যাচ্ছেন আপনাকে এয়ারপোটের ভিতর দিয়ে যেতে হবে, সেখানে পুলিশ ইমিগ্রেশন এর ভয় থাকে, অথবা কোন বিচারকের ভয়, এ ধরনের যে কোন লোকের পক্ষ থেকে যদি ভয় হয় তাহলে সুরা এয়াসিনের এই আয়াত পড়বেন (ওয়াজায়ালনা মিম বাইনি আইদিহিম সাদ্দাও ওয়ামিন খালফিহিম সাদ্দান ফা আগশাইনাহুম ফাহুম লা ইউবসিরুন) এই আয়াত পড়ে যদি সে শত্রু কিংবা লোক যার পক্ষ থেকে ভয় তার দিকে ফুক দিয়ে দিতে পারলে আল্লাহ সত্যি সত্যি সে বান্দার চোখের উপর পর্দা ঢেলে দেন। ফলে সে আমলকারীকে কোন কষ্ট দিবে না। আল্লামা জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী বলেন আমি নিজে হাজারো বার আমলটি করে নিজে এর ফায়দা দেখেছি।  আজকাল ছোট ছোট বাচচাদের সাথে যে সব কান্ড হচ্ছে যদি এমন কারো পক্ষ থেকে ভয় হয় তাহলে পিতা মাতা হিসেবে সে লোকের দিকে এই আয়াত পড়ে ফুকি দিযে দিবেন।

২য় আমল হল- বাচ্চা যদি পড়া লেখা করে তাহলে সে যেন স্কুলে ভালো পারফর্ম করে ভালো নাম্বার হাসিল করে ভালো গ্রেড নিতে পারে সে যা পড়ে তাই যাতে সহজে শেখা হয়ে যায় মুখস্থ হয়ে যায়, তার জন্য কুরআনে আলাম নাশরাহ লাকা সাদরাক একটি সুরা আছে সেটি বাচ্চাকে মুখস্থ করিয়ে দিবেন যদি সে মুখস্থ করার মত বয়সী হয়, আর সে যখনই পড়তে বসে চাই স্কুলে হউক কিংবা ঘরে সে পড়ার শুরুতে যদি এই সুরাটি পড়ে নিজের বুকে ফুক দেয় তাহলে বাচ্চার মুখস্থ শক্তির মধ্যে ইমেজিং পার্ত্যক্য এসে যায়। এই আমলটি তাদের জন্য বেশী গুরুত্বপূণ যারা কুরআন হেফজ করে। জুলফিকার সাহেব বলেন আমরা মাদরাসায় হাজারো হেফজ খানার ছাত্রের উপর এটির আমল করে দেখেছি তাতে শতভাগ রেজাল্ট এসেছে

 

৩য় আমলটি হল- যখন কোন গর্ভবতী মা সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় রাতে কোথাও বাহিরে বের হতে চায় তখন তার উচিত সে যেন কয়েকবার (সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন) পড়ে নেয়। তাহলে এর বরকতে আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের বদনজর থেকে মাকে হেফাজত করবেন।

৪য় আমল হল- অনেক সময় বাচ্চার প্রতি বদ নজর লেগে যায়, আর বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বাচ্চার প্রতি পিতা মাতার বদ নজরও লাগে।কেননা মা বাবা সন্তানকে পেয়ার মহব্বতের সাথে দেখে ফলে নজরের আসর লাগে। আর এজন্য কোন আমেলের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। কুরআনে মজিদের ১টি আয়াত (ইন্নাল্লাহা সাইউবতিলুহু ইন্নাল্লাহা লা ইউছলিহু আমালাল মুফসিদিন)  এ আয়াতটি ৩ বার পড়ে মা কিংবা বাবা বাচ্চাকে দম করে দিবেন।প্রতিদিনই তার উপর কোন বদনজরের আসর থাকলে তা কেটে যাবে।

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.