১০১টি কঠিন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া আমল ওজিফা। নববী চিকিৎসা। রুহানী জিকিৎসা
১০১টি কঠিন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া আমল ওজিফা।
যে তসবিহ পড়লে জীবনে ডাক্তারের
কাছে যেতে হবেনা
প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু
আলাইকুম! ইদানিং মানুষের নানা ধরনের রোগ ব্যধী ধরা পড়ছে, নতুন নতুন রোগে মানুষ আক্রান্ত
হয়ে যাচ্ছে, এমন এমন রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে যে রোগের কোন ঔষধ কোন চিকিৎসাও এখনো
পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি, অনেক লোক আছে ক্যান্সারে আক্রান্ত, ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত,
ডায়বেটিসে আক্রান্ত,হৃদরোগে আক্রান্ত, হার্টে ব্লগ, বাত ব্যথায় আক্রান্ত, টিউমারে আক্রান্ত,
পিত্তথলির পাথর, কিডনিতে পাথর সহ এমন কঠিন কঠিন রোগে মানুষ ডাক্তার চিকিৎসা ঔষধ এর
পিছনে জীবনের সব পুঁজি খরচ করে ফেলে, জায়গা জমি সব বিক্রী করে বাড়ী ভিটা বিক্রী করে
চিকিৎসা করে কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হয়না, আজ আমি এমন এমন কিছু কুরআন হাদীসের দোয়া আমল
ও ওজিফা বলব যে সব দোয়া আমল ওজিফা করলে ইনশা আল্লাহ আপনাকে আর এমন মারাত্মক কঠিন রোগে
আক্রান্ত হতে হবেনা, ক্যান্সার, টিউমার এমন কঠিন রোগ হবেনা, হলেও তার জন্য ডাক্তারের
কাছে যেতে হবেনা, বরং এই আমলের বরকতে আল্লাহ তায়ালা সুস্থতা দান করবেন।
প্রত্যেকের জন্য আজকের আমলগুলি
খুবই গরুত্বপূণ হবে, তাই যারা সুস্থ আছেন তারা আজীবন সুস্থ থাকার জন্য এই আমলগুলি শিখে
নিবেন আর যাদের অলরেডি অসুখ হয়ে গেছে তারা সুস্থতার জন্য এই সহজ আমলগুলি আজ থেকে করা
আরম্ভ করবেন ইনশা আল্লাহ আপনার যত বড় রোগই হউকনা কেন আল্লাহ তায়ালা শেফা দান করবেন।
যেহেতু কয়েকটি দোয়া ও আমল
আলোচনা করব তাই প্রতিটি দোয়া আমল বুঝার জন্য শেষ পর্যন্ত খুব মনযোগ দিয়ে শুনবেন।
প্রথমত: আল্লামা ইবনে কাইয়্যেম
(রহ) বলেন আমি একবার সফরে ছিলাম সফর অবস্থায় আমি খুবই অসুস্থ হয়ে গেলাম, এমন অসুস্থতা
আমি জীবনে বোধ করিনি, অসুখের যন্ত্রনায় মনে হচ্ছিল আমি মারা যাব, কিন্তু হঠাৎ আমার
সাহাবাদের আমল মনে পড়ল, সাহাবী এক সাপে কাটা লোককে শুধু সুরা ফাতেহা পড়ে ফুঁক দেয়ার
সাথে সাথে সুস্থ হয়ে গেল, তখন আমি পূণ একিনের সাথে যখন সুরা ফাতেহা পড়া আরম্ভ করলাম
কয়েকবার পড়ার সাথে সাথে আমি সুস্থতা অনুভব করতে লাগলাম।
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا
আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা
রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি
পায়। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৮২]
যেহেতু কুরআনকে আল্লাহ তায়ালা শেফা
হিসেবে নাজিল করেছেন সে জন্য যে রোগই হউক এই কুরআনে আছে সে রোগের শেফা। তবে সে
জন্য গুনাহ মুক্ত হতে হবে। যেমন নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গুনাহ, এখন আপনি যদি নামাজ
না পড়েন আর সারাদিন কুরআন পড়েন তাহলে আপনার সে কুরআন পড়ার দ্বারা আপনি সুস্থতা লাভ
করতে পারবেনা, তেমনি আপনি সুদ খান, ঘুষ খান, মানুষের উপর জুলুম করে আর যখন অসুস্থ
হয়ে যান তখন বেশী বেশী কুরআন পাঠ করেন, কিংবা হুজুর এনে কুরআন খতম করান সে কুরআন
খতমের পানি পান করেন তাহলে আপনার সে আমল কোন কাজে আসবেনা, কারন আল্লাহ তায়ালা বলে
দিয়েছেন (ওয়ালা এজিদুয় জোয়ালিমিনা ইল্লা খাছারা)
অর্থ্যাৎ গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।
শেফার জন্য এই উসুলসমুহ কখনো ভুলবেন না
প্রথম উসুল হল পূর্ণ একিন পূর্ণ
বিশ্বাস হাসিল করতে হবে যে আমি যদি দুনিয়ার সকল ডাক্তারকে একত্র করি দুনিয়ার
সবচেয়ে দামী চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করিনা কেন শেফা দেয়ার মালিক হলেন আল্লাহ। যতক্ষণ
এই একিন হবেনা ততক্ষণ কোন কাজ হবেনা। যেমন বুখারী শরীফের ৫৬৭৫ নং হাদিস আয়িশা
(রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিয়ম ছিল,
তিনি যখন কোন রোগীর কাছে আসতেন কিংবা তার নিকট যখন কোন রোগীকে আনা হত তখন তিনি
বলতেন-
" أَذْهِبِ الْبَاسَ
رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً
لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ".
(আজহিবিল
শাছা রাব্বান নাস, আশফি ওয়া আনতাশ শাফি লা শিফায়া ইল্লা শিফাউকা, শিফাআন লা
ইউগাদিরু ছাকামান)
এই দোয়ার অর্থের দিকে যদি লক্ষ্য করেন
তাহলে প্রিয় নবী শেফার ব্যপারে দোয়ার মধ্যে কি শিক্ষা দিয়েছেন তা পরিস্কার বুঝা
যায় আর তা হল শেফা দান করার মালিক আল্লাহ
দোয়াটির অথ হল- কষ্ট দূর করে দাও হে
মানুষের রব, শেফা দান কর, তুমিই একমাত্র শেফাদানকারী। তোমার শেফা ব্যতীত অন্য কোন
শেফা নেই। এমন শেফা দান কর যা সামান্য রোগকেও অবশিষ্ট না রাখে।
এই হাদীস থেকে এটাও শিক্ষনীয় যখন কোন
রোগ হয় তখন প্রথমে কোন আলেম এর কাছে যাবেন আলেম সাহেব এই দোয়াটি পড়ে দোয়া করবেন যে
দোয়া নবীজি করতেন, যেমন হাদীসে দেখা যায়- বলা হচ্ছে যখনই নবীজির কাছে কোন
রোগাক্রান্ত লোক আসত এতে বুঝা যায় সাহাবগণ অসুস্থ হলে নবীজির কাছে আসতেন আর নবীজি
এই দোয়াটি করতেন, কিংবা নবীজি কোন রোগীকে দেখতে যেতেন তখনও এই দোয়াই করতেন।
প্রথমে দোয়া তারপর দাওয়া, ডাক্তারের
কাছে যাওয়া নিষেধ নাই, তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে দোয়ার দরকার। তাতে চিকিৎসাতে
বরকত হবে।
২য় আমল হল:দুনিয়ার সকল দুঃখ কষ্ট,
বিপদ, রোগ শোক থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর জিকির থেকে বড় কোন ওজিফা নাই, সকাল ও
সন্ধ্যার দোয়া ও জিকির সমুহ নিয়মিত করা, এবং প্রত্যেক নামাজের পর মাত্র ৪ মিনিটের
আমল আমরা অধিকাংশ সময় নামাজের পর এই ৩/৪ মিনিটের আমলকে ছেড়ে দিই শুধু পয়সা কামানোর
জন্য, ব্যবসার জন্য, কিন্তু এটা ভাবিনা এই পয়সা এই টাকাও দিবেন আল্লাহ।
হজরত আবুদ্দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু
বর্ণনা করেন, আমরা একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলি, হে
আল্লাহর রাসুল! ধনী ব্যক্তিরা সাওয়াবের ক্ষেত্রে আমাদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তারা হজ
করেন, আমরা হজ করি না। তারা সংগ্রাম-যুদ্ধে শরিক হন, আমরা শরিক হতে পারি না।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাদের এমন আমলের কথা বলবো যেটা তোমরা করলে তাদের
(হজ-জেহাদ) আমল করার চেয়ে বেশি সাওয়াব পাবে? আর সেটা হলো- প্রতি নামাজের পর তোমরা
৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুল্লিাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়। (মুসনাদে
আহমাদ)
তাহলে যে ব্যক্তি দিনে ৫ নামাজের পর
এই আমলগুলি করবে যাতে মাত্র সারাদিনে ১৫/২০ মিনিট সময় ব্যয় হবে তাহলে তার আমলনামায়
প্রতিদিন ৫টি হজের সাওয়াব লিপিবদ্ধ হবে।
দুনিয়াতে এমন কোন রোগ নাই যার চিকিৎসা
বা ঔষধ আল্লাহ তায়ালা দানকরেন নি, আপনারা চিন্তা করছেন ক্যান্সারের ঔষধ কোথায়?
সুগারের ঔষধ কোথায়? ১টি হাদীস শুনুন
রাসুলে আকরাম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ফরমায়েছেন সুনানে আবু
দাউদের ৩৮৫৫ নং হাদিস
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ، فَسَلَّمْتُ ثُمَّ قَعَدْتُ، فَجَاءَ الْأَعْرَابُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا، فَقَالُوا:
يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَتَدَاوَى؟ فَقَالَ: تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ
وَجَلَّ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ لَهُ دَوَاءً، غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ
الْهَرَمُ
উসামাহ ইবনু শরীক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে দেখলাম তাঁর সাহাবীদের মাথার উপর যেন
পাখী বসে আছে, অর্থাৎ শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি সালাম দিয়ে বসলাম। অতঃপর
এদিক-সেদিক থেকে কিছু বেদুঈন এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি চিকিৎসা
ব্যবস্থা গ্রহণ করবো? তিনি বলেন, তোমরা চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করো; কেননা মহান
আল্লাহ একমাত্র বার্ধক্য ছাড়া সকল রোগেরই ঔষধ সৃষ্টি করেছেন।
আবার ইবনে মাজার ৩৪৩৮ নং হাদিস
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُود عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّه قَالَ مَا أَنْزَلَ اللهُ دَاءً إِلَّا أَنْزَلَ لَهُ دَوَاءٌ
আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এমন কোন রোগ নেই, আল্লাহ যার ওষুধ অবতীর্ণ করেন নি।
যার কাছে এলম আছে সে চিকিৎসা করে নেয়
আর যে জাহেল সে চিকিৎসা থেকে মাহরুম থাকে।
মুসলিম শরীফের ৫৮৭১ নং হাদিস
عَنْ جَابِرٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ أَنَّهُ قَالَ: لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ فَإِذَا
أُصِيبَ دَوَاءُ الدَّاءِ بَرَأَ بِإِذْنِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
জাবের (রাঃ) কর্তৃক
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
প্রত্যেক রোগের জন্য ঔষধ আছে। যখন রোগের সঠিক ওষুধ নিরূপিত
হয়, তখন মহান আল্লাহর হুকুমে সে রোগটি সেরে ওঠে।
অতএব দোয়া আমল কোরআনী তদবীরও করতে হবে
গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে সাথে সাথে যথাযথ চিকিৎসাও করতে হবে সঠিক ঔষধ নিরুপনের
জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এখন অনেক ডাক্তার আছে রোগ সম্পর্কে না জেনে
আন্তাজে প্রচুর ঔষধ দিয়ে দেয়, আর ফলে রোগীর আরো ক্ষতি হয়।
নবী করিম (দ) কোন কোন সময় দোয়া করার
পর রোগীকে সে রোগের প্রকৃত চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দিতেন
যেমন আবু দাউদ এর ৩৮৭৫ নং হাদিস
عَنْ سَعْدٍ، قَالَ: مَرِضْتُ مَرَضًا أَتَانِي
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي فَوَضَعَ يَدَهُ
بَيْنَ ثَدْيَيَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَهَا عَلَى فُؤَادِي فَقَالَ: إِنَّكَ
رَجُلٌ مَفْئُودٌ، ائْتِ الْحَارِثَ بْنَ كَلَدَةَ أَخَا ثَقِيفٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ
يَتَطَبَّبُ فَلْيَأْخُذْ سَبْعَ تَمَرَاتٍ مِنْ عَجْوَةِ الْمَدِينَةِ
فَلْيَجَأْهُنَّ بِنَوَاهُنَّ ثُمَّ لِيَلُدَّكَ بِهِنَّ
সাদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,
আমি অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসলেন এবং
আমার বুকে তাঁর হাত রাখলেন। আমি আমার হৃদয়ে তাঁর হাতের শীতলতা অনুভব করলাম। অতঃপর তিনি
বললেনঃ তুমি হৃদরোগী, তুমি সাকীফ গোত্রের হারিস ইবনু কালাদাহর নিকট যাও; কারণ সে
এসব রোগের চিকিৎসা করে। সে যেন মদীনার আজওয়া খেজুর থেকে সাতটি
খেজুর নিয়ে বীচিসহ চূর্ণ করে সেগুলো তোমার মুখে ঢেলে দেয়
দেখুন নবীজি অন্য একজনের নিকট
হৃদরোগীকে পাঠালেন এবং নিজের সে রোগের জ্ঞানের কথাও বলে দিলেন। আর হৃদরোগের জন্য
৭টি আজওয়া খেজুর এর বিচি চূণ করে সেগুলো
মুখে দেয়ার পরামশ দেন।
এসব হাদীস থেকে চিকিৎসা গ্রহণ মেডিসিন
গ্রহণ করার পক্ষে নববী পরমশ পাওয়া যায় সাথে সাথে দাওয়ার আগে দোয়ার গুরুত্ব এবং
সুস্থতার জন্য গুনাহ মুক্ত হওয়া এবং আকিদা বিশুদ্ধ হওয়া জরুরী আর আকিদা হতে হবে
শেফা দানের মালিক আল্লাহ।
আরেক হাদীসে আছে সদকা দিয়ে চিকিৎসা
যেমন
আবু উমামাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত,
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা তোমাদের
রোগীদের চিকিৎসা সদকাহ দ্বারা কর।
আবার রোগের উপর সবর করাতেও পুরস্কার
আছে যেমন বুখারীর ৫৬৫২ নং হাদিস
وعن عطَاء بن أبي رَباحٍ قَالَ : قَالَ لي ابنُ عَباسٍ
رَضِيَ اللهُ عَنْهُما : ألاَ أُريكَ امْرَأةً مِنْ أَهْلِ الجَنَّة؟ فَقُلْتُ:
بَلَى قَالَ: هذِهِ المَرْأةُ السَّودَاءُ أتَتِ النَّبيَّ فَقَالَتْ : إنّي
أُصْرَعُ، وإِنِّي أتَكَشَّفُ فادْعُ الله تَعَالَى لي قَالَ إنْ شئْتِ صَبَرتِ
وَلَكِ الجَنَّةُ وَإنْ شئْتِ دَعَوتُ الله تَعَالَى أنْ يُعَافِيكِ فَقَالَتْ :
أَصْبِرُ فَقَالَتْ: إنِّي أتَكَشَّفُ فَادعُ الله أنْ لا أَتَكَشَّف فَدَعَا
لَهَا مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
আত্বা ইবনে আবী রাবাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ইবনে
আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না! আমি
বললাম, হ্যাঁ! তিনি বললেন, এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এসে বলল যে, আমার মৃগী রোগ আছে, আর সে কারণে আমার দেহ থেকে
কাপড় সরে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য দুআ করুন। তিনি বললেন, তুমি যদি চাও তাহলে
সবর কর; এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ
নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকটে দুআ করব। স্ত্রীলোকটি বলল, আমি সবর করব। অতঃপর
সে বলল, (রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে
দু’আ করুন, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়। ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তার জন্য দু’আ করলেন।
আল্লাহ তায়ালা চাইলে চিকিৎসার মাধ্যমে শেফা দিতে পারেন তিনি চাইলে বিনা চিকিৎসায়ও শেফা দিতে পারেন, যিনি হযরত আউয়ুব (আ) কে ১৮ বছর পর সুস্থতা দান করেছেন। একটি ঘটনা বলে শেষ করব- এক মহিলার ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে চলে গেল, সে মহিলাকে ডাক্তার বলে দিল আপনার শেষ সময় চলছে, সেটা শুনে মহিলা ওমরাহ করতে চলে গেল, ওমরা থেকে ফিরে সে আবার ডাক্তারের কাছে গেল ডাক্তার মহিলাকে আবার পরীক্ষা নিরিক্ষা দিল কিন্তু তার শরীরে ক্যান্সারের বংশও নাই, এটা দেখে ডাক্তার হয়রান, মহিলাকে প্রশ্ন করল সে কি করেছে? মহিলা জবাব দিল আমি আপনার কথা শুনার পর মৃত্যুর জন্য দেশে অপেক্ষা না করে মক্কায় চলে গেলাম সেখানে তাওয়াফ করলাম আর বেশী বেশী জমজম পান করলাম আর দোয়া করলাম ফলে দিন দিন সুস্থতা অনুভব করতে লাগলাম, এ কথা শুনে ডাক্তার অবাক হলেন। আসলেই আল্লাহ তায়ালা হলেন প্রকৃত শেফা দান কারী।
কোন মন্তব্য নেই