রাতে ঘুমানোর আগে এ সুরাটি পড়লে যা চিন্তা করবেন তাই হয়ে যাবে,অভাবে দুর্ভিক্ষে পতিত হবেন না,

 

রাতে ঘুমানোর আগে এ সুরাটি পড়লে যা চিন্তা করবেন তাই হয়ে যাবে,অভাবে দুর্ভিক্ষে পতিত হবেন না,



প্রিয় বন্ধুরা আজ এমন কিছু আমলের কথা ওজিফার কথা তুলে ধরব যা রাতে ঘুমানোর আগে করতে হয়, রাতে ঘুমানোর আগে ১টি সুরা পড়লে যা চিন্তা করবেন তাই হয়ে যাবে, এই সুরাতে মাত্র ২টি রুকু আছে আর ৫ মিনিট থেকেও কম সময় লাগবে এই সুরাটি পড়তে। ৫/৬ দিন যদি আপনি এই সুরাটি ঘুমানোর আগে রেগুলার পাঠ করেন, তাহলে এই সুরাটি আপনার মুখস্থ হয়ে যাবে। এই সুরাটি যদি নিয়মিত পাঠ করেন তাহলে যাদুটোনা থেকে বেঁচে যাবেন, বালা মসিবত থেকে বেঁচে যাবেন,

আর ২য় আরেকটি সুরা আছে যে সুরা রাতে ঘুমানোর আগে পড়লে দারিদ্রতা অভাব অনটন থেকে বেঁচে যাবেন, দুর্ভিক্ষে মৃত্যু বরণ করবেন না,

অনেকে বলেন এত আমল করি দোয়া করি ওজিফা করি কোন কাজ হয়না, তাদের জ্ঞাতাথে বলতে চাই, খাজা ফরিদ উদ্দীন গঞ্জশকর এর কাছে এক বৃদ্ধা এসে আরজ করল হুজুর আমার মেয়ের বিয়ে টাকাপয়সা নাই, কি করব? ফরিদ উদ্দীন একটি মাটির ঢিলা নিয়ে তাতে ৩ বার সুরা ফাতেহা পড়ে ফুক দিয়ে সে বৃদ্ধাকে দিলেন আর বললেন এটা ঢেকে নিয়ে যাও আর ঘরে গিয়ে  খুলে দেখবে বৃদ্ধা ঘরে গিয়ে দেখে সেটি মাটি না স্বর্ণের টুকরা, এমন  আশ্চর্য্য বিষয় দেখে সে বৃদ্ধা চুপিচুপি অনেক গুলি মাটির ঢিলা জমা করে সারা রাত সুরা ফাতেহা পড়তে পড়তে ফুক দিতে থাকলেন কিন্তু ১টি ঢিলাও স্বণ হলনা মাটিই রয়ে গেল, তখন সকালে সে বৃদ্ধা আবার ফরিদ উদ্দীনের কাছে দৌঁড়ে দৌঁড়ে গেল আর বলল আপনি ৩ বার সুরা ফাতেহা পড়ে মাটিকে সোনা বানিয়ে দিলেন আমি সারা রাত সুরা ফাতেহা পড়লাম আর ফুক দিলাম ১টি মাটির ঢিলাও সোনা হলনা, সত্যি করে বলুন আপনি কি আর কিছু পড়েছেন? হযরত ফরিদ উদ্দীন মুচকি হেসে বললেন ও বুড়ি মা শুধু সুরা ফাতেহা পড়লে হবেনা তার জন্য ফরিদ উদ্দীনের মত জবানও লাগবে।

আজ ফজিলতময় সে দুটি সুরা সম্পকে অবশ্যই জানাবো তবে তার আগে আমাদের জানা দরকার রাতে ঘুমানোর সময় সুন্নত আমলসমুহ কি কি

অনেকে বলে কথা দীর্ঘ করবেন না, অথচ আমার প্রতিটি কথা প্রাসংগীক, যদি সরাসরি ২০ সেকেন্ডে মুল বিষয় জানতে চান তাহলে আমাদের শট ভিডিও গুলি দেখতে পারেন,

১) আল্লাহর নামে দরজা বন্ধ করা

হজরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের সন্তানদের ঘরে আটকে রাখ। কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাতের কিছু অংশ অতিক্রম করলে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার। আর ঘরের দরজা বন্ধ করবে। কেননা, শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। আর তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাদের মশকের মুখ বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাদের পাত্রগুলোকে ঢেকে রাখবে, কমপক্ষে পাত্রগুলোর উপর কোনো বস্তু আড়াআড়ি করে রেখো। আর (শয্যায় যাওয়ার সময়) তোমরা তোমাদের প্রদীপগুলো নিভিয়ে দেবে। (বুখারি)

২) অজু করে ঘুমানো

হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন জানাবাতের (অপবিত্রতা) অবস্থায় ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন তিনি লজ্জাস্থান ধুয়ে নামাজের ওজুর মতো ওজু করে ঘুমাতেন। (বুখারি)

৩) আলো বন্ধ করে ঘুমানো

হজরত সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বাবা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি (আবদুল্লাহ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শোয়ার (ঘুমের) সময় তোমরা তোমাদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রেখ না। (নাসাঈ)

৪) ঘুমের আগে বিছানা ঝেড়ে নেয়া

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি তোমাদের কোনো ব্যক্তি বিছানায় (ঘুমাতে) যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির ভেতর দিক দিয়ে নিজ বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ, সে জানে না যে, বিছানার উপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কিনা। তারপর পড়বে-

بِاسْمِكَ رَبِّ وَضَعْتُ جَنْبِي، وَبِكَ أَرْفَعُهُ، إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا، وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ
উচ্চারণ : বিসমিকা রাব্বি ওয়াদাতু ঝাম্বি, ওয়া বিকা আরফাউহু, ইন আমসাকতা নাফসি ফারহামহা, ওয়া ইন আরসালতাহা ফাহফাজহা বিমা তাহফাজ বিহি ইবাদাকাস সালিহিন।
অর্থ : হে আমার রব্ব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠবো। যদি আপনি ইতোমধ্যে আমার জান কব্‌য করে নেন তা হলে, তার উপর রহম করবেন। আর যদি তা আমাকে ফিরিয়ে দেন, তবে তাকে এমনভাবে হেফাজত করবেন, যেভাবে আপনি আপনার নেক বান্দাদের হেফাজত করে থাকেন। (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)

এবার আসুন রাতে যে সুরা পড়ে ঘুমালে আপনি যেটা চিন্তা করবেন সেটাই হয়ে যাবে সে সুরাটি হল সুরা মুজাম্মিল এটি ৭৩ নং সুরা। এর ২০টি আয়াত

সুরা মুযযাম্মিল

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ

হে বস্ত্রাবৃত! [সুরা মুযযাম্মিল - ৭৩:১]

قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا

রাত্রিতে দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে; [সুরা মুযযাম্মিল - ৭৩:২]

نِصْفَهُ أَوِ انقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا

অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম [সুরা মুযযাম্মিল - ৭৩:৩]

أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا

অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে। [সুরা মুযযাম্মিল - ৭৩:৪]

এরপর ২য় যে সুরাটির কথা বলেছি যে সুরা প্রতি রাতে পাঠ করলে আপনি কখনো দুর্ভিক্ষে অভাব অনটনে পতিত হবেন না তা হল সুরা ওয়াকেয়া

হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা) যখন অসুস্থ ছিলেন তখন হযরত ওসমান গণি (রা) উনাকে দেখতে যান এবং বলেন আমি কি আপনার জন্য কিছু মাল দিবনা যা আপনার ইন্তেকালের পর আপনার কন্যাদের কাজে আসবে, তখন আবদুল্লাহ বিন মাসউদ বলেন না তার প্রয়োজন নাই কারন আমি আমার কন্যাদেরকে এমন আমল শিক্ষা দিয়েছি যা আমার নবী আমাকে শিখিয়েছেন আর তা হল সুরা ওয়াকেয়া, আর আমার নবীর কথার উপর আমার পূণ একিন আছে, তাই আমি মনে করি আমার মেয়েরা যেহেতু প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াকেয়া পাঠ করে তারা কখনো অভাব অনটন দুর্ভিক্ষে পতিত হবেন না। কারন আল্লাহর রাসুল (দ) এরশাদ করেছেন যে রাতে সুরা ওয়াকেয়া পাঠ করবে তার ঘরে কখনো অভাব দারিদ্রতা প্রবেশ করবেনা, আমি আমার মেয়েদেরকে সুরা ওয়াকেয়া তেলাওয়াত করার অভ্যস্থ করে দিয়েছি।  যতদিন তারা সুরা ওয়াকেয়া পড়তে থাকবে ততদিন তাদের অভাব অনটন হবেনা। এটা সাহাবাদের একিন ছিল। তেমনি ভাবে অনেক মেয়ের বিয়ে হয়না তারা প্রতিদিন আসরের পর সুরা এয়াসিন পড়লে বিয়ের সম্বন্ধ আসবে। এই কোরআনে সব কিছুর সমাধান আছে কিন্তু আমরা সে কুরআন পড়তে চাইনা। মানুষ তাবিজ নিতে চাই, ওজিফা নিতে চাই, কিন্ত মনে রাখবেন কোরআন থেকে বড় কোন ওজিফা নাই। দেখবেন হুজুর মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ) জয়পাল যুগির সকল যাদুর জবাব কোরআনের ১ আয়াত দিয়ে দিয়েছেন আর সেটি হল আয়াতুল কুরসি। আয়াতুল কুরসি বরকতে জয়পাল যুগি হেরে গেছে, সে মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ) এর কাছেও ভিরতে পারেনি। তেমনি সুরা ফালাক সুরা নাস পড়ে দম করুন বদ নজরের আসর দুর হয়ে যাবে। বাচ্চা রাতে উঠে কান্না করে দুধ পান করেনা ফালাক ও নাস পড়ে দম করুন সে কান্না বন্ধ করে দিবে দুধ পান করবে। নজর লেগেছে ৩ বার লি লাফি কুরাইশ পড়ুন নজরের দোষ সাথে সাথে খতম হবে। জবান ঠিক থাকলে কলব ঠিক থাকলে হালাল রুজি হলে কোরআন এর মধ্যেই সব সমাধান খুঁজে পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.