এ ওজিফার জন্য সকল মানুষ পাগল
কুরআনে করিমে সুরা বাকারায়
এসেছে (ইন্নাল্লাহা এয়ামুরুকুম আন তাজবাহু বাকারাহ) আল্লাহ হকুম দিচ্ছে গাভি জবেহ কর।
তফসিরে কবিরে লিখা হয়েছে
বনি ইসরাইলের এক সমস্যা
হয়েছিল, আর তাতে মৃত ব্যক্তির জীবিত হওয়া আর
মৃত জীবিত হয়ে কথা বলা জরুরী ছিল।
অতএব অনেক দুঃখ পেরেশানির
পর একটি গাভি জবেহের উপযুক্ত পেয়ে গেল। অনেক দাম দিয়ে কিনে তা জবেহ করল। আর গাভির গোশতের
টুকরা নিয়ে মৃত ব্যক্তির সাথে যখন টাচ করা হল, সে মৃত জিন্দা হয়ে গেল। আর সে বলে দিল
যে আমাকে আমার ভাতিজা আমার সম্পদের জন্য হত্যা করেছে। সেটা ছিল মুসা (আ) এর জামানায়।
ওলামায়ে কেরাম বলেন যদি
মৃত ব্যক্তি কোন কারনে জিন্দা হতে পারে, তাহলে গাভির সদকার দ্বারা জিন্দা হয়ে যেত।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এখন আর গাভির দ্বারা সে রকম জিন্দা করেন না। সেটা মুলত মুসা
(আ) এর একটি মুযেজা ছিল। সে জন্য আল্লাহ বলেন (কাজালিকা ইউহয়িল্লাহুল মাউতা)
তবে এসব ঘটনা থেকে এটা প্রমাণিত
হয় সদকা করা বড় বড় হালাল প্রাণী আল্লাহর রাস্তায় দান করার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি
হাছিল করা যায় এবং এর দ্বারা বড় বড় বলা মসিবত সমুহ দুর হয়ে যায়। বড় বড় সমস্যার সমাধান
হয়ে যায়।
মানুষ চায় নিজের একটি ঘর
হউক। ঘরটা প্রশস্থ হউক। সুন্দর হউক। থাকার জায়গাটি চমৎকার হউক। সে জন্য আজ অতি সহজ দোয়া আমল ও ওজিফা আপনাদের সামনে তুলে ধরব
(আল্লাহুম্মাগফিরলি জানবি, ওয়া ওয়াচ্ছিলি ফি দারি,
ওয়া বারিক লি ফি রিযকি) অর্থ্যাৎ হে আল্লাহ
আমার গুনাহসমুহকে মাফ করে দাও, আমার জন্য আমার ঘরকে প্রশস্থ করে দাও, আমার জন্য আমার
রিযিকে বরকত দান করুন।
এই দোয়াটি যখন অজু করেন
তখন বারবার পড়তে থাকবেন। এবং মাগরিব নামাজের পর ১০১ বার এই দোয়াটি পড়বেন আগে পড়ে ১
বার করে দরুদ শরীফ পাঠ করবেন। এই ওজিফাটি ৯০ দিন নিয়মিত করে যাবেন, ইনশা আল্লাহ আপনার
জন্য ৯০ দিনের মধ্যেই আল্লাহ তায়ালা কোন ব্যবস্থা করে দিবেন।
যদি বিদ্যা বুদ্ধির বিনিময়ে
রিযিক আসত, তাহলে আঙ্গুলের টিপসই দাতা এমবিএ পাশ একাউন্টেন্ড রাখতেননা। অনেক ধনী আছেন
টিপসই ছাড়া স্বাক্ষর দিতে পারেন না, কিন্তু তার অধিনে বিবিএ এমবিয়ে পাশ চাকরী করছেন।
যদি উচ্চ ডিগ্রী ও বিদ্যার দ্বারা দৌলত হাছিল হত তাহলে এই টিপসই দাতার এত সম্পদ কোথা
থেকে এলো?
সে জন্য আল্লাহ তায়ালা ফরমান
-এটা ভাবিওনা যে এটা তোমার পারদর্শিতার ফল, (আওয়ালাম এয়ালামু আন্নাল্লাহা এয়াবসুতুর
রিজকা লিমান এয়াশা) আল্লাহ যাকে চান তার জন্য রিযিকের দরজা খুলে দেন।
(ওয়া এয়াকদির) আর যার জন্য
চান রিযিক সংকির্ণ করে দেন।
কতলোক কতই মেহনত করেন কিন্তু
ফলাফল জিরো। আর কিছু লোক কিছু করেনা মাটিকে হাত লাগায় সোনা হয়ে যায়। আমার অনেক লোক
সোনাকে হাত লাগালে তা মাটি হয়ে যায়।
যে আমাদের জন্য মাটিকে সোনা
আর সোনাকে মাটি বানিয়ে দেন, আল্লাহ বলেন তাকে চিনে নাও, সে হল তোমাদের রব। মুমিনের
তাওয়াক্কুল মুমিনের ভরসা আল্লাহর উপর হওয়া উচিত।
যখন কেহ আল্লাহর উপর পূণ
ভরসা কায়েম করে নিবেন, তখন তার ব্যপারে হুযুর (দ) এরশাদ করেন যদি তোমরা আল্লাহর উপর
ভরসা করার যে হক তা আদায় করে দিতে পার তাহলে তিনি তোমাদেরকে এমন রিযিক দান করবেন যেমন
পশু পাখিকে দান করেন। পশু পাখি যখন ঘর থেকে সকালে বের হয় তখন সে খালি পেটে বের হয়,
আর যখন ফিরে আসে কখনো কোন জানোয়ার ক্ষুধাথ ফিরে আসেনা।
আপনাকে যদি কেহ প্রশ্ন করে
পেয়ারার বাগানে কোন পেয়ারাটি সবচেয়ে বেশী মজাদার হবে? অনেকেই বলতে পারবেনা কিন্তু আমি
আজ একটি টিপস বলি, যদি আপনি পেয়ারার বাগানে যাবেন সেখানে যে পেয়ারার গায়ে কোন তোতা
পাখি ঠোকর মেরেছে দেখবেন বুঝে নিবেন এই পেয়ারাটিই সবচেয়ে মিষ্টি সবচেয়ে মজাদার। কারন
তোতা সে ফলেই ঠোকর লাগায় যেটি বাগানের সবচেয়ে মজাদার ফল।
দেখুন িএকটি পাখিকে আল্লাহ
সে ফল চিনার শক্তি দিয়েছেন এবং সে সে ফলটিই খায় যেটি সবচেয়ে সেরা, এই ক্ষমতা আল্লাহ
তাকে এজন্য দিয়েছেন কারন এরা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কারী।
তাই আমাদের আকা ও মওলা ফরমায়েছেন
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের যে হক তা আদায় কর তাহলে তিনি তোমাদেরকে এমন রিযিক দান করবেন
যেমন পাখ পাখালিকে দিয়ে থাকেন। (মান কানা লিল্লাহ কানাল্লাহু লাহু) তুমি আল্লাহর হয়ে
যাও আল্লাহ তোমার হয়ে যাবে। (মান লাহুল মাওলা ফালাহুল কুল) যার জন্য মওলা তার জন্য
সবকিছু।
যে কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি
অপর মুসলিমের জন্য তার অনুপস্থিতে দুআ করে, তখন যে দোয়া সে তার ভায়ের জন্য করেছে সে
দোয়া তার নিজের জন্যও আল্লাহ কবুল করবেন। যেমন আপনি আপনার এক মুসলমান ভায়ের অভাব দুর
হওয়ার জন্য দোয়া করেছেন আল্লাহ আপনার অভাব দুর করে দিবেন, আপনি আপনার ভায়ের মনের আশা
পুরনের জন্য দোয়া করেছেন আল্লাহ আপনার মনের আশা পুরণ করে দিবেন। আপনি আপনার ভায়ের বিপদ
দুর করার জন্য দোয়া করেছেন আল্লাহ আপনার বিপদও দুর করে দিবেন। কেননা আপনি যখন দোয়া
করছেন আপনার অনুপস্থিত ভায়ের জন্য তখন একজন ফেরেশতা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছেন হে আল্লাহ
আপনার এই বান্দা তার ভায়ের জন্য অমুক অমুক দোয়া করছেন সুতরাং আপনি তার জন্যও সে সব
দোয়া দুর করে দিন। আর আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই ফেরেশতাদের দোয়া কবুল করেন।
এমন এক দোয়া যে দোয়ার ব্যপারে
আল্লাহ প্রিয় হাবিব ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম জামানত দিয়েছেন; শীতকালে রাত লম্বা হয় অনেকের ফজরের আজানের দেড় দুই
ঘন্টা আগে চোখ খুলে যায়, যখনই চোখ খুলে যায়, আর গরমের সময় গরমের কারনেও অনেকে গভীর
রাতে জেগে যায়, আর এই সুযোগে অর্থ্যাৎ চোখ খোলার পর যদি সে এই তসবিহটি পড়ে নেয় (লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা
কুল্লি শাইয়্যিন কাদির, সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু
আকবর) এতটুকু পড়ার পর যেই দোয়াই করুননা কেন আল্লাহ তায়ালা তার দোয়াকে ফিরিয়ে দেন না।
এটা আমাদের জন্য অনেক বড় তুহফা, কারন এ দোয়ার ব্যপারে আল্লাহ প্রিয় হাবিব ছাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম জামানত দিয়েছেন যে এই দোয়া ব্যর্থ হয়না।
এই দোয়াটির পর আপনার সকল
আশার কথা, সকল পেরেশানির কথা, সকল অভাবের কথা, সকল অভিযোগ আল্লাহর কাছে পেশ করুন, এটাই
হল মোক্ষম সময়।
কোন মন্তব্য নেই